ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা থেকে অজ্ঞাতনামা ৩ লাশ উদ্ধার Logo তারেক রহমান ১৬বছর স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে : মুহাম্মাদ সাদরিল Logo জুলাই আগস্টের অভ্যুত্থানের সকল শহীদদের স্মরণে শোক র‍্যালী Logo নারায়ণগঞ্জে হকার্স মার্কেটে আগুনে পুড়লো ৩০ দোকান Logo আইভী ৬ কোটি টাকা বেতন পেয়ে ২৫ কোটি টাকায় বাড়ি বানিয়েছেন : সাখাওয়াত Logo বন্দরে ডকইয়ার্ড শ্রমিক নূর হোসেন নিহত Logo বিএনপি নেতা আলোচিত সন্ত্রাসী আকরাম জালিয়াতির দুই মামলায় গ্রেপ্তার Logo বিক্ষোভ সমাবেশে শত ” শত নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান করেন মোঃ আব্দুল্লাহ হক শাকুর Logo ছক কষে অপেক্ষায় ছিল আ.লীগ, অন্য জেলার নেতাকর্মীরাও জড়ো হন গোপালগঞ্জে Logo শান্ত-লিটনদের জন্য পাওয়ার হিটিংয়ে প্রসিদ্ধ কোচ আনছে বিসিবি!

ওলট-পালট বোলিংয়ে ভারতের রেকর্ড

গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারার কারণ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যেত ‘অচেনা মাঠ’। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে অলআউট হওয়ার পেছনে সেদিন ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১.৫ ওভারে টপকে যায় ভারত। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে আছে সেটি আরেকবার প্রমাণ হয় সেদিন। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেও আর ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দারুণ সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এ মাঠে ২০১৯ সালে ভারতকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হারায় টাইগাররা। সেদিনও আগে ব্যাট করে ভারত ১৪৮ রান করলে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। এবারও তেমন কিছুর আভাস দিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ওপেনার সাঞ্জু স্যামসনকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মার স্টাম্প উড়িয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। বিধ্বংসী হওয়ার আগে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
এমন একটা শুরুর পরও মুহূর্তেই পালটে যায় দৃশ্যপট। রিঙ্কু সিং আর নিতিশ কুমারের জুটিতে ওলট-পালট হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। স্পিনারদের বিপক্ষে ৫৫ রান একাই তোলেন নিতিশ। যা ভারতের পক্ষে রেকর্ড। ইনিংসের ৭ থেকে ১৫ ওভারের ভেতর একটি উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তোলে ভারত। ৪১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ১৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ।

এদিন শুরুর ওভার করতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তিনি চার ওভার বোলিংও করতে পারেননি। তিন ওভারেই দেন ৪৬ রান। তানজিম দুটি উইকেট নিলেও চার ওভারে দেন ৫০ রান। রিশাদ হোসেন তিনটি উইকেট নিলেও দেন ৫৫ রান। মোস্তাফিজ ৩৬ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সবচেয়ে কম ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তাসকিন নেন দুটি উইকেট।
সফরকারী বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সুযোগটা ভালোভাবেই নেন রিঙ্কু সিং-হার্দিক পান্ডিয়ারা। ২৯ বলে পাঁচটি চার আর তিন ছয়ে ৫৩ রান করেন রিঙ্কু। ১৯ বলে সমান দুটি চার ও ছক্কায় ৩২ করেন পান্ডিয়া। ইনিংসের শেষ ওভারে রিশাদ তিনটি উইকেট নিলেও ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২২১ রান তোলে ভারত।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা থেকে অজ্ঞাতনামা ৩ লাশ উদ্ধার

ওলট-পালট বোলিংয়ে ভারতের রেকর্ড

আপডেট সময় ০৪:২০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারার কারণ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যেত ‘অচেনা মাঠ’। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে অলআউট হওয়ার পেছনে সেদিন ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১.৫ ওভারে টপকে যায় ভারত। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে আছে সেটি আরেকবার প্রমাণ হয় সেদিন। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেও আর ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দারুণ সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এ মাঠে ২০১৯ সালে ভারতকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হারায় টাইগাররা। সেদিনও আগে ব্যাট করে ভারত ১৪৮ রান করলে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। এবারও তেমন কিছুর আভাস দিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ওপেনার সাঞ্জু স্যামসনকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মার স্টাম্প উড়িয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। বিধ্বংসী হওয়ার আগে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
এমন একটা শুরুর পরও মুহূর্তেই পালটে যায় দৃশ্যপট। রিঙ্কু সিং আর নিতিশ কুমারের জুটিতে ওলট-পালট হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। স্পিনারদের বিপক্ষে ৫৫ রান একাই তোলেন নিতিশ। যা ভারতের পক্ষে রেকর্ড। ইনিংসের ৭ থেকে ১৫ ওভারের ভেতর একটি উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তোলে ভারত। ৪১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ১৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ।

এদিন শুরুর ওভার করতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তিনি চার ওভার বোলিংও করতে পারেননি। তিন ওভারেই দেন ৪৬ রান। তানজিম দুটি উইকেট নিলেও চার ওভারে দেন ৫০ রান। রিশাদ হোসেন তিনটি উইকেট নিলেও দেন ৫৫ রান। মোস্তাফিজ ৩৬ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সবচেয়ে কম ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তাসকিন নেন দুটি উইকেট।
সফরকারী বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সুযোগটা ভালোভাবেই নেন রিঙ্কু সিং-হার্দিক পান্ডিয়ারা। ২৯ বলে পাঁচটি চার আর তিন ছয়ে ৫৩ রান করেন রিঙ্কু। ১৯ বলে সমান দুটি চার ও ছক্কায় ৩২ করেন পান্ডিয়া। ইনিংসের শেষ ওভারে রিশাদ তিনটি উইকেট নিলেও ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২২১ রান তোলে ভারত।