নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁ: নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের উপজেলার শান্তিপ্রিয় ছোট সাদিপুর এলাকায় আবারও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে সনিয়া নামের এক নারীর পরকীয়া কাণ্ড। একাধিকবার অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে স্থানীয়দের চোখে বিতর্কিত হয়ে উঠা সনিয়া এবার নতুন আরেক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোর অভিযোগে ফের আলোচনায় এসেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সনিয়ার পরকীয়ার কাহিনি নতুন নয়। গত কয়েক বছর ধরেই তিনি একাধিক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগে বারবার সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। এমনকি তার কর্মকাণ্ড নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশও হয়েছে, কিন্তু কোনো কিছুতেই তাকে থামানো যায়নি।
উল্লেখ্য, বরিশালের এক বিবাহিত দুই সন্তানের জনক রাজমিস্ত্রী, উপজেলার ছোট সাদিপুর এলাকায় কাজের সুবাদে ভাড়া থাকছিলেন। এখানেই সনিয়া তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। সনিয়ার বর্তমানে ১৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
তবে, সনিয়ার জীবনে থামছে না পরকিয়া সম্পর্কের ঝড়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তার পরের পরকীয়া ছিল উপজেলার পিরোজপুর কান্দারগাও এক বিবাহিত ডিম ব্যবসায়ীকে নিয়ে। ঐ ডিম ব্যাবসায়ী যুবকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন। তখনও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর রোষানলে পড়েছিলেন উভয়ে। অথচ সময় গড়িয়েছে, কিন্তু সনিয়ার ‘আচরণ’ বদলায়নি। এই সম্পর্কের কারণে তার আগের সংসারে বিচ্ছেদ ঘটে।
সনিয়ার ‘পরকীয়া সঙ্গী’ যুবককে প্রকাশ্যে ধরে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এই সম্পর্কও ছিল সমাজে আলোচিত এবং সমালোচিত।
এর পরেও থেমে নেই সনিয়া একাধিক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন তিনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, “এমন অনৈতিক জীবনধারা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সনিয়া যেন পরকীয়াকে নিজের জীবনের নিয়মে পরিণত করেছে। তার কারণে এলাকার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।”
এখন প্রশ্ন উঠেছে— কতবার একই অপরাধে জড়িয়েও সনিয়া কেন থেকে যাচ্ছেন আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে? ছোট সাদিপুর গ্রামবাসী চায়, এই ধরনের কাণ্ডের যেন স্থায়ী প্রতিকার হয়।
এলাকার ইউপি সদস্য জাহের মেম্বার বলেন,” এলাকাবাসী ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন নারীর বারবার সংসার ভাঙা এবং পরকীয়ায় জড়ানো সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। সনিয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন মাধ্যমে অনেক কিছু শুনেছি আমার কাছে কেহ অভিযোগ দেয়নি।
একাধিক পরকীয়ার ব্যপারে জানতে চাইলে সনিয়া বলেন, আমি নারী, তাই সবাই আমাকেই দোষ দেয়। কিন্তু যারা আমার সঙ্গে ছিল, তারা কি দায়মুক্ত? বরিশালের রাজমিস্ত্রী হোক বা ডিম ব্যবসায়ী—সবাই স্বেচ্ছায় সম্পর্ক করেছে। এলাকাবাসী চাপে বিয়ে দিচ্ছে, আবার আমাকেই দোষী বানাচ্ছে। আমি তো কারও সংসার ভাঙতে যাইনি। সব দোষ শুধু আমাকেই দিলে, সেটা কি ন্যায়বিচার।