ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুলসী পাতার উপকারিতা

তুলসী এমন একটি গাছ-যার পাতা, বীজ, বাকল ও শেকড় সবকিছুই অতি প্রয়োজনীয়। এ গাছ থেকে আমরা অনায়াসে কিছু উপকরণ তৈরি করতে পারি, যা কঠিন রোগের ওষুধ। চলুন জেনে নেওয়া যাক তুলসী পাতার ঔষধি গুণ-

রক্ত পরিশুদ্ধ করে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২-৩টি তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান এবং টক্সিন শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ হয়ে থাকে।

স্ট্রেস কমায়
তুলসী পাতা খাওয়া মাত্র কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে যেতে শুরু করে। ফলে স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে। কারণ কর্টিসল হরমোনের সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমাতেও তুলসী পাতা দারুণভাবে সাহায্য করে।

মাথার যন্ত্রণা কমায়
সিডেটিভ এবং ডিসইনফেকটেন্ট প্রপার্টিজ থাকার কারণে তুলসী পাতা যেকোনো ধরনের মাথার যন্ত্রণা কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি প্রায়শই সাইনাস বা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে কষ্ট কমাতে তুলসী পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে
একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর তুলসী পাতা, দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি এবং গ্লুকোমার মতো চোখের রোগকে দূরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন আটকাতেও সাহায্য করে।

ব্রণের প্রকোপ কমে
তুলসী পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুদের সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলে। ফলে ব্রণের প্রকোপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ব্রণের চিকিৎসায় তুলসী পাতা খেতে পারেন অথবা সরাসরি মুখে পেস্ট বানিয়ে লাগাতেও পারেন। দুই ক্ষেত্রেই সমান উপকার পাওয়া যায়।

নিশ্বাসের দুর্গন্ধ
নিশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতেও তুলসী পাতা খুবই উপকারী এবং প্রাকৃতিক হওয়ার কারণে এর কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। মুখে দুর্গন্ধ হলে কিছু তুলসী পাতা চিবিয়ে খান, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

সর্দি-জ্বরের প্রকোপ কমায়
তুলসী পাতা হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। তাই তো জ্বর এবং সর্দি-কাশি সারাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে তুলসী পাতা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র যে যে ভাইরাসের কারণে জ্বর হয়েছে, সেই জীবাণুগুলোকে মারতে শুরু করে। ফলে শরীর ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

যৌন রোগের চিকিৎসায়
শারীরিক দুর্বলতা আছে এমন পুরুষদের ক্ষেত্রে তুলসী বীজের ব্যবহার খুবই উপকারী। এ ছাড়া এর বীজ নিয়মিত ব্যবহার করলে যৌন-দুর্বলতায় উপকার পাওয়া যায়।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

তুলসী পাতার উপকারিতা

আপডেট সময় ১০:১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

তুলসী এমন একটি গাছ-যার পাতা, বীজ, বাকল ও শেকড় সবকিছুই অতি প্রয়োজনীয়। এ গাছ থেকে আমরা অনায়াসে কিছু উপকরণ তৈরি করতে পারি, যা কঠিন রোগের ওষুধ। চলুন জেনে নেওয়া যাক তুলসী পাতার ঔষধি গুণ-

রক্ত পরিশুদ্ধ করে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২-৩টি তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান এবং টক্সিন শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ হয়ে থাকে।

স্ট্রেস কমায়
তুলসী পাতা খাওয়া মাত্র কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে যেতে শুরু করে। ফলে স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে। কারণ কর্টিসল হরমোনের সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমাতেও তুলসী পাতা দারুণভাবে সাহায্য করে।

মাথার যন্ত্রণা কমায়
সিডেটিভ এবং ডিসইনফেকটেন্ট প্রপার্টিজ থাকার কারণে তুলসী পাতা যেকোনো ধরনের মাথার যন্ত্রণা কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি প্রায়শই সাইনাস বা মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে কষ্ট কমাতে তুলসী পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে
একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর তুলসী পাতা, দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি এবং গ্লুকোমার মতো চোখের রোগকে দূরে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন আটকাতেও সাহায্য করে।

ব্রণের প্রকোপ কমে
তুলসী পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুদের সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলে। ফলে ব্রণের প্রকোপ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ব্রণের চিকিৎসায় তুলসী পাতা খেতে পারেন অথবা সরাসরি মুখে পেস্ট বানিয়ে লাগাতেও পারেন। দুই ক্ষেত্রেই সমান উপকার পাওয়া যায়।

নিশ্বাসের দুর্গন্ধ
নিশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতেও তুলসী পাতা খুবই উপকারী এবং প্রাকৃতিক হওয়ার কারণে এর কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। মুখে দুর্গন্ধ হলে কিছু তুলসী পাতা চিবিয়ে খান, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

সর্দি-জ্বরের প্রকোপ কমায়
তুলসী পাতা হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। তাই তো জ্বর এবং সর্দি-কাশি সারাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে তুলসী পাতা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র যে যে ভাইরাসের কারণে জ্বর হয়েছে, সেই জীবাণুগুলোকে মারতে শুরু করে। ফলে শরীর ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

যৌন রোগের চিকিৎসায়
শারীরিক দুর্বলতা আছে এমন পুরুষদের ক্ষেত্রে তুলসী বীজের ব্যবহার খুবই উপকারী। এ ছাড়া এর বীজ নিয়মিত ব্যবহার করলে যৌন-দুর্বলতায় উপকার পাওয়া যায়।