ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরার ২টি আসনে নৌকা চান ২৫ জন, সাকিবকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরার দুইটি সংসদীয় আসনে ২৫ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এ তালিকায় বর্তমান সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যেমন রয়েছেন, পাশাপাশি এমন অনেকেই রয়েছেন, যাদের নাম অতীতে শোনা যায়নি, দলীয় কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি এবং অনেকের দলীয় কোনো পদও নেই।

এই ২৫ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে ১৫ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মাগুরা-২ (মহম্মদপুর, শালিখা ও জেলা সদরের চারটি ইউনিয়ন) আসনের জন্য। ১০ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মাগুরা-১ (মাগুরা সদর ও শ্রীপুর) আসনের জন্য।

জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, মাগুরা-১ আসন থেকে বর্তমান এমপি ও জেলা আওায়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, সাকিব আল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য এটিএম আব্দুল ওয়াহ্‌হাব, এসএম শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমীর ওসমান, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মিরুল ইসলাম, ইসমত আরা হ্যাপি ও কুতুবুল্লাহ কুটি মিয়া, আব্দুল্লাহ খান রনি ও পঙ্কজ রায় দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

অন্যদিকে মাগুরা-২ আসন থেকে বর্তমান এমপি ও জেলা আওায়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরেন শিকদার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল চ্যাটার্জী, অ্যাডভোকেট শফিকুজ্জামান বাচ্চু, সাকিব আল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ওহিদুর রহমান টিপু, কার্যনির্বাহী সদস্য কবিরুজ্জামান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা কাজী শরিফ উদ্দিন, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আইয়ুব বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈকতুজ্জামান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য প্রকৌশলী শেখ নবীব আলী, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, সাংবাদিক শাহিদুল হাসান খোকন, ফয়জুর রহমান চৌধুরী, আব্বাস আল কোরেশী৷ ও মঞ্জুরুল ইসলাম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ বলেন, জেলায় আমরা রাজনীতির পরীক্ষিত মানুষদেরকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাই। হঠাৎ করে কাউকে চাপিয়ে দিলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। তারা সবসময় যাদের সহজে কাছে পেয়েছেন তাদেরকেই ভোট দিতে পছন্দ করেন। এটাই প্রকৃত বাস্তবতা।

শ্রম ও বাণিজ্য ষিষয়ক সম্পাদক মাজেদুল হক ঝন্টু বলেন, সাকিব ক্রিকেটে ভালো। জেলার রাজনৈতিতে তার কোনো অবস্থান ছিল না, এখনো নেই। তিনি জেলায় লুকিয়ে আসেন লুকিয়ে চলে যান। কেউ তাকে দেখতে গেলে তিনি বিরক্ত হন। জেলার সাংবাদিকদের পর্যন্ত এড়িয়ে চলেন। এ ধরনের তারকাদের জন্যে রাজনীতি নয়।

জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম বিপু বলেন, সাকিবের জেলার মানুষের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নির্বাচন এলে অনেককেই মনোনয়ন কিনতে দেখছি। কিন্তু আমরা যারা জেলার রাজনীতির সঙ্গে আছি কোনোদিন সামান্য কুশল বিনিময় করতে দেখিনি।

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বলেন, সাকিব দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। মাগুরার ক’জন মানুষের নাম তিনি বলতে পারবেন সেটা আমাদের জানা নেই।

শহরের মুদি দোকানদার আইয়ুব হোসেন বলেন, সাকিব আল হাসান আমাদের মতো দরিদ্র মানুষের কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না। শুনেছি তিনি অনেক টাকার মালিক। কিন্তু তার পক্ষে বলার মতো কিছুই নেই।

আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে প্রার্থী হওয়ার। নিজেকে যোগ্য মনে করছেন বলেই হয়তো তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন। এতে আমি দোষের কিছু দেখি না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরার ২টি আসনে নৌকা চান ২৫ জন, সাকিবকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় ০৩:৫৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরার দুইটি সংসদীয় আসনে ২৫ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এ তালিকায় বর্তমান সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যেমন রয়েছেন, পাশাপাশি এমন অনেকেই রয়েছেন, যাদের নাম অতীতে শোনা যায়নি, দলীয় কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি এবং অনেকের দলীয় কোনো পদও নেই।

এই ২৫ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে ১৫ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মাগুরা-২ (মহম্মদপুর, শালিখা ও জেলা সদরের চারটি ইউনিয়ন) আসনের জন্য। ১০ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন মাগুরা-১ (মাগুরা সদর ও শ্রীপুর) আসনের জন্য।

জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, মাগুরা-১ আসন থেকে বর্তমান এমপি ও জেলা আওায়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, সাকিব আল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য এটিএম আব্দুল ওয়াহ্‌হাব, এসএম শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমীর ওসমান, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মিরুল ইসলাম, ইসমত আরা হ্যাপি ও কুতুবুল্লাহ কুটি মিয়া, আব্দুল্লাহ খান রনি ও পঙ্কজ রায় দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

অন্যদিকে মাগুরা-২ আসন থেকে বর্তমান এমপি ও জেলা আওায়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরেন শিকদার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল চ্যাটার্জী, অ্যাডভোকেট শফিকুজ্জামান বাচ্চু, সাকিব আল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ওহিদুর রহমান টিপু, কার্যনির্বাহী সদস্য কবিরুজ্জামান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা কাজী শরিফ উদ্দিন, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আইয়ুব বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈকতুজ্জামান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য প্রকৌশলী শেখ নবীব আলী, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান, সাংবাদিক শাহিদুল হাসান খোকন, ফয়জুর রহমান চৌধুরী, আব্বাস আল কোরেশী৷ ও মঞ্জুরুল ইসলাম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ বলেন, জেলায় আমরা রাজনীতির পরীক্ষিত মানুষদেরকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাই। হঠাৎ করে কাউকে চাপিয়ে দিলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। তারা সবসময় যাদের সহজে কাছে পেয়েছেন তাদেরকেই ভোট দিতে পছন্দ করেন। এটাই প্রকৃত বাস্তবতা।

শ্রম ও বাণিজ্য ষিষয়ক সম্পাদক মাজেদুল হক ঝন্টু বলেন, সাকিব ক্রিকেটে ভালো। জেলার রাজনৈতিতে তার কোনো অবস্থান ছিল না, এখনো নেই। তিনি জেলায় লুকিয়ে আসেন লুকিয়ে চলে যান। কেউ তাকে দেখতে গেলে তিনি বিরক্ত হন। জেলার সাংবাদিকদের পর্যন্ত এড়িয়ে চলেন। এ ধরনের তারকাদের জন্যে রাজনীতি নয়।

জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম বিপু বলেন, সাকিবের জেলার মানুষের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নির্বাচন এলে অনেককেই মনোনয়ন কিনতে দেখছি। কিন্তু আমরা যারা জেলার রাজনীতির সঙ্গে আছি কোনোদিন সামান্য কুশল বিনিময় করতে দেখিনি।

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বলেন, সাকিব দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। মাগুরার ক’জন মানুষের নাম তিনি বলতে পারবেন সেটা আমাদের জানা নেই।

শহরের মুদি দোকানদার আইয়ুব হোসেন বলেন, সাকিব আল হাসান আমাদের মতো দরিদ্র মানুষের কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না। শুনেছি তিনি অনেক টাকার মালিক। কিন্তু তার পক্ষে বলার মতো কিছুই নেই।

আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে প্রার্থী হওয়ার। নিজেকে যোগ্য মনে করছেন বলেই হয়তো তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন। এতে আমি দোষের কিছু দেখি না।