ঢাকা , সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কাঁকড়ায় খাওয়া-কাটা ইলিশে সাধ মেটাচ্ছে মধ্যবিত্তরা Logo বিদেশের সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ Logo খাটরা পশ্চিম পাড়া কবরস্থান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জনউদ্বেগ Logo ৫০ ঊর্ধ্বে কফি হাউজ শেষবেলা ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo হাজীগঞ্জ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন Logo প্রাবসী স্বামীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি স্ত্রী সোনিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে Logo নির্ট ওনার্স নির্বাচনে সেলিম সারোয়ার প্যানেলে নিরুঙ্কুশ জয় Logo হাজী শহীদুল্লাহ্ টিটু’র নিরপেক্ষতায় গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার এর মাধ্যমে পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন Logo রূপগঞ্জে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূলে বিআরপি পার্টির উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলন Logo খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে বন্দরে বিএনপির পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট বিদ্বেষমূলক একটি মামলা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট একটি বিদ্বেষমূলক মামলা বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আপিলের বিষয়বস্তু থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, এ মামলায় আইনের কাল্পনিক অপপ্রয়োগ ঘটেছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আপিল বিভাগ বলেন, এ মামলার বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের রায় বাতিল করা হলো। ফলশ্রুতিতে সব আপিলকারীকে দোষী সাব্যস্ত না করে তাদের সম্পূর্ণ খালাস দেওয়া হলো। এই রায় অন্য আপিলকারী এবং যারা আপিল করেননি উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাসের রায়ে বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিরাও সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এ মামলায় আসামিদের যে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে, নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তারা হারানো সম্মান ফিরে পাবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অযৌক্তিক বিচারিক কার্যক্রমের অবসান ঘটবে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, সর্বোচ্চ আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।

এর আগে গত মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়। খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর চার কার্যদিবস শুনানি শেষে রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়। গত ৭ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

কাঁকড়ায় খাওয়া-কাটা ইলিশে সাধ মেটাচ্ছে মধ্যবিত্তরা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট বিদ্বেষমূলক একটি মামলা

আপডেট সময় ১০:২১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট একটি বিদ্বেষমূলক মামলা বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আপিলের বিষয়বস্তু থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, এ মামলায় আইনের কাল্পনিক অপপ্রয়োগ ঘটেছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আপিল বিভাগ বলেন, এ মামলার বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের রায় বাতিল করা হলো। ফলশ্রুতিতে সব আপিলকারীকে দোষী সাব্যস্ত না করে তাদের সম্পূর্ণ খালাস দেওয়া হলো। এই রায় অন্য আপিলকারী এবং যারা আপিল করেননি উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাসের রায়ে বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিরাও সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এ মামলায় আসামিদের যে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে, নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তারা হারানো সম্মান ফিরে পাবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অযৌক্তিক বিচারিক কার্যক্রমের অবসান ঘটবে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, সর্বোচ্চ আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।

এর আগে গত মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়। খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর চার কার্যদিবস শুনানি শেষে রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করা হয়। গত ৭ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হয়।