ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার অবৈধ ব্যবসায় ফতুল্লা থেকে আনোয়ার অপহরণ

কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন তুষারধারা এলাকা হতে আনোয়ার হোসেন খান (৪৪) কে অপহরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আনোয়ারকে উদ্ধার করে র‌্যাব-৩। এ সময় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো- অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতা হাজী ওয়াজী উল্লাহ্ খোকন (৬৫), মো. আরিফ হোসেন (৫৫), সাইফ উদ্দিন আহমেদ মিলন (৬২), সিরাতুল মোস্তাকিম (৫৮), মো. রুহুল আমিন (৬০), মো. জাকির হোসেন (৩০), মো. স্বাধীন (৫২)।

র‌্যাব সূত্র জানায়, গত ১ মে রাত সোয়া ৮টার দিকে ফতুল্লা থানাধীন তুষারধারা এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে গ্রেপ্তারকৃত খোকন হাজীর নেতৃত্বে ৮-৯ জনের একটি অপহরণকারী চক্র ভিকটিম আনোয়ারকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া এলাকায় খোকন হাজীর মালিকানাধীন ‘‘চুনকুটিয়া রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’’ অফিসের ভিতরে আটকে রাখে।

পরবর্তীতে অপহরণকারীরা ভিকটিমের উপর লোহার রড, পাইপ ও লাঠি দিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় এবং মোবাইলে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ ৯৫ লাখ টাকা দাবি করে। ভিকটিমের ছোটভাই তার ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে অপহরণকারী চক্র কর্তৃক প্রদানকৃত একটি ব্যাংক হিসাব নাম্বারে প্রেরণ করে।

উক্ত টাকা প্রদানের পরও অপহরণকারীরা ভিকটিমের উপর নির্যাতন অব্যাহত রাখে এবং তার পরিবারকে বাকি টাকা প্রদানের জন্য হুমকি প্রদান করতে থাকে। বাকি টাকা প্রদান না করলে তাকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।

এঘটনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় উক্ত অপহরণকারী চক্র ও ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের অফিসের ভেতরে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত একটি রিভলবার, ৮ রাউন্ড রিভলবারের গুলি ও শটগান জব্দসহ ভিকটিম আনোয়াকে উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায় গ্রেপ্তারকৃত খোকন হাজী ২০১৫ সাল থেকে দেশের মূল্যবান কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য পিতলের ধাতব মুদ্রা ভারতে পাচার করে আসছিল। তার এ দুষ্কর্মে সহযোগী ছিল ভারতীয় নাগরিক জনৈক মিলন চক্রবর্তী। যিনি নিজেকে একটি বিখ্যাত ভারতীয় কোম্পানীর এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিতো।

কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য পিতলের ধাতব মুদ্রার মূল ক্রেতা ছিল মিলন চক্রবর্তী। গ্রেপ্তারকৃত খোকন হাজী ২০১৫ হতে ২০১৭ সালের মধ্যে কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ধাতব মুদ্রার ০৭টি চালান ভারতে পাচার করেছিল।

খোকন হাজীর কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ধাতবমুদ্রা সংগ্রহের কাজে জনৈক নাঈম (৩৫), মোস্তফা হাওলাদার (৫০) ও রবি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশব্যাপী কাজ করতো। বিনিময়ে এদরেকে মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে বেতন দিতো।

দীর্ঘদিন অবৈধ কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার ব্যবসায় সহযোগিতা করার দরুণ খোকন হাজীর সাথে মোস্তফা হাওলাদারের ওতপ্রোত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। ২০১৭ সালে ভারতীয় নাগরিক মিলন চক্রবর্তী খোকন হাজীকে বিশেষ কষ্টিপাথরের মূর্তি ও পিতলের ধাতব মুদ্রা ক্রয়ের প্রস্তাব দেন। যার বিনিময় মূল্য ৪০০ কোটি টাকা।

খোকন হাজীর বিশ্বস্ত মোস্তফা হাওলাদার দুষ্প্রাপ্য মূর্তি ও ধাতব মুদ্রা প্রদানের কথা বলে ঝালকাঠিতে নকল মূর্তি ও একটি প্লাস্টিকের বাক্সে নকল ধাতব মুদ্রা প্রদান করে খোকন হাজীর কাছ থেকে ৯৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।

নকল মূর্তি ও নকল মুদ্রা পেয়ে খোকন হাজী অত্যন্ত ক্ষিপ্র হয়ে যান এবং মোস্তফা হাওলাদারকে পাগলের মতো ঝালকাঠির বিভিন্ন রাস্তায় রাস্তায় খুঁজতে থাকেন। কিন্তু নিরুদ্দেশ মোস্তফা হাওলাদারের কোন সন্ধান সে পায় না। মোস্তফা হাওলাদার ভিকটিম অপহৃত আনোয়ার এর ভায়রা-ভাই।

গত ১ মে মোস্তফা হাওলাদার ও নাঈম এর একজন সহযোগী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খোকন হাজীকে জানায়, মোস্তফা হাওলাদারের ভায়রা ভিকটিম আনোয়ার ফতুল্লা থানাধীন তুষারধারা এলাকায় একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে এবং তাকে ধরতে পারলে মোস্তফা হাওলাদারের সন্ধান পাওয়া যাবে।

এ প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারকৃত খোকন হাজী তার অপরাপর সহযোগী আরিফ হোসেন, মিলন, মোস্তাকিম, রুহুল, জাকির এবং স্বাধীনকে নিয়ে ভিকটিম আনোয়ারকে অপহরণের পরিকল্পনা করে।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত খোকন হাজীর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা একটি সাদা মাইক্রো বাসে করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভিকটিমকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় নিয়ে এসে মুক্তিপণ দাবী করে।

র‌্যাব জানায়, খোকন হাজী একজন ঠিকাদার এবং মতিঝিল এলাকায় তার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঠিকাদারী ব্যবসার আড়ালে খোকন হাজী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য ধাতব মুদ্রার কারবার করে আসছিল।

উদ্ধারকৃত ভিকটিম আনোয়ারকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার অবৈধ ব্যবসায় ফতুল্লা থেকে আনোয়ার অপহরণ

আপডেট সময় ১০:১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার অবৈধ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন তুষারধারা এলাকা হতে আনোয়ার হোসেন খান (৪৪) কে অপহরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আনোয়ারকে উদ্ধার করে র‌্যাব-৩। এ সময় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলো- অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতা হাজী ওয়াজী উল্লাহ্ খোকন (৬৫), মো. আরিফ হোসেন (৫৫), সাইফ উদ্দিন আহমেদ মিলন (৬২), সিরাতুল মোস্তাকিম (৫৮), মো. রুহুল আমিন (৬০), মো. জাকির হোসেন (৩০), মো. স্বাধীন (৫২)।

র‌্যাব সূত্র জানায়, গত ১ মে রাত সোয়া ৮টার দিকে ফতুল্লা থানাধীন তুষারধারা এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে গ্রেপ্তারকৃত খোকন হাজীর নেতৃত্বে ৮-৯ জনের একটি অপহরণকারী চক্র ভিকটিম আনোয়ারকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া এলাকায় খোকন হাজীর মালিকানাধীন ‘‘চুনকুটিয়া রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’’ অফিসের ভিতরে আটকে রাখে।

পরবর্তীতে অপহরণকারীরা ভিকটিমের উপর লোহার রড, পাইপ ও লাঠি দিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় এবং মোবাইলে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ ৯৫ লাখ টাকা দাবি করে। ভিকটিমের ছোটভাই তার ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে অপহরণকারী চক্র কর্তৃক প্রদানকৃত একটি ব্যাংক হিসাব নাম্বারে প্রেরণ করে।

উক্ত টাকা প্রদানের পরও অপহরণকারীরা ভিকটিমের উপর নির্যাতন অব্যাহত রাখে এবং তার পরিবারকে বাকি টাকা প্রদানের জন্য হুমকি প্রদান করতে থাকে। বাকি টাকা প্রদান না করলে তাকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।

এঘটনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় উক্ত অপহরণকারী চক্র ও ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের অফিসের ভেতরে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত একটি রিভলবার, ৮ রাউন্ড রিভলবারের গুলি ও শটগান জব্দসহ ভিকটিম আনোয়াকে উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায় গ্রেপ্তারকৃত খোকন হাজী ২০১৫ সাল থেকে দেশের মূল্যবান কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য পিতলের ধাতব মুদ্রা ভারতে পাচার করে আসছিল। তার এ দুষ্কর্মে সহযোগী ছিল ভারতীয় নাগরিক জনৈক মিলন চক্রবর্তী। যিনি নিজেকে একটি বিখ্যাত ভারতীয় কোম্পানীর এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিতো।

কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য পিতলের ধাতব মুদ্রার মূল ক্রেতা ছিল মিলন চক্রবর্তী। গ্রেপ্তারকৃত খোকন হাজী ২০১৫ হতে ২০১৭ সালের মধ্যে কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ধাতব মুদ্রার ০৭টি চালান ভারতে পাচার করেছিল।

খোকন হাজীর কষ্টিপাথরের মূর্তি ও ধাতবমুদ্রা সংগ্রহের কাজে জনৈক নাঈম (৩৫), মোস্তফা হাওলাদার (৫০) ও রবি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশব্যাপী কাজ করতো। বিনিময়ে এদরেকে মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে বেতন দিতো।

দীর্ঘদিন অবৈধ কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রার ব্যবসায় সহযোগিতা করার দরুণ খোকন হাজীর সাথে মোস্তফা হাওলাদারের ওতপ্রোত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। ২০১৭ সালে ভারতীয় নাগরিক মিলন চক্রবর্তী খোকন হাজীকে বিশেষ কষ্টিপাথরের মূর্তি ও পিতলের ধাতব মুদ্রা ক্রয়ের প্রস্তাব দেন। যার বিনিময় মূল্য ৪০০ কোটি টাকা।

খোকন হাজীর বিশ্বস্ত মোস্তফা হাওলাদার দুষ্প্রাপ্য মূর্তি ও ধাতব মুদ্রা প্রদানের কথা বলে ঝালকাঠিতে নকল মূর্তি ও একটি প্লাস্টিকের বাক্সে নকল ধাতব মুদ্রা প্রদান করে খোকন হাজীর কাছ থেকে ৯৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।

নকল মূর্তি ও নকল মুদ্রা পেয়ে খোকন হাজী অত্যন্ত ক্ষিপ্র হয়ে যান এবং মোস্তফা হাওলাদারকে পাগলের মতো ঝালকাঠির বিভিন্ন রাস্তায় রাস্তায় খুঁজতে থাকেন। কিন্তু নিরুদ্দেশ মোস্তফা হাওলাদারের কোন সন্ধান সে পায় না। মোস্তফা হাওলাদার ভিকটিম অপহৃত আনোয়ার এর ভায়রা-ভাই।

গত ১ মে মোস্তফা হাওলাদার ও নাঈম এর একজন সহযোগী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খোকন হাজীকে জানায়, মোস্তফা হাওলাদারের ভায়রা ভিকটিম আনোয়ার ফতুল্লা থানাধীন তুষারধারা এলাকায় একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে এবং তাকে ধরতে পারলে মোস্তফা হাওলাদারের সন্ধান পাওয়া যাবে।

এ প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারকৃত খোকন হাজী তার অপরাপর সহযোগী আরিফ হোসেন, মিলন, মোস্তাকিম, রুহুল, জাকির এবং স্বাধীনকে নিয়ে ভিকটিম আনোয়ারকে অপহরণের পরিকল্পনা করে।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত খোকন হাজীর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা একটি সাদা মাইক্রো বাসে করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভিকটিমকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় নিয়ে এসে মুক্তিপণ দাবী করে।

র‌্যাব জানায়, খোকন হাজী একজন ঠিকাদার এবং মতিঝিল এলাকায় তার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ঠিকাদারী ব্যবসার আড়ালে খোকন হাজী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য ধাতব মুদ্রার কারবার করে আসছিল।

উদ্ধারকৃত ভিকটিম আনোয়ারকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।