ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজও রহস্যে ঘেরা গিজার পিরামিড

প্রাচীন মিশরের নাম শুনলেই প্রথমে যে কথাটি মনে আসবে আত হচ্ছে, মমি আর পিরামিড। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা মানেই অদ্ভুত আর রহস্যময় নানা উপকথার ভাণ্ডার। আজও রহস্যের জালে ঘেরা মিশরের প্রাচীন পিরামিডগুলো। যে রহস্যের সমাধান বের করতে পারেননি গবেষকরা।

তবে যেটুকু জানা যায় পিরামিডে মিশরীয় রাজ বংশের মমি এবং তাদের ধনসম্পদ রাখা হতো। পিরামিড পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি যা এখনো সগৌরবে টিকে আছে।

গিজার পিরামিড নিয়েই বলা যাক। এটি মিশরের সবচেয়ে পুরোনো, বড় ও আকর্ষণীয় পিরামিড। যা খুফুর পিরামিড হিসেবেও বেশ পরিচিত। ধারণা মতে, খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫ হাজার বছর আগে এটি নির্মাণ করা হয়। এটি ১৪৬ মিটার বা উচ্চতায় ৪৭৯ ফুট । এতে আছে ২৩ লাখ পাথরের ব্লক। তবে কিছু কিছু ব্লকের ওজন ৫০ টনের মতো। ৬ মিলিয়ন টন ওজনের । আর এ স্থাপত্যটি দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু দালানের রেকর্ড ধরে রেখেছিল।

স্থানীয়রা এ পিরামিডকে রহস্যময় স্থাপনা মনে করেন। কেননা গিজার পিরামিডকে ঘিরে বেশ কল্পকাহিনী রয়েছে। এতোটা নিখুঁত করে বানানো তাই স্থাপত্যটি সকলের কাছে বিস্ময়। সে সময়ের নির্মাণশৈলীদের এই সৃষ্টি বর্তমান যুগের অনেক স্থাপত্যকে টেক্কা দিতেও উপযুক্ত। এই স্থাপত্যে গণিতের হিসাব এতোটাই নিখুঁত।

কিন্তু কীভাবে এতোটা নিখুঁতভাবে বানানো তা আজও অবাক করার মতো। পিরামিডের গুপ্তধনের কাছে যাওয়ার গোপন সুড়ঙ্গ আছে কি না, অথবা কীভাবে মিলবে অমূল্য ধন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। তবে পিরামিডের ভেতরে ঢোকার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করে রেখেছে এর নির্মাতারা।

মজার বিষয় হলো, পিরামিডের পাথরের ব্লকগুলো এতোটাই নিঁখুতভাবে বসানো যে, পাতলা ছুরির ফলাও ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না। তবে সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সাদা সিমেন্টের ব্যবহার করা হয়েছে যেন পানি ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে।

প্রাচীন মিশরের ফারাও রাজারা বিশ্বাস করত যে, তাদের পুনরায় জন্ম হবে এবং নৌকার প্রয়োজন হবে। এর প্রমাণ হিসাবে ১৯৫৪ সালে একটি নৌকা উদ্ধার করা হয় যা জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

বর্তমানে গিজার পিরামিড যেমন দেখা যায়, আগে তেমনটা ছিল না। একদম সাদা ছিল এবং চূড়ায় সোনালি রঙের মুকুট ছিল যা সূর্যের আলোর মতো জ্বলজ্বল করত। এতে করে ফারাও রাজাদের ক্ষমতা এবং শক্তির বহিঃপ্রকাশ হয়। ভবিষ্যতে রহস্যের চাদরে ঘেরা পিরামিড থেকে আরও রহস্য উন্মোচিত হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

আজও রহস্যে ঘেরা গিজার পিরামিড

আপডেট সময় ১০:১৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

প্রাচীন মিশরের নাম শুনলেই প্রথমে যে কথাটি মনে আসবে আত হচ্ছে, মমি আর পিরামিড। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা মানেই অদ্ভুত আর রহস্যময় নানা উপকথার ভাণ্ডার। আজও রহস্যের জালে ঘেরা মিশরের প্রাচীন পিরামিডগুলো। যে রহস্যের সমাধান বের করতে পারেননি গবেষকরা।

তবে যেটুকু জানা যায় পিরামিডে মিশরীয় রাজ বংশের মমি এবং তাদের ধনসম্পদ রাখা হতো। পিরামিড পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি যা এখনো সগৌরবে টিকে আছে।

গিজার পিরামিড নিয়েই বলা যাক। এটি মিশরের সবচেয়ে পুরোনো, বড় ও আকর্ষণীয় পিরামিড। যা খুফুর পিরামিড হিসেবেও বেশ পরিচিত। ধারণা মতে, খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫ হাজার বছর আগে এটি নির্মাণ করা হয়। এটি ১৪৬ মিটার বা উচ্চতায় ৪৭৯ ফুট । এতে আছে ২৩ লাখ পাথরের ব্লক। তবে কিছু কিছু ব্লকের ওজন ৫০ টনের মতো। ৬ মিলিয়ন টন ওজনের । আর এ স্থাপত্যটি দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু দালানের রেকর্ড ধরে রেখেছিল।

স্থানীয়রা এ পিরামিডকে রহস্যময় স্থাপনা মনে করেন। কেননা গিজার পিরামিডকে ঘিরে বেশ কল্পকাহিনী রয়েছে। এতোটা নিখুঁত করে বানানো তাই স্থাপত্যটি সকলের কাছে বিস্ময়। সে সময়ের নির্মাণশৈলীদের এই সৃষ্টি বর্তমান যুগের অনেক স্থাপত্যকে টেক্কা দিতেও উপযুক্ত। এই স্থাপত্যে গণিতের হিসাব এতোটাই নিখুঁত।

কিন্তু কীভাবে এতোটা নিখুঁতভাবে বানানো তা আজও অবাক করার মতো। পিরামিডের গুপ্তধনের কাছে যাওয়ার গোপন সুড়ঙ্গ আছে কি না, অথবা কীভাবে মিলবে অমূল্য ধন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। তবে পিরামিডের ভেতরে ঢোকার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করে রেখেছে এর নির্মাতারা।

মজার বিষয় হলো, পিরামিডের পাথরের ব্লকগুলো এতোটাই নিঁখুতভাবে বসানো যে, পাতলা ছুরির ফলাও ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না। তবে সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সাদা সিমেন্টের ব্যবহার করা হয়েছে যেন পানি ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে।

প্রাচীন মিশরের ফারাও রাজারা বিশ্বাস করত যে, তাদের পুনরায় জন্ম হবে এবং নৌকার প্রয়োজন হবে। এর প্রমাণ হিসাবে ১৯৫৪ সালে একটি নৌকা উদ্ধার করা হয় যা জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

বর্তমানে গিজার পিরামিড যেমন দেখা যায়, আগে তেমনটা ছিল না। একদম সাদা ছিল এবং চূড়ায় সোনালি রঙের মুকুট ছিল যা সূর্যের আলোর মতো জ্বলজ্বল করত। এতে করে ফারাও রাজাদের ক্ষমতা এবং শক্তির বহিঃপ্রকাশ হয়। ভবিষ্যতে রহস্যের চাদরে ঘেরা পিরামিড থেকে আরও রহস্য উন্মোচিত হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।