ময়মনসিংহে বেলুন ফুলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে ছয় জনই শিশু। এছাড়া, বাকি পাঁচজনের মধ্যে দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষ। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক নারীকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জেনারেল সার্জারি বিভাগের রেসিডেন্ট চিকিৎসক রাকিবুল হাসান।
রাকিবুল হাসান বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধদের হাসপাতালের সার্জারি ৬, ১০ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে কোহিনুর আক্তারের শরীরের প্রায় ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিরা শঙ্কামুক্ত।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর চরকালিবাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকায় বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতরা হলেন- চরকালিবাড়ি এলাকার তারিকুল ইসলাম (৩৫), সোহেল রানা (৫০), ইসমাইল হোসেন (২৫), সালমা বেগম (২৫), কোহিনুর আক্তার (৪০), ইয়াসিন হোসেন (৫), সুলেমান মিয়া (৫), রাহিম মিয়া (৪), তানজিনা আক্তার (৪), মিম আক্তার (৫) ও মানিক মিয়া (৯)।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, স্থানীয় ইদ্রিস আলীর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস বেলুন তৈরি ও ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছিল। প্রতিদিনের মতো আজও গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানোর সময় বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় শিশু-নারীসহ ১১ জন দগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।