ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ন্যাটোতে যোগ দিতে না পারলে কিয়েভ পরমাণু অস্ত্র চাইবে। ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের নেতা এ মন্তব্য করেন। তবে জেলেনস্কির এমন বক্তব্যকে ‘বিপজ্জনক উসকানি’ বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সিএনএন, রয়টার্স ও তাস।
ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, হয় ইউক্রেনের পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে, যা আমাদের রক্ষা করবে অথবা আমাদের অবশ্যই কোনো জোটে থাকতে হবে। এ সময় জেলেনস্কি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউক্রেনের পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের বিষয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার কথোপকথনের স্মরণ করিয়ে দেন।
জেলেনস্কির এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সংস্থা ব্রিকস গ্রুপের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন বলেন, এটি একটি বিপজ্জনক উসকানি। এমন পদক্ষেপে অনুরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। তিনি বলেন, আধুনিক বিশে^ পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা কঠিন কিছু নয়। আমি জানি না ইউক্রেন এখন এটি করতে সক্ষম কি না। এটি আজকের ইউক্রেনের পক্ষে এত সহজ নয়।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর উত্তরাধিকার সূত্রে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রের মালিক হয় ইউক্রেন। তিন বছর পর রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর তারা সব পারমাণবিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তবে আগামী সপ্তাহে যদি মস্কো সফলভাবে ব্রিকস সম্মেলন আয়োজন করতে পারে তা হলে পশ্চিমাদের চেষ্টা ব্যর্থ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।