ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে বাল্যবিয়ে হচ্ছে

  • কিরণ শংকর দে
  • আপডেট সময় ১০:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
  • ৫২০ বার পড়া হয়েছে

১৭ ও ১৮নং ওয়ার্ডের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নগর ভবনের পার্শ্ববর্তী নিতাইগঞ্জ ঋষিপাড়া বস্তির কন্যা শিশুদের অভিভাবকরা বাল্যবিয়ের ব্যাপারে উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন।সরকার নিধারিত নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে তাদের কন্যা শিশুদের বিয়ে দেওয়ার কথা প্রায়ই শোনা যায়। ১২কে ১৫ বয়সের মধ্যে এই সমস্ত কন্যা শিশুদের মতামত না নিয়ে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে একতরফাভাবে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বাল্যবিয়ের দিকে। নানা ধরনের কুসংস্কারে আচ্ছন্ন এ-সব অভিভাবকরা বিয়ের ব্যাপারে যত আজেবাজে যুক্তি খাড়া করে এবং বিভিন্ন দোহাই দিয়ে কন্যা শিশুদের বিয়ের পিড়িতে বসানো হচ্ছে। অল্প বয়সে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার কারণে স্বামীর সংসারে গিয়ে তাদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং মা হওয়ার আগে ও পরে নানারকম রোগে ভুগে আস্তেআস্তে অসুস্থ হয়ে পড়ে, আবার কোন কোন সময়ে মৃত্যুও হয়ে থাকে। বাল্যবিয়ের পরিণতিতে শুধু মেয়েই অপুষ্টি ও দু্র্বলতায় ভুগে না তার গর্ভে আসা সন্তানকেও এ রোগে আক্রান্ত হতে হয়। কিন্তু এ সমস্ত অভিভাবকরা কিছুতেই বুঝতে চায়না যে তাদের সন্তানদের পরিণতি কি হতে পারে। তারা কন্যা শিশুকে আপদ এবং বোঝা মনে করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘর থেকে বিদায় করতে পারলেই যেন বেঁচে যায়। এই বস্তিতে এনজিও ‘দের আসা-যাওয়া থাকলেও বাল্যবিয়ে রোধে এগিয়ে আসতে কাউকে দেখা যায়নি বলে জানা গেছে।
তাই এ সমস্ত কন্যা শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সবাইকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। তা-না হলে থেকেই যাবে বাল্যবিয়ে, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মতো সামাজিক এ সমস্যাগুলো।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ণগঞ্জে বাল্যবিয়ে হচ্ছে

আপডেট সময় ১০:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

১৭ ও ১৮নং ওয়ার্ডের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নগর ভবনের পার্শ্ববর্তী নিতাইগঞ্জ ঋষিপাড়া বস্তির কন্যা শিশুদের অভিভাবকরা বাল্যবিয়ের ব্যাপারে উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন।সরকার নিধারিত নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে তাদের কন্যা শিশুদের বিয়ে দেওয়ার কথা প্রায়ই শোনা যায়। ১২কে ১৫ বয়সের মধ্যে এই সমস্ত কন্যা শিশুদের মতামত না নিয়ে লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়ে একতরফাভাবে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বাল্যবিয়ের দিকে। নানা ধরনের কুসংস্কারে আচ্ছন্ন এ-সব অভিভাবকরা বিয়ের ব্যাপারে যত আজেবাজে যুক্তি খাড়া করে এবং বিভিন্ন দোহাই দিয়ে কন্যা শিশুদের বিয়ের পিড়িতে বসানো হচ্ছে। অল্প বয়সে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার কারণে স্বামীর সংসারে গিয়ে তাদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং মা হওয়ার আগে ও পরে নানারকম রোগে ভুগে আস্তেআস্তে অসুস্থ হয়ে পড়ে, আবার কোন কোন সময়ে মৃত্যুও হয়ে থাকে। বাল্যবিয়ের পরিণতিতে শুধু মেয়েই অপুষ্টি ও দু্র্বলতায় ভুগে না তার গর্ভে আসা সন্তানকেও এ রোগে আক্রান্ত হতে হয়। কিন্তু এ সমস্ত অভিভাবকরা কিছুতেই বুঝতে চায়না যে তাদের সন্তানদের পরিণতি কি হতে পারে। তারা কন্যা শিশুকে আপদ এবং বোঝা মনে করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘর থেকে বিদায় করতে পারলেই যেন বেঁচে যায়। এই বস্তিতে এনজিও ‘দের আসা-যাওয়া থাকলেও বাল্যবিয়ে রোধে এগিয়ে আসতে কাউকে দেখা যায়নি বলে জানা গেছে।
তাই এ সমস্ত কন্যা শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সবাইকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। তা-না হলে থেকেই যাবে বাল্যবিয়ে, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মতো সামাজিক এ সমস্যাগুলো।