ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শান্ত-লিটনদের জন্য পাওয়ার হিটিংয়ে প্রসিদ্ধ কোচ আনছে বিসিবি! Logo কান্নার দৃশ্যে গ্লিসারিন ব্যবহার করতে হয়নি : শুভশ্রী Logo রাজনীতি নয়, অতীত কর্মকাণ্ড ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সোহাগ হত্যা Logo এনসিপির গাড়িবহরে হামলা, রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ Logo মদনগঞ্জে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব Logo সুন্দর পরিবেশ এর মধ্যে পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন এর ১ম দিনে মনোনয়ন ক্রয় করেছেন ২০ জন প্রার্থী Logo ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প, পুতিনকে নিয়ে অসন্তোষ Logo বেনারসি, ভারী গহনায় চমকে দিলেন পরীমণি Logo সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের

৮ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা সনাতনীদের

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি মাঠে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশে বক্তারা বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রের নামে কোনো প্রহসন চাই না। আমাদের উচ্ছেদ করে শান্তিতে থাকতে চাইলে এ দেশ হবে আফগানিস্তান-সিরিয়া। গণতান্ত্রিক শক্তি থাকবে না, পরিণত হবে সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে।

শুক্রবার বিকেলের সমাবেশে ঘোষিত আট দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। প্রতি বিভাগে মহাসমাবেশ, জেলায় জেলায় সমাবেশ এবং প্রয়োজনে ঢাকা অভিমুখে ‘লংমার্চ’ করার ঘোষণা দেন তারা।

সমাবেশে পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহারাজ বলেন, ‘যতবেশি নির্যাতন করা হবে, আমরা ততবেশি এক হবো। আমাদের ঐক্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বাংলার কৃষ্টি-কালচারের ঐক্য। একে খণ্ডন করা যাবে না।’ দাবি আদায়ে ১৯ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘৯৩ হিন্দুকে পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে। ভেটেরিনারি ও চবিতে হিন্দুদের শনাক্ত করা হচ্ছে। বাজেটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ১৫ হাজার কোটি টাকা। এর মাত্র ২০০ কোটি টাকা সংখ্যালঘুদের জন্য কেন?’

সমাবেশে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলার সনাতনীরা অংশ নেন।

আট দফায় যা রয়েছে
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সংখ্যালঘু নির্যাতনে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, অবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীতকরণ, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীতকরণ, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ, প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা রুম বরাদ্দ, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন এবং দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

শান্ত-লিটনদের জন্য পাওয়ার হিটিংয়ে প্রসিদ্ধ কোচ আনছে বিসিবি!

৮ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা সনাতনীদের

আপডেট সময় ১০:৩১:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি মাঠে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশে বক্তারা বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রের নামে কোনো প্রহসন চাই না। আমাদের উচ্ছেদ করে শান্তিতে থাকতে চাইলে এ দেশ হবে আফগানিস্তান-সিরিয়া। গণতান্ত্রিক শক্তি থাকবে না, পরিণত হবে সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে।

শুক্রবার বিকেলের সমাবেশে ঘোষিত আট দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। প্রতি বিভাগে মহাসমাবেশ, জেলায় জেলায় সমাবেশ এবং প্রয়োজনে ঢাকা অভিমুখে ‘লংমার্চ’ করার ঘোষণা দেন তারা।

সমাবেশে পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহারাজ বলেন, ‘যতবেশি নির্যাতন করা হবে, আমরা ততবেশি এক হবো। আমাদের ঐক্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বাংলার কৃষ্টি-কালচারের ঐক্য। একে খণ্ডন করা যাবে না।’ দাবি আদায়ে ১৯ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘৯৩ হিন্দুকে পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে। ভেটেরিনারি ও চবিতে হিন্দুদের শনাক্ত করা হচ্ছে। বাজেটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ১৫ হাজার কোটি টাকা। এর মাত্র ২০০ কোটি টাকা সংখ্যালঘুদের জন্য কেন?’

সমাবেশে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলার সনাতনীরা অংশ নেন।

আট দফায় যা রয়েছে
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সংখ্যালঘু নির্যাতনে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, অবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীতকরণ, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীতকরণ, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ, প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা রুম বরাদ্দ, সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন এবং দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে।