ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

রূপগঞ্জে বিক্রির জন্য প্রস্তুত চাহিদার বেশি কোরবানির পশু

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। এ উপজেলায় ১৫ হাজার ৫০০ পশুর চাহিদা থাকলেও খামারগুলোতে প্রস্তুতকৃত পশু রয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৭টি বিভিন্ন ধরনের পশু।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, খামারে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় এক হাজার ৫৫৪টি ছোট-বড় খামার রয়েছে। এসব খামারে ৮ হাজার ১৮১টি গরু, ৫১টি মহিষ ও সাতা হাজার ৬৫৫টি ছাগল এবং ভেড়া রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রমতে, গত বছর উপজেলায় ১১টি হাট বসেছিল। চলতি বছর এখনো হাট ইজারা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়নি। তবে যে পরিমাণ হাট বসবে তার প্রতিটি হাটেই ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে। যদি কোনো পশু ট্রাকে উঠা-নামা করতে বা রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সেখানেও ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম পৌঁছে দায়িত্ব পালন করবে।

উপজেলার তারাব পৌর এলাকার খামারি সমশের আলী জানান, ছয়টি মহিষ প্রায় দশ মাস ধরে পরিচর্যা করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আসছেন দেখছেন কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম বলছেন না। ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে মহিষগুলো হাটে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

গন্ধর্বপুর এলাকার সামাদ মিয়া জানান, বিক্রির জন্য তিনি দুটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন। একেকটার ওজন সাত-থেকে আট মণ হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দেখতে আসছেন। কিন্তু এখন যে দাম উঠেছে তাতে খরচ বাদে তেমন লাভ হবে না। বাড়িতে ভাল দাম না পেলে ঈদের কয়েকদিন আগে হাটে ওঠাবো।

উপজেলার ভুলতা এলাকার গাউছিয়া ডেইরির ম্যানেজার সোহেল রানা জানান, আমাদের ফার্মে দুগ্ধজাত গবাদি পশু পালন ও কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়। এ বছর ঈদুল আযহায় ৬০টি গরু মোটাতাজা করা হয়।

রূপগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রিগান মোল্লা জানান, উপজেলার দেড় হাজারের অধিক খামানিপশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য যে পরিমাণ পশু এখানকার খামারি পর্যায়ে প্রস্তুত রয়েছে তাতে চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি থাকবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

রূপগঞ্জে বিক্রির জন্য প্রস্তুত চাহিদার বেশি কোরবানির পশু

আপডেট সময় ১০:০১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। এ উপজেলায় ১৫ হাজার ৫০০ পশুর চাহিদা থাকলেও খামারগুলোতে প্রস্তুতকৃত পশু রয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৭টি বিভিন্ন ধরনের পশু।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, খামারে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় এক হাজার ৫৫৪টি ছোট-বড় খামার রয়েছে। এসব খামারে ৮ হাজার ১৮১টি গরু, ৫১টি মহিষ ও সাতা হাজার ৬৫৫টি ছাগল এবং ভেড়া রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রমতে, গত বছর উপজেলায় ১১টি হাট বসেছিল। চলতি বছর এখনো হাট ইজারা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়নি। তবে যে পরিমাণ হাট বসবে তার প্রতিটি হাটেই ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে। যদি কোনো পশু ট্রাকে উঠা-নামা করতে বা রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে সেখানেও ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম পৌঁছে দায়িত্ব পালন করবে।

উপজেলার তারাব পৌর এলাকার খামারি সমশের আলী জানান, ছয়টি মহিষ প্রায় দশ মাস ধরে পরিচর্যা করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আসছেন দেখছেন কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম বলছেন না। ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে মহিষগুলো হাটে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

গন্ধর্বপুর এলাকার সামাদ মিয়া জানান, বিক্রির জন্য তিনি দুটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন। একেকটার ওজন সাত-থেকে আট মণ হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দেখতে আসছেন। কিন্তু এখন যে দাম উঠেছে তাতে খরচ বাদে তেমন লাভ হবে না। বাড়িতে ভাল দাম না পেলে ঈদের কয়েকদিন আগে হাটে ওঠাবো।

উপজেলার ভুলতা এলাকার গাউছিয়া ডেইরির ম্যানেজার সোহেল রানা জানান, আমাদের ফার্মে দুগ্ধজাত গবাদি পশু পালন ও কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়। এ বছর ঈদুল আযহায় ৬০টি গরু মোটাতাজা করা হয়।

রূপগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রিগান মোল্লা জানান, উপজেলার দেড় হাজারের অধিক খামানিপশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য যে পরিমাণ পশু এখানকার খামারি পর্যায়ে প্রস্তুত রয়েছে তাতে চাহিদা মিটিয়েও বাড়তি থাকবে।