ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে সেমির পথে অস্ট্রেলিয়া

বরাবরের মতো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিল। ব্যর্থতার দায় দিতে হলো দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমি ফাইনালের রেস থেকে বাদ পড়ে। অন্যদিকে ইংলিশদের ৩৩ রানে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া সেমি ফাইনালের রেসে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করলো।

আহমেদাবাদে শনিবার (৪ নভেম্বর) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৮৬ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। তাড়া করতে নেমে ২৫৩ রানে থামে ইংল্যান্ড। ৭ ম্যাচে পাঁচ জয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করলো অজিরা। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের এটি ষষ্ঠ হার।

তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। সেই ধাক্কা সামলে না উঠতেই সাজঘরে ফেরেন জো রুট (১৩)। হাল ধরেন ডেবিড মালান-বেন স্টোকস। দুজনে ৮৪ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের আভাস দেন।

মালান (৫০) ফিফটির পর সাজঘরে ফিরলে ছন্দপতন ঘটে। স্টোকসের সঙ্গী হন মঈন আলী। দুজনে আবার জুটি গড়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন। স্টোকস ফিফটি তুলে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ৬৪ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৬৩ রানের জুটি। লিয়াম লিভিংস্টোন এসে ২ রানের বেশি করতে পারেননি। ৪২ রানে স্টোকস-লিভিংস্টোনদের পথ ধরেন মঈনও।

শেষ দিকে দারুণ চেষ্টা করেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। দুজনে ২৮ বলে ৩৭ রান যোগ করে রানের ব্যবধান কমান। ১৩ বলে যখন প্রয়োজন ৩৪ রান তখন ছক্কা মারতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওকস (৩৩ বলে ৩২)। তার আউটের পর আর কোনও রানই করতে পারেনি ইংল্যান্ড। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা। সঙ্গে ব্যাট হাতে ক্যামিও ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন জাম্পা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ৩৮ রানে তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। এই দুজনের বিদায়ে তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মার্নাস লাবুশেন।

দুজন মিলে বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে শতরানের ঘর পার করান। দলীয় ১১৩ রানের মাথায় ৫২ বলে ৪৪ রান করে আদিল রশিদের বলে তার হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্মিথ। দ্রুত ফিরে যান জস ইংলিশও। এরপর লাবুশেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ক্যামেরন গ্রিন। দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় ৭১ রান করে লাবুশেন বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর আর তেমন বড় কোনও জুটি গড়ে ওঠেনি। গ্রিন ৪৭ রান করে বিদায় নিলে আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। বলার মত সময়োপযোগী দুইটি ইনিংস খেলেন মার্কাস স্টয়নিস (৩৫) ও অ্যাডাম জাম্পা (২৯)। আর তাতেই ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে সেমির পথে অস্ট্রেলিয়া

আপডেট সময় ০৮:৪০:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

বরাবরের মতো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের ব্যর্থতার মিছিল। ব্যর্থতার দায় দিতে হলো দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমি ফাইনালের রেস থেকে বাদ পড়ে। অন্যদিকে ইংলিশদের ৩৩ রানে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া সেমি ফাইনালের রেসে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করলো।

আহমেদাবাদে শনিবার (৪ নভেম্বর) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৮৬ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। তাড়া করতে নেমে ২৫৩ রানে থামে ইংল্যান্ড। ৭ ম্যাচে পাঁচ জয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করলো অজিরা। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের এটি ষষ্ঠ হার।

তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। সেই ধাক্কা সামলে না উঠতেই সাজঘরে ফেরেন জো রুট (১৩)। হাল ধরেন ডেবিড মালান-বেন স্টোকস। দুজনে ৮৪ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের আভাস দেন।

মালান (৫০) ফিফটির পর সাজঘরে ফিরলে ছন্দপতন ঘটে। স্টোকসের সঙ্গী হন মঈন আলী। দুজনে আবার জুটি গড়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন। স্টোকস ফিফটি তুলে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ৬৪ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৬৩ রানের জুটি। লিয়াম লিভিংস্টোন এসে ২ রানের বেশি করতে পারেননি। ৪২ রানে স্টোকস-লিভিংস্টোনদের পথ ধরেন মঈনও।

শেষ দিকে দারুণ চেষ্টা করেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। দুজনে ২৮ বলে ৩৭ রান যোগ করে রানের ব্যবধান কমান। ১৩ বলে যখন প্রয়োজন ৩৪ রান তখন ছক্কা মারতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন ওকস (৩৩ বলে ৩২)। তার আউটের পর আর কোনও রানই করতে পারেনি ইংল্যান্ড। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা। সঙ্গে ব্যাট হাতে ক্যামিও ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন জাম্পা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ৩৮ রানে তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার। এই দুজনের বিদায়ে তৃতীয় উইকেটে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মার্নাস লাবুশেন।

দুজন মিলে বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে শতরানের ঘর পার করান। দলীয় ১১৩ রানের মাথায় ৫২ বলে ৪৪ রান করে আদিল রশিদের বলে তার হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্মিথ। দ্রুত ফিরে যান জস ইংলিশও। এরপর লাবুশেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ক্যামেরন গ্রিন। দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় ৭১ রান করে লাবুশেন বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি।

এরপর আর তেমন বড় কোনও জুটি গড়ে ওঠেনি। গ্রিন ৪৭ রান করে বিদায় নিলে আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। বলার মত সময়োপযোগী দুইটি ইনিংস খেলেন মার্কাস স্টয়নিস (৩৫) ও অ্যাডাম জাম্পা (২৯)। আর তাতেই ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া।