ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকদের হুমকির প্রতিবাদে গিয়াসকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ফতুল্লা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা। সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে তার বক্তব্য আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে তিনি বক্তব্য প্রত্যাহার করে না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা এ ঘোষণা দেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিনকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে দৈনিক উজ্জীবিত পত্রিকার সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, ‘জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন এক সমাবেশে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তিনি বাপ ডাকিয়ে ছাড়বেন, যদি কেউ উল্টা পাল্টা লেখে। এবং ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অথচ আপনারা অপকর্ম করবেন আর আমরা লিখতে পারবো না। আপনার ছেলেরা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা ঝুট সেক্টর দখল করবে, মানুষের জমি দখল করবে- এগুলো নিয়ে লিখলে আপনারা হুমকি দেবেন। এটা হতে পারেনা। মনে রাখবেন এটা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার নয়। আমরা হয়তো ভুলে গেছি, আপনি সেই আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন। এই দল করে আপনি ২০০১ সালে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। আপনার ভেতরে সেই স্বৈরাচারের রক্ত এখনো প্রবাহমান। গিয়াসউদ্দিন সাহেব আপনি হতে পারেন একটি দলের জেলার সভাপতি। কিন্তু সাংবাদিকরা আপনার চাকরি করে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্য জনসভায় আপনি আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন। নতুবা ফতুল্লা সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সর্বস্তরের সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠন নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।

ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সেলিম মুন্সি বলেন, সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবকে উদ্দেশ্য করে গিয়াসউদ্দিনের বক্তব্যটি স্বৈরাচারের মত হয়েছে। কারণ স্বৈরাচাররা সাধারণত প্রথমে গণমাধ্যমে কণ্ঠরোধ করতে চায়। তিনি সাংবাদকিদের এবং ফতুল্লা প্রেস ক্লাবকে দেখে নেওয়ার যে হুমকি দিয়েছেন সেটার যদি সঠিক ব্যাখ্যা না দেন, তাহলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে স্বৈরাচার হিসেবে আখ্যায়িত হবেন। আমি তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বক্তব্যটি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. মাসুম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে এবং তার ‍পূর্বে আপনাকের কখনো রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে দেখিনি। অথচ এখন আপনি আমাদের চোখ রাঙাচ্ছেন। গত ৫ আগস্টের পরে আপনার রূপ পরিবর্তন হয়ে গেল, আপনি সেই হাসিনার দোসরদের মত সাংবাদিকদের নিয়ে বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন। ডিসি অফিসে, ভূইগড়ে, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সহ বিভিন্ন স্থান আপনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, গত শনিবার ফতুল্লার চতলার মাঠে এক সমাবেশে তিনি ফতুল্লা প্রেসক্লাবকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘ফতুল্লা প্রেস ক্লাব সোজা হয়ে যাও।’ এবং ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোন নিউজ করা হলে সাংবাদিকদের বাপ ডাকিয়ে ছাড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।’ তার মত একজন প্রাক্তন সংসদ সদস্যের কাছে এ ধরনের বক্তব্য আমরা আশা করিনি। এরুপ বক্তব্য বিগত সময়ে অনেকে দিয়েছেন, তবে ফতুল্লা প্রেস ক্লাব তার জায়গায় অনড় ছিলেন। ফতুল্লা প্রেসক্লাব কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি, সব সময় অন্যায়ের বিরেুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ফতুল্লা প্রেসক্লাব সব সময় সত্যের পক্ষে ছিল, সত্যের পক্ষে থাকবে।

গিয়াসউদ্দিনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২৪ ঘণ্টার সময় দিলাম। এই সময়ের মধ্যে আপনি যদি আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন তাহলে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবো। প্রয়োজনে আমরা বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে যাবো। আমরা চাই আপনি আপনার ভুল শুধরে নেন। মনে রাখবেন, ফতুল্লা প্রেসক্লাব কারও হুমকিকে ভয় পায়না কারও চোখ রাঙানিকে ভয় পায়না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সবুজ, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আলামিন প্রধান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, মডেল রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল্লাহ রিপন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন সহ প্রমুখ।

এর আগে, গত শনিবার বিকেলে ফতুল্লার এনায়েত নগর ইউনিয়নের ধর্মগঞ্জ চট্টলার মাঠে বিএনপির এক সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে হুমকি দেন। সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই বক্তব্যে গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেন আপনাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। এখানকার (ফতুল্লার) তেল চোর, মাঠ চোর, এমন ব্যক্তি একটি সংবাদপত্র কিনেছে নারায়ণগঞ্জে। সেটা পরিচালনা করছে। বাপ ডাকিয়ে দেব; কিন্তু তোমরা যারা কলম লিখ, মিথ্যা লিখ। তোমাদের ছাড়া (ছাড় দেওয়া) হবে না। শুধু সাংবাদিক বলে তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে চোখ রাঙাবে, কুৎসা রটনা করবে।’

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফতুল্লা প্রেস ক্লাব, সোজা হয়ে যাও। তোমাদের চিনি কারা কারা সেখানে আছ। সেখানে কারা কোন বাড়ির, কোন ফ্যামিলির, কার কতটুকু পড়াশোনা, কার কেমন আচরণ, সততা ও বুদ্ধিমত্তা সবকিছু আমরা জানি। ছেড়ে দেব না কিন্তু। আমি রাজনীতি করি, আন্দোলন সংগ্রাম করি তোমাদের ভয় পাই না।’

সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের এরুপ বক্তব্যের পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাংবাদিক মহল। এরপর থেকে সাংবাদিক মহল থেকে নিন্দার ঝড় উঠে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিকদের হুমকির প্রতিবাদে গিয়াসকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

আপডেট সময় ১০:২৫:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ফতুল্লা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা। সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে তার বক্তব্য আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করে নেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিকরা। এই সময়ের মধ্যে তিনি বক্তব্য প্রত্যাহার করে না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা এ ঘোষণা দেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিনকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে দৈনিক উজ্জীবিত পত্রিকার সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, ‘জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন এক সমাবেশে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তিনি বাপ ডাকিয়ে ছাড়বেন, যদি কেউ উল্টা পাল্টা লেখে। এবং ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অথচ আপনারা অপকর্ম করবেন আর আমরা লিখতে পারবো না। আপনার ছেলেরা এবং দলীয় নেতাকর্মীরা ঝুট সেক্টর দখল করবে, মানুষের জমি দখল করবে- এগুলো নিয়ে লিখলে আপনারা হুমকি দেবেন। এটা হতে পারেনা। মনে রাখবেন এটা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার নয়। আমরা হয়তো ভুলে গেছি, আপনি সেই আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন। এই দল করে আপনি ২০০১ সালে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। আপনার ভেতরে সেই স্বৈরাচারের রক্ত এখনো প্রবাহমান। গিয়াসউদ্দিন সাহেব আপনি হতে পারেন একটি দলের জেলার সভাপতি। কিন্তু সাংবাদিকরা আপনার চাকরি করে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্য জনসভায় আপনি আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন। নতুবা ফতুল্লা সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সর্বস্তরের সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠন নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।

ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সেলিম মুন্সি বলেন, সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবকে উদ্দেশ্য করে গিয়াসউদ্দিনের বক্তব্যটি স্বৈরাচারের মত হয়েছে। কারণ স্বৈরাচাররা সাধারণত প্রথমে গণমাধ্যমে কণ্ঠরোধ করতে চায়। তিনি সাংবাদকিদের এবং ফতুল্লা প্রেস ক্লাবকে দেখে নেওয়ার যে হুমকি দিয়েছেন সেটার যদি সঠিক ব্যাখ্যা না দেন, তাহলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে স্বৈরাচার হিসেবে আখ্যায়িত হবেন। আমি তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বক্তব্যটি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মো. মাসুম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে এবং তার ‍পূর্বে আপনাকের কখনো রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে দেখিনি। অথচ এখন আপনি আমাদের চোখ রাঙাচ্ছেন। গত ৫ আগস্টের পরে আপনার রূপ পরিবর্তন হয়ে গেল, আপনি সেই হাসিনার দোসরদের মত সাংবাদিকদের নিয়ে বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন। ডিসি অফিসে, ভূইগড়ে, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সহ বিভিন্ন স্থান আপনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন।

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, গত শনিবার ফতুল্লার চতলার মাঠে এক সমাবেশে তিনি ফতুল্লা প্রেসক্লাবকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘ফতুল্লা প্রেস ক্লাব সোজা হয়ে যাও।’ এবং ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোন নিউজ করা হলে সাংবাদিকদের বাপ ডাকিয়ে ছাড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।’ তার মত একজন প্রাক্তন সংসদ সদস্যের কাছে এ ধরনের বক্তব্য আমরা আশা করিনি। এরুপ বক্তব্য বিগত সময়ে অনেকে দিয়েছেন, তবে ফতুল্লা প্রেস ক্লাব তার জায়গায় অনড় ছিলেন। ফতুল্লা প্রেসক্লাব কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনি, সব সময় অন্যায়ের বিরেুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ফতুল্লা প্রেসক্লাব সব সময় সত্যের পক্ষে ছিল, সত্যের পক্ষে থাকবে।

গিয়াসউদ্দিনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২৪ ঘণ্টার সময় দিলাম। এই সময়ের মধ্যে আপনি যদি আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন তাহলে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবো। প্রয়োজনে আমরা বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে যাবো। আমরা চাই আপনি আপনার ভুল শুধরে নেন। মনে রাখবেন, ফতুল্লা প্রেসক্লাব কারও হুমকিকে ভয় পায়না কারও চোখ রাঙানিকে ভয় পায়না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সবুজ, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আলামিন প্রধান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, মডেল রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল্লাহ রিপন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন সহ প্রমুখ।

এর আগে, গত শনিবার বিকেলে ফতুল্লার এনায়েত নগর ইউনিয়নের ধর্মগঞ্জ চট্টলার মাঠে বিএনপির এক সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে হুমকি দেন। সেই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই বক্তব্যে গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেন আপনাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। এখানকার (ফতুল্লার) তেল চোর, মাঠ চোর, এমন ব্যক্তি একটি সংবাদপত্র কিনেছে নারায়ণগঞ্জে। সেটা পরিচালনা করছে। বাপ ডাকিয়ে দেব; কিন্তু তোমরা যারা কলম লিখ, মিথ্যা লিখ। তোমাদের ছাড়া (ছাড় দেওয়া) হবে না। শুধু সাংবাদিক বলে তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে চোখ রাঙাবে, কুৎসা রটনা করবে।’

ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফতুল্লা প্রেস ক্লাব, সোজা হয়ে যাও। তোমাদের চিনি কারা কারা সেখানে আছ। সেখানে কারা কোন বাড়ির, কোন ফ্যামিলির, কার কতটুকু পড়াশোনা, কার কেমন আচরণ, সততা ও বুদ্ধিমত্তা সবকিছু আমরা জানি। ছেড়ে দেব না কিন্তু। আমি রাজনীতি করি, আন্দোলন সংগ্রাম করি তোমাদের ভয় পাই না।’

সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের এরুপ বক্তব্যের পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাংবাদিক মহল। এরপর থেকে সাংবাদিক মহল থেকে নিন্দার ঝড় উঠে।