ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ফিফটির পর স্টাবসের সেঞ্চুরি, সিরিজ দ. আফ্রিকার

ট্রিস্টান স্টাবসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির উপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে তিন ম্যাচ সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রথম ওয়ানডেতে ফিফটি পেয়েছিলেন স্টাবস। আবু ধাবিতে শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮১ বলে ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। তার ঝড়ো ইনিংসে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ৩৪৩ রান করে। বোলিংয়ে লিজাড উইলিয়ামস ৩ উইকেট নিয়ে আটকে দেন আয়ারল্যান্ডকে। ৯ উইকেটে আয়ারল্যান্ড করেন ১১৭ রান। দশম উইকেটে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রানের জুটি গড়েন গ্রাহাম হুমে ও ক্রেইগ ইয়ং। তাদের দৃঢ়তায় আয়ারল্যান্ডের রান ১৬৯ এ গিয়ে পৌঁছে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়ে যায় বিশাল জয়।

ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতে রায়ান রিকেল্টন ও টেম্বা বাভুমা ৬৮ রানের জুটি গড়েন। বাভুমা ৩৫ রানে রিটাহার্ড হার্ট হন কনুইয়ের চোটে। তার সঙ্গী রিকেল্টন চল্লিশের ঘরে আটকে যান। পেসার ক্যাম্পারের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে রাইসি ফন ডার ডুসেন ৩৫ রান করেন। তাকে সঙ্গ দেন চারে নামা কাইল ভেরানে। ফিফটি তুলে নেওয়ার পর আরো ১৭ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ভেরানে। সেঞ্চুরিয়ান স্টাবস ক্রিজে আসেন ২৪তম ওভারে। পাঁচে নেমে ইনিংসের অর্ধেক ওভার পেয়েও মারকুটে ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি পেতে সমস্যা হয়নি। ৮ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে মাঠ মাতিয়ে রাখেন স্টাবস। ৮১ বলে ১১২ রানের ইনিংসটি খেলেন ১৩৮.২৭ স্ট্রাইক রেটে।

শেষ দিকে দলের দাবি মিটিয়েছেন উইয়ান মুল্ডার। ৩৪ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার রান সাড়ে তিনশর কাছাকাছি যায়। বল হাতে আইরিশদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ক্রেইগ ইয়ং, ক্যাম্পার, অ্যান্ড ম্যাকব্রেইন ও গেভিন হয়।

লক্ষ্য তাড়ায় তাদের ব্যাটিং ছিল একেবারেই এলোমেলো। স্কোরবোর্ডে রান দুই অঙ্কে যাওয়ার আগে দুই ওপেনার ড্রেসিংরুমে ফেরেন। সেখান থেকে ক্যাম্পার ও টেক্টর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউই বিশের ঘর পেরোতে পারেননি। এরপর মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়। আয়ারল্যান্ডের বড় পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় সেখানেই।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

হোম অ্যাডভান্টেজ নেবে বাংলাদেশ

ফিফটির পর স্টাবসের সেঞ্চুরি, সিরিজ দ. আফ্রিকার

আপডেট সময় ০৯:৪৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

ট্রিস্টান স্টাবসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির উপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে তিন ম্যাচ সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রথম ওয়ানডেতে ফিফটি পেয়েছিলেন স্টাবস। আবু ধাবিতে শুক্রবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮১ বলে ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। তার ঝড়ো ইনিংসে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ৩৪৩ রান করে। বোলিংয়ে লিজাড উইলিয়ামস ৩ উইকেট নিয়ে আটকে দেন আয়ারল্যান্ডকে। ৯ উইকেটে আয়ারল্যান্ড করেন ১১৭ রান। দশম উইকেটে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫২ রানের জুটি গড়েন গ্রাহাম হুমে ও ক্রেইগ ইয়ং। তাদের দৃঢ়তায় আয়ারল্যান্ডের রান ১৬৯ এ গিয়ে পৌঁছে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়ে যায় বিশাল জয়।

ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল দারুণ। উদ্বোধনী জুটিতে রায়ান রিকেল্টন ও টেম্বা বাভুমা ৬৮ রানের জুটি গড়েন। বাভুমা ৩৫ রানে রিটাহার্ড হার্ট হন কনুইয়ের চোটে। তার সঙ্গী রিকেল্টন চল্লিশের ঘরে আটকে যান। পেসার ক্যাম্পারের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে রাইসি ফন ডার ডুসেন ৩৫ রান করেন। তাকে সঙ্গ দেন চারে নামা কাইল ভেরানে। ফিফটি তুলে নেওয়ার পর আরো ১৭ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ভেরানে। সেঞ্চুরিয়ান স্টাবস ক্রিজে আসেন ২৪তম ওভারে। পাঁচে নেমে ইনিংসের অর্ধেক ওভার পেয়েও মারকুটে ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি পেতে সমস্যা হয়নি। ৮ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে মাঠ মাতিয়ে রাখেন স্টাবস। ৮১ বলে ১১২ রানের ইনিংসটি খেলেন ১৩৮.২৭ স্ট্রাইক রেটে।

শেষ দিকে দলের দাবি মিটিয়েছেন উইয়ান মুল্ডার। ৩৪ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার রান সাড়ে তিনশর কাছাকাছি যায়। বল হাতে আইরিশদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ক্রেইগ ইয়ং, ক্যাম্পার, অ্যান্ড ম্যাকব্রেইন ও গেভিন হয়।

লক্ষ্য তাড়ায় তাদের ব্যাটিং ছিল একেবারেই এলোমেলো। স্কোরবোর্ডে রান দুই অঙ্কে যাওয়ার আগে দুই ওপেনার ড্রেসিংরুমে ফেরেন। সেখান থেকে ক্যাম্পার ও টেক্টর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউই বিশের ঘর পেরোতে পারেননি। এরপর মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়। আয়ারল্যান্ডের বড় পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় সেখানেই।