ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বড় জয়ে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শুরু

বাস ডি লিড-বিক্রমজিত সিংয়ের জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। দুজনের জুটি ভাঙ্গার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নেদারল্যান্ডস। উচ্ছ্বসিত পাকিস্তান শিবির তখন গুনছিল জয়ের প্রহর। মেকেরিনের স্ট্যাম্প উড়িয়ে হারিস রউফ এনে দিলেন বাবর আজমদের বিশ্বকাপের শুভযাত্রা।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান।

রান তাড়া করতে নেমে নেদারল্যান্ডস ৪১ ওভারে ২০৫ রানে অল আউট হয়। ৮১ রানের বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তান।

সর্বোচ্চ ৬৭ রান আসে বাস ডি লিডের ব্যাট থেকে। ৬৮ বলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ের মারে এই রান করেন বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা এই অলরাউন্ডার।

এর আগে, বল হাতেও নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ৫২ রান আসে ওপেনার বিক্রমজিতের ব্যাট থেকে। ৬৭ বলে এই রান করেন তিনি। ৭৬ বলে দুজনের ৭০ রানের জুটি ছাড়া ডাচরা পাকিস্তানি বোলারদের কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি।

 

২৮ রানে অপরাজিত থাকেন লোগান ভ্যাক বিক। কলিন আকারম্যান ১৭ ও জুলফিকার সাকিব ১০ রান করেন। এছাড়া, আর কেউ দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি। পাকিস্তানের হয়ে ৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রউফ। ২ উইকেট নেন নাসিম শাহের ইনজুরিতে দলে ঢোকা পেসার হাসান আলী।

এর আগে, টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান। দুই ওপেনার ফখর জামান ১২ ও ইমাম উল হক ১৫ রানে ফেরেন। অধিনায়ক বাবরের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। এরপর সৌদ শাকিলকে নিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান শত রানের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামাল দেন।

১১৪ বলে ১২০ রান আসে দুজনের জুটি থেকে। ৫২ বলে ৬৮ রানে সৌদ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। সৌদের পর ফেরেন রিজওয়ানও। ৭৫ বলে ৬৮ রান করে আউট হন তিনি। ফিফটির পাশাপাশি বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন সৌদ।

দুই সেট ব্যাটার ফিরলে ক্রিজে এসে ইফতেখার আহমেদও টিকতে পারেননি। ১১ বলে ৯ রান করে তিনিও ফেরেন। এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খান ৭০ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের দিকে নিতে থাকেন। নাওয়াজ ৩৯ ও শাদাব ৩২ রান করেন। শেষে হারিস রউফ ১৬ ও শাহিন আফ্রিদি ১৩ রান করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন। শাহিন অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন বাস ডি লিড। ৯ ওভারে ৬২ রান দিয়ে এই উইকেট নেন তিনি। ২ উইকেট জমা হয় কলিন আকারম্যানের ঝুলিতে। ১টি করে উইকেট নেন রিয়ান দত্ত, লোগান ভ্যান বিক ও পল মেকেরিন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

বড় জয়ে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শুরু

আপডেট সময় ০৯:২৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

বাস ডি লিড-বিক্রমজিত সিংয়ের জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। দুজনের জুটি ভাঙ্গার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নেদারল্যান্ডস। উচ্ছ্বসিত পাকিস্তান শিবির তখন গুনছিল জয়ের প্রহর। মেকেরিনের স্ট্যাম্প উড়িয়ে হারিস রউফ এনে দিলেন বাবর আজমদের বিশ্বকাপের শুভযাত্রা।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান।

রান তাড়া করতে নেমে নেদারল্যান্ডস ৪১ ওভারে ২০৫ রানে অল আউট হয়। ৮১ রানের বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তান।

সর্বোচ্চ ৬৭ রান আসে বাস ডি লিডের ব্যাট থেকে। ৬৮ বলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ের মারে এই রান করেন বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা এই অলরাউন্ডার।

এর আগে, বল হাতেও নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ৫২ রান আসে ওপেনার বিক্রমজিতের ব্যাট থেকে। ৬৭ বলে এই রান করেন তিনি। ৭৬ বলে দুজনের ৭০ রানের জুটি ছাড়া ডাচরা পাকিস্তানি বোলারদের কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি।

 

২৮ রানে অপরাজিত থাকেন লোগান ভ্যাক বিক। কলিন আকারম্যান ১৭ ও জুলফিকার সাকিব ১০ রান করেন। এছাড়া, আর কেউ দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি। পাকিস্তানের হয়ে ৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রউফ। ২ উইকেট নেন নাসিম শাহের ইনজুরিতে দলে ঢোকা পেসার হাসান আলী।

এর আগে, টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান। দুই ওপেনার ফখর জামান ১২ ও ইমাম উল হক ১৫ রানে ফেরেন। অধিনায়ক বাবরের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। এরপর সৌদ শাকিলকে নিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান শত রানের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামাল দেন।

১১৪ বলে ১২০ রান আসে দুজনের জুটি থেকে। ৫২ বলে ৬৮ রানে সৌদ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। সৌদের পর ফেরেন রিজওয়ানও। ৭৫ বলে ৬৮ রান করে আউট হন তিনি। ফিফটির পাশাপাশি বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন সৌদ।

দুই সেট ব্যাটার ফিরলে ক্রিজে এসে ইফতেখার আহমেদও টিকতে পারেননি। ১১ বলে ৯ রান করে তিনিও ফেরেন। এরপর মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খান ৭০ বলে ৬৪ রানের জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের দিকে নিতে থাকেন। নাওয়াজ ৩৯ ও শাদাব ৩২ রান করেন। শেষে হারিস রউফ ১৬ ও শাহিন আফ্রিদি ১৩ রান করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন। শাহিন অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন বাস ডি লিড। ৯ ওভারে ৬২ রান দিয়ে এই উইকেট নেন তিনি। ২ উইকেট জমা হয় কলিন আকারম্যানের ঝুলিতে। ১টি করে উইকেট নেন রিয়ান দত্ত, লোগান ভ্যান বিক ও পল মেকেরিন।