ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চারশ’র লক্ষ্যে খেলতে নেমে একশ’র আগেই অলআউট নেদারল্যান্ডস

লক্ষ্য বিশাল। সেই বিশাল রানে চাপা পড়েছে নেদারল্যান্ডস। তাতে রান বিবেচনায় বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া।

দিল্লিতে বুধবার (২৫ অক্টোবর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯০ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। ৩০৯ রানের জয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়ে অজিরা। ওয়ানডে ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। ৩১৭ রানে জয়ের রেকর্ড রয়েছে ভারতের।

এদিন ডাচরা নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানে আউট হওয়ার বাজে রেকর্ডও গড়ে। এর আগে তারা সর্বনিম্ন ৮০ রানে অলআউট হয়ছিল। তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেম বিক্রমজিত সিং। অন্য ওপেনার ম্যাক্স ও দাউড (৬) আউট হতেই পতনের শুরু।

উইকেটের মিছিলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে বিক্রমজিতের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া তেজা নিদামানুরু ১৪, সিব্র‍্যান্ড ১২ ও অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর কেউ দুই অংকের ঘরের মুখ দেখেননি।

অজিদের হয়ে অ্যাডাম জাম্পা মাত্র ৩ ওভারে ৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। একমাত্র অজি বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন জাম্পা। সর্বোচ্চ ৪ বার চার উইকেট নিয়ে শেন ওয়ার্নের রেকর্ডে ভাগ বসান এই লেগ স্পিনার। ২ উইকেট নেন মিচেল মার্শ। ১ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন মিচেল স্টার্ক। তার উইকেট সংখ্যা ৫৬টি।

এর আগে ডেবিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি ও গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলর দ্রুততম সেঞ্চুরিতে ভর করে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেন ম্যাক্সওয়েল।

দলীয় ৯ রানে মিচেল মার্শ সাজঘরে ফিরলে স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে এগোতে থাকেন ওয়ার্নার। দুজনে ১৩২ রানের জুটি গড়েন। স্মিথ ৭১ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ওয়ার্নার ক্ষান্ত হন বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে। ১০৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

মার্নাস লাবুশানে খেলেন ৪৭ বলে ৭২ রানের ইনিংস। মাঝে জস ইংলিশ (১৪) ও ক্যামেরন গ্রিন (৮) ফেরার পর প্যাট কামিন্সকে নিয়ে শুরু হয় ম্যাক্সওয়েল ঝড়। এই জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ৪৪ বলে ১০৩ রান। তাতে ম্যাক্সওয়েলের অবদান ৩৬ বলে ৯১! ৯ চার ও ৮ ছক্কায় মাত্র ৪৪ বলে ১০৬ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। সেঞ্চুরি আসে ৪০ বলে।

১০ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ফন বিক। তবে ১০ ওভারে ১১৫ রান দেন বাস ডি লিড। ওয়ানডে ইতিহাসে ১০ ওভারে এর আগে এত রান কেউ দেয়নি!

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

চারশ’র লক্ষ্যে খেলতে নেমে একশ’র আগেই অলআউট নেদারল্যান্ডস

আপডেট সময় ০৪:০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

লক্ষ্য বিশাল। সেই বিশাল রানে চাপা পড়েছে নেদারল্যান্ডস। তাতে রান বিবেচনায় বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া।

দিল্লিতে বুধবার (২৫ অক্টোবর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। তাড়া করতে নেমে মাত্র ৯০ রানে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। ৩০৯ রানের জয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়ে অজিরা। ওয়ানডে ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। ৩১৭ রানে জয়ের রেকর্ড রয়েছে ভারতের।

এদিন ডাচরা নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানে আউট হওয়ার বাজে রেকর্ডও গড়ে। এর আগে তারা সর্বনিম্ন ৮০ রানে অলআউট হয়ছিল। তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেম বিক্রমজিত সিং। অন্য ওপেনার ম্যাক্স ও দাউড (৬) আউট হতেই পতনের শুরু।

উইকেটের মিছিলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে বিক্রমজিতের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া তেজা নিদামানুরু ১৪, সিব্র‍্যান্ড ১২ ও অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর কেউ দুই অংকের ঘরের মুখ দেখেননি।

অজিদের হয়ে অ্যাডাম জাম্পা মাত্র ৩ ওভারে ৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। একমাত্র অজি বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন জাম্পা। সর্বোচ্চ ৪ বার চার উইকেট নিয়ে শেন ওয়ার্নের রেকর্ডে ভাগ বসান এই লেগ স্পিনার। ২ উইকেট নেন মিচেল মার্শ। ১ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন মিচেল স্টার্ক। তার উইকেট সংখ্যা ৫৬টি।

এর আগে ডেবিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি ও গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েলর দ্রুততম সেঞ্চুরিতে ভর করে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেন ম্যাক্সওয়েল।

দলীয় ৯ রানে মিচেল মার্শ সাজঘরে ফিরলে স্টিভেন স্মিথকে নিয়ে এগোতে থাকেন ওয়ার্নার। দুজনে ১৩২ রানের জুটি গড়েন। স্মিথ ৭১ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ওয়ার্নার ক্ষান্ত হন বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে। ১০৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

মার্নাস লাবুশানে খেলেন ৪৭ বলে ৭২ রানের ইনিংস। মাঝে জস ইংলিশ (১৪) ও ক্যামেরন গ্রিন (৮) ফেরার পর প্যাট কামিন্সকে নিয়ে শুরু হয় ম্যাক্সওয়েল ঝড়। এই জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ৪৪ বলে ১০৩ রান। তাতে ম্যাক্সওয়েলের অবদান ৩৬ বলে ৯১! ৯ চার ও ৮ ছক্কায় মাত্র ৪৪ বলে ১০৬ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। সেঞ্চুরি আসে ৪০ বলে।

১০ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ফন বিক। তবে ১০ ওভারে ১১৫ রান দেন বাস ডি লিড। ওয়ানডে ইতিহাসে ১০ ওভারে এর আগে এত রান কেউ দেয়নি!