ঢাকা , বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সাংবাদিক রনির উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে এসপি-ডিসিকে স্মারকলিপি Logo এস্পানিওলকে হারিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করলো বার্সেলোনা Logo স্বপ্ন দেখলে পরিবর্তন হবেই, তরুণদের প্রধান উপদেষ্টা Logo বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণে বৈঠক আজ Logo শরীয়তপুরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৪ Logo মানুষ আ.লীগের নাম দিয়েছে আফসোস লীগ: সোহেল Logo নারায়ণগঞ্জে ২৯০ কেজি পলিথিন জব্দ, জরিমানা ৩৫ হাজার Logo মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় Logo আওয়ামী দোসরদের কাছে জিম্মি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী Logo শহীদ কামাল স্মরণে শোকসভায় এড. ইসমাঈল – গার্মেন্টস খাতে কিছু উন্নতি হলেও বৈষম্য বেড়েছে

রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞা পোক্ত করার উদ্যোগ

ইউরোপীয় কূটনীতিকদের আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তিনি মস্কোকে একঘরে করে রাখার পশ্চিমা চেষ্টা ক্ষুণ্ন করতে পারেন। এ আশঙ্কায় তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও পোক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত আলোচনা সম্পর্কে জানে এমন কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ খবর জানিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তা এবং দূতরা রাশিয়ার ওপর দীর্ঘমেয়াদে নিষেধাজ্ঞা রেখে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করছেন। নিষেধাজ্ঞাগুলো আরও কঠোরভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে সেগুলো আরও পোক্ত করতে চাইছেন তারা, তা ওয়াশিংটন যদি অবস্থান বদলায় তা হলেও। ইইউর এসব উদ্যোগের মধ্যে আছেÑরাশিয়াগামী সন্দেহজনক চালানগুলো শনাক্ত করা এবং আটকে দেওয়া। তাছাড়া তেল চালানোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

রাশিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করে রাখা মস্কোর ওপর সবচেয়ে বড় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রতি ছয় মাস পরপর নবায়ন করা বাধ্যতামূলক করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্ট হলে ওয়াশিংটনের অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই ইউরোপ এসব প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্সির আশঙ্কায় ইউরোপের নীতি নির্ধারকরা অটোনোমাস ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তবে তাদেরকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো আরও কঠোরভাবে প্রয়োগও করতে হবে বলে জানিয়েছে রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের টম কাটিঞ্জ।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি নির্বাচিত হলে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন কিংবা নাটকীয়ভাবে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ধীরগতি করে দেবেন।

ইউক্রেন যুদ্ধে জিতুক এমনটি চান বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প। বরং উল্টো ইউক্রেন সংঘাত শুরুর জন্য তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেই দোষারোপ করেছেন।
ট্রাম্প ২০১৭-২১ সালে তার প্রশাসনের সময় নর্ডস্ট্রিম-২ পাইপলাইনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রশংসা করেছিলেন। তবে ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। তাছাড়া ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দ্রুতই মস্কোর সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি করতে চান।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

সাংবাদিক রনির উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে এসপি-ডিসিকে স্মারকলিপি

রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞা পোক্ত করার উদ্যোগ

আপডেট সময় ১০:০১:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

ইউরোপীয় কূটনীতিকদের আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তিনি মস্কোকে একঘরে করে রাখার পশ্চিমা চেষ্টা ক্ষুণ্ন করতে পারেন। এ আশঙ্কায় তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও পোক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত আলোচনা সম্পর্কে জানে এমন কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ খবর জানিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তা এবং দূতরা রাশিয়ার ওপর দীর্ঘমেয়াদে নিষেধাজ্ঞা রেখে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করছেন। নিষেধাজ্ঞাগুলো আরও কঠোরভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে সেগুলো আরও পোক্ত করতে চাইছেন তারা, তা ওয়াশিংটন যদি অবস্থান বদলায় তা হলেও। ইইউর এসব উদ্যোগের মধ্যে আছেÑরাশিয়াগামী সন্দেহজনক চালানগুলো শনাক্ত করা এবং আটকে দেওয়া। তাছাড়া তেল চালানোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

রাশিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করে রাখা মস্কোর ওপর সবচেয়ে বড় পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রতি ছয় মাস পরপর নবায়ন করা বাধ্যতামূলক করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হয়ে প্রেসিডেন্ট হলে ওয়াশিংটনের অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই ইউরোপ এসব প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্সির আশঙ্কায় ইউরোপের নীতি নির্ধারকরা অটোনোমাস ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তবে তাদেরকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো আরও কঠোরভাবে প্রয়োগও করতে হবে বলে জানিয়েছে রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের টম কাটিঞ্জ।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি নির্বাচিত হলে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন কিংবা নাটকীয়ভাবে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ধীরগতি করে দেবেন।

ইউক্রেন যুদ্ধে জিতুক এমনটি চান বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প। বরং উল্টো ইউক্রেন সংঘাত শুরুর জন্য তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেই দোষারোপ করেছেন।
ট্রাম্প ২০১৭-২১ সালে তার প্রশাসনের সময় নর্ডস্ট্রিম-২ পাইপলাইনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রশংসা করেছিলেন। তবে ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে তিনি তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। তাছাড়া ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দ্রুতই মস্কোর সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি করতে চান।