ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকরা আমার কথা না বুঝেই প্রতিবাদ করেছে : গিয়াসউদ্দিন

জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, এই প্রেস ক্লাবে ভালো সাংবাদিকও আছে, খারাপ সাংবাদিকও আছে। আমি কথা বলি খারাপ এবং হলুদ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংক্রমের জন্য ভালো সাংবাদিকদের আহŸান জানাই। হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তাদেরই কথা বলা উচিত। কিছুদিন আগে ফতুল্লায়ক সভায় বক্তৃতা দিয়েছিলাম কিন্তু আমার সাংবাদিক বন্ধুরা বুঝতে পারি না আমি কি বলতে চেয়েছি।

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গণসমাবেশ’র আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)। চাষাড়া শহীদ জিয়া হল প্রাঙ্গণে এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন গিয়াস উদ্দিন।

 

এ সময় আরো বলেন, প্রেসক্লাব একটি প্রতিষ্ঠানের নাম কিন্তু এখানে যে সদস্যরা আছে তাদের মধ্যে ভালো খারাপ থাকতে পারে। যেমন ফতুল্লায় তেল চোর, লুটেরা, মাস্তান, জায়গা দখলকারী ওই ক্লাবের সদস্য আছে। আমি অবাক হয়েছি এমন একটি আদর্শের পেশাকে পুঁজি করে তারা এ ধরণের কাজ করে। এই প্রেস ক্লাবের নামকে ব্যবহার করেই ব্যবসা-বাণিজ্য লুণ্ঠন করার চেষ্টা অনেকেই করছে। এজন্য আমি বক্তৃতা দিয়েছে খারাপ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। যারা সাংবাদিক নামে লুটেরা তারা কেন সেই সংগঠনের মধ্যে থাকবে। যার যারা ভালো সংবাদ আছে তাদের প্রশংসা আমি সকল জায়গায় করি। যারা থানায় গিয়ে দালালি করার পর তারা যদি প্রেস ক্লাবের পরিচয় দেয়, তাহলে কি তাদের জন্য ভালো সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুন্ন হয় কিনা।

 

গিয়াস উদ্দিন আরো বলেন, আমি এ কথা বলার পর অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন না বুঝে। প্রতিবাদ করারও অধিকার আপনাদের আছে, তবে কি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন সেটা ভেবে নিন। সাংবাদিক তারাই হতে পারে যারা ভদ্র ভাল এবং লেখাপড়া করেছে। কিন্তু বর্তমানে সাজার সাংবাদিক আছেন তারা কতটুকু লেখাপড়া করেছে। তাদের কোন যোগ্যতা নেই কাজ করার ক্ষমতা নেই, তারপর আসে একটা সাংবাদিকের কার্ড নিয়ে সেটাকে বেঁচে খায়। আপনারা কি ভাবেন প্রেসক্লাবকে বললে সবাইকে বলি নিশ্চয়ই নয়। প্রেসক্লাবের সমালোচনা করতে খারাপদের সমালোচনা করাকে বোঝাই। প্রস্তাব সহ জেলার সকল প্রতিষ্ঠান যদি সুষ্ঠুভাবে করতে পারি তাহলে একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ করতে পারব।

 

সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, মস্তান, সন্ত্রাস ও খারাপ লোকদের না নিয়ে ভালো লোকদের নিয়ে রাজনীতি করবো। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আমরাই গণতন্ত্র চর্চ অনুশীলন করব। দলের মধ্যে গণতন্ত্র না হলে দেশের মতো গণতন্ত্র কাম্য করা ঠিক না। শিক্ষাও ধর্মের প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে। যারা যেটা অভিজ্ঞ তাদের সে কাজ করতে দেওয়া হবে। যে ধ্বংস বিগত সরকার করে গেছে সেই ভাবে যেন কেউ ধ্বংস করতে না পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের ভেতর যেন অন্য কেউ ঢুকে শিক্ষকদের অপমানিত করতে না পারে।

 

জনসভায় মহানর জাসাস’র সভাপতি মো. স্বপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা জাসাস’র সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, বিশেষ অতিথি জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনিসুল ইসলাম সানি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবীর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু প্রমুখ।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিকরা আমার কথা না বুঝেই প্রতিবাদ করেছে : গিয়াসউদ্দিন

আপডেট সময় ১২:১৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, এই প্রেস ক্লাবে ভালো সাংবাদিকও আছে, খারাপ সাংবাদিকও আছে। আমি কথা বলি খারাপ এবং হলুদ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংক্রমের জন্য ভালো সাংবাদিকদের আহŸান জানাই। হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তাদেরই কথা বলা উচিত। কিছুদিন আগে ফতুল্লায়ক সভায় বক্তৃতা দিয়েছিলাম কিন্তু আমার সাংবাদিক বন্ধুরা বুঝতে পারি না আমি কি বলতে চেয়েছি।

 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গণসমাবেশ’র আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)। চাষাড়া শহীদ জিয়া হল প্রাঙ্গণে এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন গিয়াস উদ্দিন।

 

এ সময় আরো বলেন, প্রেসক্লাব একটি প্রতিষ্ঠানের নাম কিন্তু এখানে যে সদস্যরা আছে তাদের মধ্যে ভালো খারাপ থাকতে পারে। যেমন ফতুল্লায় তেল চোর, লুটেরা, মাস্তান, জায়গা দখলকারী ওই ক্লাবের সদস্য আছে। আমি অবাক হয়েছি এমন একটি আদর্শের পেশাকে পুঁজি করে তারা এ ধরণের কাজ করে। এই প্রেস ক্লাবের নামকে ব্যবহার করেই ব্যবসা-বাণিজ্য লুণ্ঠন করার চেষ্টা অনেকেই করছে। এজন্য আমি বক্তৃতা দিয়েছে খারাপ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। যারা সাংবাদিক নামে লুটেরা তারা কেন সেই সংগঠনের মধ্যে থাকবে। যার যারা ভালো সংবাদ আছে তাদের প্রশংসা আমি সকল জায়গায় করি। যারা থানায় গিয়ে দালালি করার পর তারা যদি প্রেস ক্লাবের পরিচয় দেয়, তাহলে কি তাদের জন্য ভালো সাংবাদিকদের সম্মান ক্ষুন্ন হয় কিনা।

 

গিয়াস উদ্দিন আরো বলেন, আমি এ কথা বলার পর অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন না বুঝে। প্রতিবাদ করারও অধিকার আপনাদের আছে, তবে কি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন সেটা ভেবে নিন। সাংবাদিক তারাই হতে পারে যারা ভদ্র ভাল এবং লেখাপড়া করেছে। কিন্তু বর্তমানে সাজার সাংবাদিক আছেন তারা কতটুকু লেখাপড়া করেছে। তাদের কোন যোগ্যতা নেই কাজ করার ক্ষমতা নেই, তারপর আসে একটা সাংবাদিকের কার্ড নিয়ে সেটাকে বেঁচে খায়। আপনারা কি ভাবেন প্রেসক্লাবকে বললে সবাইকে বলি নিশ্চয়ই নয়। প্রেসক্লাবের সমালোচনা করতে খারাপদের সমালোচনা করাকে বোঝাই। প্রস্তাব সহ জেলার সকল প্রতিষ্ঠান যদি সুষ্ঠুভাবে করতে পারি তাহলে একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ করতে পারব।

 

সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, মস্তান, সন্ত্রাস ও খারাপ লোকদের না নিয়ে ভালো লোকদের নিয়ে রাজনীতি করবো। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আমরাই গণতন্ত্র চর্চ অনুশীলন করব। দলের মধ্যে গণতন্ত্র না হলে দেশের মতো গণতন্ত্র কাম্য করা ঠিক না। শিক্ষাও ধর্মের প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে। যারা যেটা অভিজ্ঞ তাদের সে কাজ করতে দেওয়া হবে। যে ধ্বংস বিগত সরকার করে গেছে সেই ভাবে যেন কেউ ধ্বংস করতে না পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের ভেতর যেন অন্য কেউ ঢুকে শিক্ষকদের অপমানিত করতে না পারে।

 

জনসভায় মহানর জাসাস’র সভাপতি মো. স্বপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা জাসাস’র সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, বিশেষ অতিথি জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনিসুল ইসলাম সানি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবীর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু প্রমুখ।