১০ আগষ্ট রবিবার আমরা বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) শাহজাহান বেপারী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর, নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয় পুনর্বিবেচনা জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ বিষয়ে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত তালিকায় আমাদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত কিছু বিষয় পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
আমাদের দাবী/আপত্তি/সুপারিশ নিম্নরূপ:
(ক) বিজ্ঞপ্তির অনুচ্ছেদ ২ এর ‘৪” উপ অনুচ্ছেদে বর্ণিত “প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে উপজেলা/ থানা ইউনিটকে যতদূর সম্ভব অখন্ড রাখার র বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তা করা হয়নি। এখানে বন্দর উপজেলা কে দুইভাবে বিভক্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে বিলুপ্ত হয়েছে যা সীমানা পুন:নির্ধারণের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করেছে।
(খ) বিজ্ঞপ্তির অনুচ্ছেদ ২ এর “চ” উপঅনুচ্ছেদে বর্ণিত জেলার মধ্যকার আসনের ভোটর সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩০% ব্যবধানের মধ্য সীমাবদ্ধ রাখার উল্লেখ্য থাকা সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জ ৩ আসন সোনারগাঁ উপজেলায় বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন ৮ টি ওয়ার্ড অপরিবর্তিত রেখে যোগ করাতে ৩০% মাত্রা অধিক লংগিত হয়েছে।
(গ) বিজ্ঞপ্তির অনুচ্ছেদ ২ এর “ছ” এর অনুচ্ছেদে যতদূর সম্ভব প্রশাসনিক নির্বাচনী সুব্যবস্থার বিষয় বিবেচনায় রেখে উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের অখন্ডতা বজায় রাখার কথা উল্লেখ্য থাকলেও বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ৮টি ওয়ার্ড বাদে নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে।
এতে করে বন্দর উপজেলার জনগণকে বিভক্ত করা হয়েছে। যার দ্বারা সীমানা পুন:নির্ধারণের নৈতিক উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে
(ঘ) বিজ্ঞপ্তির অনুচ্ছেদ ২ এর “জ’ উপ অনুচ্ছেদে বর্ণিত “ইউনিয়ন, সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড ও পৌরসভার একাধিক সংসদীয় আসনের মধ্যে বিভাজন না করা’ নীতি গত সিদ্ধান্ত লঙ্ঘিত হয়েছে।
(৩) বিজ্ঞপ্তির অনুচ্ছেদ ২ এর “এ৪’এর উপ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘যতদূর সম্ভব সীমনা পুন:নির্ধারণ কালে সংশ্লিষ্ট জনগনের সেবা বিষয়ক সুবিধা/ অসুবিধার বিষয় কোন রকম বিবেচনা করা হয়নি। যেমন বন্দর হতে কোন প্রয়োজনে কাউকে যদি সোনারগাঁ যেতে হয় প্রায় ২০ কিলোমিটার যাত্রা করে যেতে হবে। যা বন্দর উপজেলার জনগণের ভোগান্তির কারণ হবে।
(চ) বিজ্ঞপ্তির অনুচ্ছেদ ২ এর “ট” এর উপ অনুচ্ছেদে বর্ণিত “যতদূর সম্ভব ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য (যথা নদী) ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, (তথা রাস্তাঘাট) তথা জনগণের যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধা ও অসুবিধা বিবেচনা করা অথচ মোটেও বিবেচনা করা হয়নি। কারণ পূর্বে সীমানা অনুযায়ী নদীর এপার ওপার মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসন ছিল এবং যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ ছিল।
এমতাবস্থায় জন দুর্ভোগ ও জন আকাঙ্ক্ষার কথা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে আইনগত জটিলতা এড়াতে সীমানা পূর্ব অবস্থায় রাখার পক্ষে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) মতামত ও জোর সুপারিশ করছে। আপনাদের সুবিবেচনাও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রেরণ করা হলো।