ঢাকা , সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সোনারগাঁয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নে তারেক রহমানের বার্তা ছড়িয়ে দিতে বিএনপি নেতা কর্মীরা মাঠে Logo সিরাজদিখানে বীজ ও সার ডিলার সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠিত Logo মুন্সীগঞ্জে চাহিদা বেড়েছে দেশী আখের Logo গজারিয়ায় মানববন্ধনে আগত লোকজনের উপর ডাকাত দলের নারী সদস্যদের হামলা Logo চলতি বর্ষায়ও ভাঙন আতঙ্ক বাঁধের কাজ শেষ করার দাবি Logo মুন্সীগঞ্জে রাস্তা পার হতে গিয়ে পথচারীর মৃত্য Logo অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানে একমত বাংলাদেশ-পাকিস্তান Logo মুন্সিগঞ্জে সিনিয়র সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন Logo নাসিক ১১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের দাবী সুবিধাবাদী নেতৃত্ব বর্জন করে তৃনমুল নেতৃত্বের Logo মুন্সিগঞ্জে জিপিএ-৫ পাওয়া ৩’শ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির

টঙ্গীবাড়ির দিঘীরপাড়ে নদীভাঙনে ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের কান্দারবাড়ি ও সরিষাবন এলাকায় ভয়াবহ নদীভাঙনে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মার ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালা ও আবাদি জমি। নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রামই বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার মতো কার্যকর উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি। ফলে প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন ঘরবাড়ি ও জমি নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।
একজন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা হাসেম খান বলেন, “আমরা রাতেও ঘুমাতে পারি না। যে কোনো মুহূর্তে নদী আমাদের ঘরবাড়ি নিয়ে যাবে। প্রশাসনের কাছে বারবার বলেছি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না।”
এলাকাবাসী মনে করছেন, শুধু জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী সমাধান করা হলেও এটি দীর্ঘমেয়াদি নয়। নদী ভাঙন থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
একজন প্রবীণ গ্রামবাসী মোঃ আল -আমিন বেপারী বলেন, “প্রতিবছর বর্ষার সময় একই সমস্যা হয়। কিছু জিও ব্যাগ ফেলে কাজ চালানো হয়, কিন্তু কয়েক মাস পর আবার সব ধুয়ে যায়। এভাবে আর চলতে পারে না। এখানে স্থায়ী বাঁধ না হলে পুরো গ্রামই একদিন নদীর মধ্যে চলে যাবে।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও স্বীকার করেছেন, এ এলাকায় অস্থায়ী উদ্যোগে কোনো সুফল আসবে না। স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণই একমাত্র সমাধান। তারা সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নদীভাঙনে বাড়িঘর হারানো বহু পরিবার ইতিমধ্যেই গৃহহীন হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বা অন্যত্র। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও মসজিদও এখন হুমকির মুখে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
প্রতিদিনই নদীভাঙনে ভেসে যাচ্ছে বাড়িঘর ও জমি প্রশাসন এখনো ফেলছে না জিও ব্যাগ
স্থানীয়দের দাবি: স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নে তারেক রহমানের বার্তা ছড়িয়ে দিতে বিএনপি নেতা কর্মীরা মাঠে

টঙ্গীবাড়ির দিঘীরপাড়ে নদীভাঙনে ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার

আপডেট সময় ০২:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের কান্দারবাড়ি ও সরিষাবন এলাকায় ভয়াবহ নদীভাঙনে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পদ্মার ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালা ও আবাদি জমি। নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রামই বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার মতো কার্যকর উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি। ফলে প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন ঘরবাড়ি ও জমি নদীর গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।
একজন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা হাসেম খান বলেন, “আমরা রাতেও ঘুমাতে পারি না। যে কোনো মুহূর্তে নদী আমাদের ঘরবাড়ি নিয়ে যাবে। প্রশাসনের কাছে বারবার বলেছি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না।”
এলাকাবাসী মনে করছেন, শুধু জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী সমাধান করা হলেও এটি দীর্ঘমেয়াদি নয়। নদী ভাঙন থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
একজন প্রবীণ গ্রামবাসী মোঃ আল -আমিন বেপারী বলেন, “প্রতিবছর বর্ষার সময় একই সমস্যা হয়। কিছু জিও ব্যাগ ফেলে কাজ চালানো হয়, কিন্তু কয়েক মাস পর আবার সব ধুয়ে যায়। এভাবে আর চলতে পারে না। এখানে স্থায়ী বাঁধ না হলে পুরো গ্রামই একদিন নদীর মধ্যে চলে যাবে।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও স্বীকার করেছেন, এ এলাকায় অস্থায়ী উদ্যোগে কোনো সুফল আসবে না। স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণই একমাত্র সমাধান। তারা সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নদীভাঙনে বাড়িঘর হারানো বহু পরিবার ইতিমধ্যেই গৃহহীন হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বা অন্যত্র। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও মসজিদও এখন হুমকির মুখে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
প্রতিদিনই নদীভাঙনে ভেসে যাচ্ছে বাড়িঘর ও জমি প্রশাসন এখনো ফেলছে না জিও ব্যাগ
স্থানীয়দের দাবি: স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা।