ঢাকা , শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সরব আলোচনার কেন্দ্রে ভাংগার খাটরা গ্রাম Logo বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আগামী নির্বাচন কে বানচাল করা যাবে না : সোহেল মাহামুদ Logo ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত Logo শরীয়তপুরে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় নবজাতকের মৃত্যু: মূল হোতা গ্রেপ্তার Logo সোনারগাঁয়ে বিপুল পরিমান গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ ৬ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার Logo প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই Logo ফরিদপুরের খাটরা গ্রামে হচ্ছে কি? Logo বন্দরে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক নারী কে মাদক দিয়ে ৫লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠছে ওসি লিয়াকতের বিরুদ্ধে – ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন Logo মধ্যবিত্তের সঙ্গে টিসিবির লাইনে মেসের শিক্ষার্থীরাও Logo ককটেল বিস্ফোরণের মামলা: মির্জা ফখরুল, আব্বাসসহ ৬৫ জনের অব্যাহতি

ওলট-পালট বোলিংয়ে ভারতের রেকর্ড

গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারার কারণ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যেত ‘অচেনা মাঠ’। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে অলআউট হওয়ার পেছনে সেদিন ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১.৫ ওভারে টপকে যায় ভারত। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে আছে সেটি আরেকবার প্রমাণ হয় সেদিন। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেও আর ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দারুণ সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এ মাঠে ২০১৯ সালে ভারতকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হারায় টাইগাররা। সেদিনও আগে ব্যাট করে ভারত ১৪৮ রান করলে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। এবারও তেমন কিছুর আভাস দিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ওপেনার সাঞ্জু স্যামসনকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মার স্টাম্প উড়িয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। বিধ্বংসী হওয়ার আগে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
এমন একটা শুরুর পরও মুহূর্তেই পালটে যায় দৃশ্যপট। রিঙ্কু সিং আর নিতিশ কুমারের জুটিতে ওলট-পালট হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। স্পিনারদের বিপক্ষে ৫৫ রান একাই তোলেন নিতিশ। যা ভারতের পক্ষে রেকর্ড। ইনিংসের ৭ থেকে ১৫ ওভারের ভেতর একটি উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তোলে ভারত। ৪১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ১৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ।

এদিন শুরুর ওভার করতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তিনি চার ওভার বোলিংও করতে পারেননি। তিন ওভারেই দেন ৪৬ রান। তানজিম দুটি উইকেট নিলেও চার ওভারে দেন ৫০ রান। রিশাদ হোসেন তিনটি উইকেট নিলেও দেন ৫৫ রান। মোস্তাফিজ ৩৬ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সবচেয়ে কম ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তাসকিন নেন দুটি উইকেট।
সফরকারী বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সুযোগটা ভালোভাবেই নেন রিঙ্কু সিং-হার্দিক পান্ডিয়ারা। ২৯ বলে পাঁচটি চার আর তিন ছয়ে ৫৩ রান করেন রিঙ্কু। ১৯ বলে সমান দুটি চার ও ছক্কায় ৩২ করেন পান্ডিয়া। ইনিংসের শেষ ওভারে রিশাদ তিনটি উইকেট নিলেও ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২২১ রান তোলে ভারত।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সরব আলোচনার কেন্দ্রে ভাংগার খাটরা গ্রাম

ওলট-পালট বোলিংয়ে ভারতের রেকর্ড

আপডেট সময় ০৪:২০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারার কারণ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যেত ‘অচেনা মাঠ’। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৭ রানে অলআউট হওয়ার পেছনে সেদিন ব্যাটারদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১.৫ ওভারে টপকে যায় ভারত। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে আছে সেটি আরেকবার প্রমাণ হয় সেদিন। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেও আর ঝুঁকি নিতে চাননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দারুণ সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। এ মাঠে ২০১৯ সালে ভারতকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে হারায় টাইগাররা। সেদিনও আগে ব্যাট করে ভারত ১৪৮ রান করলে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। এবারও তেমন কিছুর আভাস দিয়েছিলেন টাইগার বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ওপেনার সাঞ্জু স্যামসনকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মার স্টাম্প উড়িয়ে দেন তানজিম হাসান সাকিব। বিধ্বংসী হওয়ার আগে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
এমন একটা শুরুর পরও মুহূর্তেই পালটে যায় দৃশ্যপট। রিঙ্কু সিং আর নিতিশ কুমারের জুটিতে ওলট-পালট হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। স্পিনারদের বিপক্ষে ৫৫ রান একাই তোলেন নিতিশ। যা ভারতের পক্ষে রেকর্ড। ইনিংসের ৭ থেকে ১৫ ওভারের ভেতর একটি উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তোলে ভারত। ৪১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ১৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ।

এদিন শুরুর ওভার করতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে বল তুলে দেন টাইগার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত তিনি চার ওভার বোলিংও করতে পারেননি। তিন ওভারেই দেন ৪৬ রান। তানজিম দুটি উইকেট নিলেও চার ওভারে দেন ৫০ রান। রিশাদ হোসেন তিনটি উইকেট নিলেও দেন ৫৫ রান। মোস্তাফিজ ৩৬ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সবচেয়ে কম ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তাসকিন নেন দুটি উইকেট।
সফরকারী বোলারদের বাজে বোলিংয়ের সুযোগটা ভালোভাবেই নেন রিঙ্কু সিং-হার্দিক পান্ডিয়ারা। ২৯ বলে পাঁচটি চার আর তিন ছয়ে ৫৩ রান করেন রিঙ্কু। ১৯ বলে সমান দুটি চার ও ছক্কায় ৩২ করেন পান্ডিয়া। ইনিংসের শেষ ওভারে রিশাদ তিনটি উইকেট নিলেও ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ২২১ রান তোলে ভারত।