ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইইউ-চীনের ওপর শুল্কারোপের অঙ্গীকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীন থেকে করা আমদানি পণ্যে আবারও শুল্কারোপের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া মাদক তৈরির উপাদান ফেন্টানিল মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় চীনের ওপর শাস্তিমূলক আরও ১০ শতাংশ কর আরোপের কথাও বলেছেন তিনি। শপথগ্রহণের পরদিন স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার তিনি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন। নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্প তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্কারোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সেই মাফিক প্রথম দিনেই তিনি এ ধরনের নির্বাহী আদেশ দেননি। তাতেই আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে আর্থিক বাজার ও বাণিজ্যিক গ্রুপগুলো।

তবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আমদানিতে শুল্কের আওতা সম্প্রসারণের ডেডলাইন দিয়েছেন ট্রাম্প, তার গতকালের বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, তিনি এটি কার্যকর করতে চান। এর আওতায় প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি পণ্যেও ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হতে পারে। চীন তো ছাড় পাবেই না, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নও নয়।

মঙ্গলবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ইইউ ও অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা উদ্বেগজনক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের প্রতি খুব, খুব খারাপ করছে। এভাবে তারা শুল্কারোপের (ঝুঁকির) দিকে এগোচ্ছে। এটাই একমাত্র পথ… যদি আপনি ন্যায্যতা পেতে চান।

মেক্সিকো ও কানাডার বিষয়ে বলেন, তারা যদি চীন থেকে আসা মাদক তৈরির উপাদান নিজেদের সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার বন্ধ না করে, তাহলে তাদের ওপর শুল্কারোপের কথা ভাবছেন তিনি। এর আগে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির কারণে চীনের রফতানিপণ্যে ১০ শতাংশ হারে ঢালাও শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, পরে এর সময়সীমা বাড়িয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করেন।

হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো মঙ্গলবার বলেন, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে অবৈধ অভিবাসন ও মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই ট্রাম্প এ ধরনের শুল্কের হুমকি দিয়েছেন। তিনি চান দেশ দুটি এসব বন্ধ করতে উদ্যোগ নিক, সে জন্যই এমন চাপ দিয়েছেন।

এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিরোধের জায়গাগুলো যথাযথভাবে সমাধানে এবং উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্থিতিশীল ও টেকসই সম্পর্ক চায় বেইজিং। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মাও নিং বুধবার বলেন, আমরা সবসময়ই বিশ্বাস করি বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। তবে চীন সবসময় দৃঢ়ভাবে তার জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষিত রাখবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইইউ-চীনের ওপর শুল্কারোপের অঙ্গীকার ডোনাল্ড ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১১:২৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীন থেকে করা আমদানি পণ্যে আবারও শুল্কারোপের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া মাদক তৈরির উপাদান ফেন্টানিল মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় চীনের ওপর শাস্তিমূলক আরও ১০ শতাংশ কর আরোপের কথাও বলেছেন তিনি। শপথগ্রহণের পরদিন স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার তিনি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন। নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্প তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্কারোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সেই মাফিক প্রথম দিনেই তিনি এ ধরনের নির্বাহী আদেশ দেননি। তাতেই আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে আর্থিক বাজার ও বাণিজ্যিক গ্রুপগুলো।

তবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আমদানিতে শুল্কের আওতা সম্প্রসারণের ডেডলাইন দিয়েছেন ট্রাম্প, তার গতকালের বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, তিনি এটি কার্যকর করতে চান। এর আওতায় প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি পণ্যেও ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হতে পারে। চীন তো ছাড় পাবেই না, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নও নয়।

মঙ্গলবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ইইউ ও অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা উদ্বেগজনক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের প্রতি খুব, খুব খারাপ করছে। এভাবে তারা শুল্কারোপের (ঝুঁকির) দিকে এগোচ্ছে। এটাই একমাত্র পথ… যদি আপনি ন্যায্যতা পেতে চান।

মেক্সিকো ও কানাডার বিষয়ে বলেন, তারা যদি চীন থেকে আসা মাদক তৈরির উপাদান নিজেদের সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার বন্ধ না করে, তাহলে তাদের ওপর শুল্কারোপের কথা ভাবছেন তিনি। এর আগে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির কারণে চীনের রফতানিপণ্যে ১০ শতাংশ হারে ঢালাও শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, পরে এর সময়সীমা বাড়িয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করেন।

হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো মঙ্গলবার বলেন, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে অবৈধ অভিবাসন ও মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই ট্রাম্প এ ধরনের শুল্কের হুমকি দিয়েছেন। তিনি চান দেশ দুটি এসব বন্ধ করতে উদ্যোগ নিক, সে জন্যই এমন চাপ দিয়েছেন।

এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিরোধের জায়গাগুলো যথাযথভাবে সমাধানে এবং উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্থিতিশীল ও টেকসই সম্পর্ক চায় বেইজিং। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মাও নিং বুধবার বলেন, আমরা সবসময়ই বিশ্বাস করি বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। তবে চীন সবসময় দৃঢ়ভাবে তার জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষিত রাখবে।