ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সরকারের নীলনকশায় তারেক-জোবায়দাকে সাজা দেওয়া হতে পারে: ফখরুল

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে সরকার নীলনকশায় সাজা দেওয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অতীতে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অনেক নেতাকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তবে, যত যাই হোক না কেনো, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের মামলার সাজা চলমান আন্দোলনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের সরকারি দলের কর্মকাণ্ড ও সার্বিক ঘটনা প্রবাহে আশঙ্কা করছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে সরকারি নীলনকশায় মিথ্যা মামলায় হয়তোবা সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ এ মামলা চলার মতো কোনো আইনগত উপাদান নেই। কেননা তারেক রহমানের প্রদেয় সম্পদ বিবরণী যা ২০০৭ সালে জমা দেওয়া হয়েছিল, তার পুরোপুরি আয়করও জমা দেওয়া হয়েছিল।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, আমাদের আইনজীবীরা এ ধরনের বিচারকাজের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। তাদের আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।

ফখরুল বলেন, এতকিছুর পরও দেশের মানুষ ন্যায়বিচার আশা করে। যদি অন্যায়ভাবে কোনো কিছু করা হয়, তাহলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের সর্বশেষ আশাটুকু শেষ হয়ে যাবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন শুধুমাত্র সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানই নয়, বিরোধীদলীয় দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সর্বক্ষেত্রে বিচারের নামে প্রহসন চলছে। এর আগে আমাদের চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। তাকে দীর্ঘ বছর ধরে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতের সাজা উচ্চ আদালত কর্তৃক নজীরবিহীনভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সরকার বিএনপির সিনিয়র নেতাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের মামলা দ্রুত শেষ করতে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে। এরই মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমানকে সাজাও দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

সরকারের নীলনকশায় তারেক-জোবায়দাকে সাজা দেওয়া হতে পারে: ফখরুল

আপডেট সময় ০৩:৩৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে সরকার নীলনকশায় সাজা দেওয়া হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অতীতে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অনেক নেতাকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তবে, যত যাই হোক না কেনো, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের মামলার সাজা চলমান আন্দোলনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের সরকারি দলের কর্মকাণ্ড ও সার্বিক ঘটনা প্রবাহে আশঙ্কা করছি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে সরকারি নীলনকশায় মিথ্যা মামলায় হয়তোবা সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ এ মামলা চলার মতো কোনো আইনগত উপাদান নেই। কেননা তারেক রহমানের প্রদেয় সম্পদ বিবরণী যা ২০০৭ সালে জমা দেওয়া হয়েছিল, তার পুরোপুরি আয়করও জমা দেওয়া হয়েছিল।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, আমাদের আইনজীবীরা এ ধরনের বিচারকাজের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। তাদের আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।

ফখরুল বলেন, এতকিছুর পরও দেশের মানুষ ন্যায়বিচার আশা করে। যদি অন্যায়ভাবে কোনো কিছু করা হয়, তাহলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের সর্বশেষ আশাটুকু শেষ হয়ে যাবে।

দুর্নীতি দমন কমিশন শুধুমাত্র সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানই নয়, বিরোধীদলীয় দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সর্বক্ষেত্রে বিচারের নামে প্রহসন চলছে। এর আগে আমাদের চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। তাকে দীর্ঘ বছর ধরে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। নিম্ন আদালতের সাজা উচ্চ আদালত কর্তৃক নজীরবিহীনভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সরকার বিএনপির সিনিয়র নেতাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের মামলা দ্রুত শেষ করতে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে। এরই মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমানকে সাজাও দেওয়া হয়েছে।