ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

‘দেশি’ নেট বোলারে মুশফিকদের অনুশীলন

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ হলেও কিছু দিক থেকেই ঘরের মাঠে খেলার আবহ পাবে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড সিরিজটি আয়োজন করছে ইংল্যান্ডে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কারণে তামিম ইকবালদের সমর্থনই থাকবে বেশি। বিদেশি গিয়ে ‘দেশি’ বেশ কয়েকজন নেট বোলারও পেয়ে গেল বাংলাদেশ দল। ব্রিটিশ বাংলাদেশি নেট বোলাররা মুশফিকুর রহিমদের কাছে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত।
গতপরশু ও গতকাল ক্যামব্রিজের লেইজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। এই অনুশীলনের জন্য আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৯ জন করে নেট বোলার দেওয়া হয়েছে। দুদিনে ১৮ জন নেট বোলারের মধ্যে ১২ জনই ছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ব্রিটিশ বাংলাদেশি এসব নেট বোলাররা হলেন কিবরিয়া আহমেদ, খালিদ ওমর, তাইজুল ইসলাম খান, নাজিম উদ্দিন মুন, মিহাদ বিন মাহের, কাওসার আহমেদ, নাজমুল ইসলাম, জ্যাকি শরিফ, জেইন হায়দার, শাকিল হোসেন, আবুল কাশেম, খালেদ আনহাফ অদ্রি।
এদের মধ্যে খালেদ জানিয়েছেন প্রিয় তারকাদের কাছে পেয়ে যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না তাদের, ‘আমি এদের প্রায় সবার খেলা দেখে দেখে বড় হয়েছি। কেউ কেউ এখানে নতুন, কেউ কেউ অনেকদিন ধরে খেলছেন যেমন মুশফিক। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না তিনি আমার সামনে ব্যাট করছেন। আমি ইবাদতেরও বড় ভক্ত। তাকেও কাছ থেকে দেখা, কথা বলা দারুণ ব্যাপার ছিল।’
এসব নেট বোলারদের বেশিরভাগই ইংল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগে খেলেন। কেউ কেউ খেলেন মাইনর কাউন্টিতে। ক্যারিয়ার তাদের কেবলই শুরু হয়েছে। খালেদ জানালেন, বাংলাদেশ পেস বোলিং কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার অ্যালান ডোনাল্ড তার শিষ্যদের কি শেখান কাছ থেকে বুঝতে চেয়েছেন তারা, ‘এটা খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল, তারা কি নিয়ে কথা বলেন আমার জানার আগ্রহ ছিল। আমাদের মতন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের খেলোয়াড়দের এরকম টেকনিক্যাল পর্যায়ের আলোচনা শোনার সুযোগ হয় না। অ্যালেনের কথাগুলো শুনে খুব ভালো লাগল। আমি বল করার সময় অ্যালেন (ডোনাল্ড) আমাকে কিছু টেকনিক্যাল ভুল ধরিয়ে দিল, যা আমি ঠিক করব।’
চেমসফোর্ডের মাঠে পুরো সিরিজ চলাকালীন এই নেট বোলাররা বাংলাদেশ দলের সংস্পর্শে থাকবেন, সহায়তা করবেন অনুশীলনে। বাংলাদেশ যাতে সিরিজটা ভালো খেলে জিততে পারে সেজন্য সমর্থনও থাকবে তাদের, ‘আমি তাদের শুভকামনা জানাই। গত কয়েকদিনে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া খুব ভেজা ছিল। কাজেই একটু সতর্ক হয়ে খেলে ফল বের করে ফেলবেন আশা করি।’
৯ মে চেমসফোর্ডে শুরু হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তার আগে ৫ মে ক্যামব্রিজের মাঠে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন তামিমরা। এদিনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেবার কথা বিশ^সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানেরও।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

‘দেশি’ নেট বোলারে মুশফিকদের অনুশীলন

আপডেট সময় ০৪:২৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ হলেও কিছু দিক থেকেই ঘরের মাঠে খেলার আবহ পাবে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড সিরিজটি আয়োজন করছে ইংল্যান্ডে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কারণে তামিম ইকবালদের সমর্থনই থাকবে বেশি। বিদেশি গিয়ে ‘দেশি’ বেশ কয়েকজন নেট বোলারও পেয়ে গেল বাংলাদেশ দল। ব্রিটিশ বাংলাদেশি নেট বোলাররা মুশফিকুর রহিমদের কাছে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত।
গতপরশু ও গতকাল ক্যামব্রিজের লেইজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। এই অনুশীলনের জন্য আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৯ জন করে নেট বোলার দেওয়া হয়েছে। দুদিনে ১৮ জন নেট বোলারের মধ্যে ১২ জনই ছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ব্রিটিশ বাংলাদেশি এসব নেট বোলাররা হলেন কিবরিয়া আহমেদ, খালিদ ওমর, তাইজুল ইসলাম খান, নাজিম উদ্দিন মুন, মিহাদ বিন মাহের, কাওসার আহমেদ, নাজমুল ইসলাম, জ্যাকি শরিফ, জেইন হায়দার, শাকিল হোসেন, আবুল কাশেম, খালেদ আনহাফ অদ্রি।
এদের মধ্যে খালেদ জানিয়েছেন প্রিয় তারকাদের কাছে পেয়ে যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না তাদের, ‘আমি এদের প্রায় সবার খেলা দেখে দেখে বড় হয়েছি। কেউ কেউ এখানে নতুন, কেউ কেউ অনেকদিন ধরে খেলছেন যেমন মুশফিক। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না তিনি আমার সামনে ব্যাট করছেন। আমি ইবাদতেরও বড় ভক্ত। তাকেও কাছ থেকে দেখা, কথা বলা দারুণ ব্যাপার ছিল।’
এসব নেট বোলারদের বেশিরভাগই ইংল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগে খেলেন। কেউ কেউ খেলেন মাইনর কাউন্টিতে। ক্যারিয়ার তাদের কেবলই শুরু হয়েছে। খালেদ জানালেন, বাংলাদেশ পেস বোলিং কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার অ্যালান ডোনাল্ড তার শিষ্যদের কি শেখান কাছ থেকে বুঝতে চেয়েছেন তারা, ‘এটা খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল, তারা কি নিয়ে কথা বলেন আমার জানার আগ্রহ ছিল। আমাদের মতন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের খেলোয়াড়দের এরকম টেকনিক্যাল পর্যায়ের আলোচনা শোনার সুযোগ হয় না। অ্যালেনের কথাগুলো শুনে খুব ভালো লাগল। আমি বল করার সময় অ্যালেন (ডোনাল্ড) আমাকে কিছু টেকনিক্যাল ভুল ধরিয়ে দিল, যা আমি ঠিক করব।’
চেমসফোর্ডের মাঠে পুরো সিরিজ চলাকালীন এই নেট বোলাররা বাংলাদেশ দলের সংস্পর্শে থাকবেন, সহায়তা করবেন অনুশীলনে। বাংলাদেশ যাতে সিরিজটা ভালো খেলে জিততে পারে সেজন্য সমর্থনও থাকবে তাদের, ‘আমি তাদের শুভকামনা জানাই। গত কয়েকদিনে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া খুব ভেজা ছিল। কাজেই একটু সতর্ক হয়ে খেলে ফল বের করে ফেলবেন আশা করি।’
৯ মে চেমসফোর্ডে শুরু হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তার আগে ৫ মে ক্যামব্রিজের মাঠে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন তামিমরা। এদিনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেবার কথা বিশ^সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানেরও।