ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন ২ হাজার ২১৭ বাংলাদেশি শরণার্থী

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের ২ হাজার ২১৭ জন নাগরিক। রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপডাঙ্গা বৃহম্পতিবার রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশনে জানিয়েছেন এ তথ্য।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মিজোরামে আশ্রিত অবস্থায় আছেন ৪১ হাজার ৩৫৫ জন শরণার্থী। এদের মধ্যে ৩৩ হাজার ৫০৫ জন মিয়ানমার, ৫ হাজার ৬৩৩ জন প্রতিবেশী রাজ্য মণিপুর এবং ২ হাজার ২১৭ জন বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।

“এই শরণার্থীদের সবাই নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে টিকতে না পেরে মিজোরামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন,” বিধানসভা অধিবেশনে বলেন কে সাপডাঙ্গা।

মণিপুরের যেসব বাস্তুচ্যুত মানুষজন মিজোরামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদেরকে নিজেদের এলাকায় ফিরে যেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই কমিটি মণিপুরে বর্তমানে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের সঙ্গে এ ইস্যুতে যোগাযোগাযোগ শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমার এবং বাংলাদেশি শরণার্থীদের ফেরত পাঠাতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না— সে সম্পর্কে অধিবেশনে কিছু বলেননি কে সাপডাঙ্গা, তবে শরণার্থীদের খাদ্য সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন ২ হাজার ২১৭ বাংলাদেশি শরণার্থী

আপডেট সময় ০৩:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে শরণার্থী হিসেবে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের ২ হাজার ২১৭ জন নাগরিক। রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপডাঙ্গা বৃহম্পতিবার রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশনে জানিয়েছেন এ তথ্য।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মিজোরামে আশ্রিত অবস্থায় আছেন ৪১ হাজার ৩৫৫ জন শরণার্থী। এদের মধ্যে ৩৩ হাজার ৫০৫ জন মিয়ানমার, ৫ হাজার ৬৩৩ জন প্রতিবেশী রাজ্য মণিপুর এবং ২ হাজার ২১৭ জন বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।

“এই শরণার্থীদের সবাই নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে টিকতে না পেরে মিজোরামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন,” বিধানসভা অধিবেশনে বলেন কে সাপডাঙ্গা।

মণিপুরের যেসব বাস্তুচ্যুত মানুষজন মিজোরামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদেরকে নিজেদের এলাকায় ফিরে যেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই কমিটি মণিপুরে বর্তমানে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের সঙ্গে এ ইস্যুতে যোগাযোগাযোগ শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমার এবং বাংলাদেশি শরণার্থীদের ফেরত পাঠাতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না— সে সম্পর্কে অধিবেশনে কিছু বলেননি কে সাপডাঙ্গা, তবে শরণার্থীদের খাদ্য সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।