ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আ.লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশে স্থবির ঢাকা

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার সকাল থেকে রাজধানীতে সীমিত হারে চলাচল করে গণপরিবহন। ফলে ভোন্তিতে পড়েছেন গণপরিবহনে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। ঢাকায় মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যে সমাবেশ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধীদল বিএনপি। একই সময়ে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে রাজধানী তীব্র যানজট দেখা গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন নিয়ে দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি। সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে পল্টনমুখী হতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।

একই দিনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সমাবেশে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

দুই দলের সমাবেশের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা যায়। গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, শেরাটন হোটেল সংলগ্ন ভিআইপি রোড, কাকরাইল মোড়ে সিগন্যাল জ্যামে দীর্ঘক্ষণ ব্যক্তিগত গাড়ি, সিনএজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বাস আটকে দেখা যায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে নিজ নিজ দলের কর্মসূচিতে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। বাস, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল থেকে নেমে পথচারীদেরও হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। দুই দলের সমাবেশের কারণে রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। যানজট বেশি হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই অনেক বাস ঘুরে ফিরে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী, শিশু মেলা, কলেজগেট, আসাদগেটসহ বেশ কিছু বাস পয়েন্ট ঘুরে গাড়ি সঙ্কটে মানুষের ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে।

একই দিনে বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সড়কে গণপরিবহণের সংখ্যা খুবই কম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টপেজে দাঁড়িয়ে থেকেও দেখা মিলছে না বাসের। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর যাও দু-একটা বাসের দেখা মিলছে, সেগুলোও দুই দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটছে সমাবেশস্থলে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে বাস সঙ্কটে স্কুল-কলেজ ছুটি শেষে কিংবা জরুরি কাজ শেষে ঘরে ফেরা মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা, আসাদগেট, সংসদ ভবন ছাড়াও বাটা সিগনাল, শাহবাগ ও সিটি কলেজ এলাকায় এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের।

জানা গেছে, গতকাল ঢাকা সিটির ভেতরে চলা বেশিরভাগ বাসই বন্ধ। আর যেগুলো চলছে, সেগুলো মুহূর্তেই মানুষে ভর্তি হলে রওয়ানা দিলেও বড় অংশই গুলিস্তান-পল্টন এলাকায় সকালের টিপ দিতে গিয়েই যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে। ফলে দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বাংলামোটর থেকে শাহবাগ, গুলিস্তান, সদরঘাট, কদমতলী হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ ও সংসদ ভবন হয়ে ফার্মগেট এলাকায় অসংখ্য মানুষকে বাস না পেয়ে হেঁটে হেঁটেই গন্তব্যে রওয়ানা হতে দেখা গেছে।

বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের যোগ দেওয়ার কারণে রাজধানীর রমনা, কাকরাইল, রমনা, বাংলা মোটর, বাড্ডা, রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ সেগুনবাগিচায়, পল্টনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় সৃষ্ট যানজটের কারণে যানবাহ অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী ও পেশাজীবীসহ সাধারণ নাগরিকেরা।

রাজধানীর নাইটিংগেল মোড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা ঢুকছে। তবে সেখানেও যাতে কোনো বিশঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তারা সমাবেশে আগতদের নিরাপত্তার স্বার্থে রয়েছেন। এদিকে রাজধানীর প্রবেশপথ থেকে শুরু করে সারা ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার থাকতে দেখা গেছে।

বাস সঙ্কট আর তীব্র যানজটে পড়েছেন সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থী। তিনি জানান, সকালে কলেজে এসেছিলাম। পরে কলেজ শেষ করে খিলগাঁও যাওয়ার উদ্দেশ্যে সায়েন্সল্যাব মোড়ে বাসের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করি। কিন্তু এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো বাস ধরতে পারিনি। এরপর বাধ্য হয়েই দুপুর পৌনে একটার দিকে হেঁটেই বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি। অনেকেই দুপুরের দিকে বাস সঙ্কটে স্টপেজে স্টপেজে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। যাদের মধ্যে শিক্ষার্থী ছাড়াও যুবক, বৃদ্ধ ও নারীরাও ছিলেন।

বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশের কারণে গাড়ি কম চলছে। অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও গাড়িতে উঠতে পারছি না। গেটে পর্যন্ত মানুষ ঝুলছে। সমাবেশের কারণে অনেকেই গাড়ি বের করেনি। কখন কী ঝামেলা হয় বলা তো যায় না। এই কারণে গাড়ি কম।

একটি পরিবহনের চালকের সহকারী বলেন, আমিন বাজার থেকে গাড়ি ঢাকার ভেতরে আসতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আর গাড়ি চালকরা নিজেরাও আসতে চাইছে না। কারণ কখন কী হয়ে যায়। যদি ঝামেলা হয় গাড়িতে আগুন দেয় তখন কী হবে। তাই মালিকপক্ষ গাবতলী থেকেও খুব একটা গাড়ি ছাড়ছে না।

মতিঝিল জোনের এসি (পেট্রোল) আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। কেউ যদি রাষ্ট্রের ক্ষয়ক্ষতি করতে চায়, জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চায়, তাহলে আমরা তাদের প্রতিহত করবো। যেহেতু এখানে বিএনপির সমাবেশ রয়েছে, তাই এই রাস্তায় যান চলাচল কিছুটা কম। তাছাড়া তাদের সমাবেশের অনুমতি রয়েছে তাই তাদের পার্টি অফিসের সামনে যান চলাচল বন্ধ করতেই হবে। আপাতত একপাশে যান চলাচল সচল রয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। পল্টনে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে এবং বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা আশঙ্কা করা হচ্ছে না। তবে বিশৃঙ্খলা মোকাবেলায় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

আ.লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশে স্থবির ঢাকা

আপডেট সময় ০৩:৩১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার সকাল থেকে রাজধানীতে সীমিত হারে চলাচল করে গণপরিবহন। ফলে ভোন্তিতে পড়েছেন গণপরিবহনে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। ঢাকায় মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যে সমাবেশ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধীদল বিএনপি। একই সময়ে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে রাজধানী তীব্র যানজট দেখা গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন নিয়ে দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি। সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে পল্টনমুখী হতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের।

একই দিনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সমাবেশে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।

দুই দলের সমাবেশের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা যায়। গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, শেরাটন হোটেল সংলগ্ন ভিআইপি রোড, কাকরাইল মোড়ে সিগন্যাল জ্যামে দীর্ঘক্ষণ ব্যক্তিগত গাড়ি, সিনএজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বাস আটকে দেখা যায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে নিজ নিজ দলের কর্মসূচিতে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। বাস, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল থেকে নেমে পথচারীদেরও হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। দুই দলের সমাবেশের কারণে রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। যানজট বেশি হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই অনেক বাস ঘুরে ফিরে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী, শিশু মেলা, কলেজগেট, আসাদগেটসহ বেশ কিছু বাস পয়েন্ট ঘুরে গাড়ি সঙ্কটে মানুষের ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে।

একই দিনে বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সড়কে গণপরিবহণের সংখ্যা খুবই কম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টপেজে দাঁড়িয়ে থেকেও দেখা মিলছে না বাসের। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর যাও দু-একটা বাসের দেখা মিলছে, সেগুলোও দুই দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটছে সমাবেশস্থলে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে বাস সঙ্কটে স্কুল-কলেজ ছুটি শেষে কিংবা জরুরি কাজ শেষে ঘরে ফেরা মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা, আসাদগেট, সংসদ ভবন ছাড়াও বাটা সিগনাল, শাহবাগ ও সিটি কলেজ এলাকায় এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের।

জানা গেছে, গতকাল ঢাকা সিটির ভেতরে চলা বেশিরভাগ বাসই বন্ধ। আর যেগুলো চলছে, সেগুলো মুহূর্তেই মানুষে ভর্তি হলে রওয়ানা দিলেও বড় অংশই গুলিস্তান-পল্টন এলাকায় সকালের টিপ দিতে গিয়েই যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে। ফলে দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বাংলামোটর থেকে শাহবাগ, গুলিস্তান, সদরঘাট, কদমতলী হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, সায়েন্সল্যাব, শাহবাগ ও সংসদ ভবন হয়ে ফার্মগেট এলাকায় অসংখ্য মানুষকে বাস না পেয়ে হেঁটে হেঁটেই গন্তব্যে রওয়ানা হতে দেখা গেছে।

বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের যোগ দেওয়ার কারণে রাজধানীর রমনা, কাকরাইল, রমনা, বাংলা মোটর, বাড্ডা, রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ সেগুনবাগিচায়, পল্টনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় সৃষ্ট যানজটের কারণে যানবাহ অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী ও পেশাজীবীসহ সাধারণ নাগরিকেরা।

রাজধানীর নাইটিংগেল মোড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা ঢুকছে। তবে সেখানেও যাতে কোনো বিশঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তারা সমাবেশে আগতদের নিরাপত্তার স্বার্থে রয়েছেন। এদিকে রাজধানীর প্রবেশপথ থেকে শুরু করে সারা ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার থাকতে দেখা গেছে।

বাস সঙ্কট আর তীব্র যানজটে পড়েছেন সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থী। তিনি জানান, সকালে কলেজে এসেছিলাম। পরে কলেজ শেষ করে খিলগাঁও যাওয়ার উদ্দেশ্যে সায়েন্সল্যাব মোড়ে বাসের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করি। কিন্তু এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো বাস ধরতে পারিনি। এরপর বাধ্য হয়েই দুপুর পৌনে একটার দিকে হেঁটেই বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি। অনেকেই দুপুরের দিকে বাস সঙ্কটে স্টপেজে স্টপেজে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। যাদের মধ্যে শিক্ষার্থী ছাড়াও যুবক, বৃদ্ধ ও নারীরাও ছিলেন।

বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশের কারণে গাড়ি কম চলছে। অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও গাড়িতে উঠতে পারছি না। গেটে পর্যন্ত মানুষ ঝুলছে। সমাবেশের কারণে অনেকেই গাড়ি বের করেনি। কখন কী ঝামেলা হয় বলা তো যায় না। এই কারণে গাড়ি কম।

একটি পরিবহনের চালকের সহকারী বলেন, আমিন বাজার থেকে গাড়ি ঢাকার ভেতরে আসতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আর গাড়ি চালকরা নিজেরাও আসতে চাইছে না। কারণ কখন কী হয়ে যায়। যদি ঝামেলা হয় গাড়িতে আগুন দেয় তখন কী হবে। তাই মালিকপক্ষ গাবতলী থেকেও খুব একটা গাড়ি ছাড়ছে না।

মতিঝিল জোনের এসি (পেট্রোল) আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। কেউ যদি রাষ্ট্রের ক্ষয়ক্ষতি করতে চায়, জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চায়, তাহলে আমরা তাদের প্রতিহত করবো। যেহেতু এখানে বিএনপির সমাবেশ রয়েছে, তাই এই রাস্তায় যান চলাচল কিছুটা কম। তাছাড়া তাদের সমাবেশের অনুমতি রয়েছে তাই তাদের পার্টি অফিসের সামনে যান চলাচল বন্ধ করতেই হবে। আপাতত একপাশে যান চলাচল সচল রয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। পল্টনে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের আশপাশে এবং বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা আশঙ্কা করা হচ্ছে না। তবে বিশৃঙ্খলা মোকাবেলায় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।