ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সোনারগাঁয়ে পল্লী বিদ্যুৎতে ভোগান্তি আছে সাধারণ জনগণ Logo ফেনীর দুই উপজেলায় প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম Logo পুতিন অনেক মানুষ হত্যা করছেন : ট্রাম্প Logo মেকআপ না করলে বেশি খুশি হই : সাদিয়া আয়মান Logo ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৯৯ রানে হারল বাংলাদেশ Logo বিক্ষোভ দমনে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা Logo নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের অবস্থান কর্মসূচি পালিত Logo জুলাই আনন্দের শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের সাথে রুপগঞ্জ বিএনপি নেতা শরীফ আহমেদ টুটুলের মতবিনিময় Logo বিগত তিন নির্বাচন বৈধ বলা পর্যবেক্ষকদের সুযোগ দেওয়া হবে না : সিইসি

সোনারগাঁয়ে পল্লী বিদ্যুৎতে ভোগান্তি আছে সাধারণ জনগণ

নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি – ১ সোনারগাঁ জোনাল অফিস নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সেবা নিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ সেবা গ্রাহকরা।

সোমবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে সরজমিনে কিছু সাংবাদিক
সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে
দেখা যায়, বেশিরভাগ অফিস কক্ষই ফাঁকা। অফিস কক্ষে নিজ নিজ দায়িত্বে নেই অনেকেই। একটি কক্ষে আবার দেখা যায়, একজন কর্মকর্তা টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরেছে।
ঐই সময় সেবা নিতে আসা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আমার প্রিপেইড মিটারে টাকা লোড করলেও ইউনিট আসে না। আর আমার ভাইও এখানে এসেছেন, উনার প্রিপেইড মিটারে তিনবার টাকা লোড করেছে আর টাকা কেটেও নিয়েছে কিন্তু মিটারে জমা হয় নি। ১০৫ নাম্বার কক্ষে যোগাযোগ করতে বললে, এসে দেখি তালাবদ্ধ ও দরজায় লাগানো নাম্বারে কল করলে বলেন দশ মিনিট আসতেছি। কিন্তু অফিসে এসে ঘুরছি আধা ঘণ্টা, কেউ সাড়া দেয় না। একই অভিজ্ঞতার কথা জানান রাহেলা বেগম ও কাওসার। তারা বলেন, “গতকাল রাত এগারোটায় প্রিপেইড মিটার লাইন অফিস থেকে লক বা বন্ধ করে দেয়া হয়। ফোনে জানতে চাইলে বলা হয় গত অর্থ বছরের বিল বাকি। কিন্তু অফিসে এসে মিটার কার্ড নাম্বার দেখালে আমাদের বিল নাম্বার ধরিয়ে দিয়ে বলেন দো “তলা থেকে চেক করে নিয়ে আসুন। যাহার ৩৯৮-৫১০৩ ও ৬৬৮-৩১১০ নাম্বার। চেক করতে গেলে নিচে লিখে দেন, কোন বকেয়া নেই। কতটা হয়রানি! এইভাবে তো কোনো সেবা পাওয়া যায় না!”

এছাড়া অনেকেই জানান, প্রিপেইড মিটারে একটি বাতি সবসময় জ্বলতে দেখা যায় তার জন্যও চার্জ দিতে হয় এরপর আবার প্রতি মাসে ভ্যাট! মাসে টাকা লোড করলে একশত দশ টাকাই নাই! এ ছাড়া প্রায়ই এসে দেখা যায় কেউ দায়িত্বে নেই, কিংবা ঘন্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো উত্তর মেলে না।
গ্রাহকরা বলেন, প্রিপেইড মিটারে টাকা লোড করার পরও ইউনিট যোগ হয় না, টাকা কেটে যায়, আবার মোবাইল অ্যাপে বা এসএমএসে ভুল তথ্যও আসে। অভিযোগ করলেও দ্রুত সমাধান পাওয়া যায় না। এতে করে অনেক পরিবার অন্ধকারে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিবর্গ গরমে কষ্ট করেন। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজিএম খোরশেদ আলম বলেন, “কর্মকর্তারা কখনো কখনো জরুরি কাজে বাইরে থাকতে পারেন। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সেবা দিতে। কেউ যদি সেবা না পান, সরাসরি আমার অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।” তিনি আরও জানান, “প্রিপেইড মিটারের কিছু সমস্যা আমরা চিহ্নিত করেছি এবং তা সমাধানে কাজ করছি।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে পল্লী বিদ্যুৎতে ভোগান্তি আছে সাধারণ জনগণ

সোনারগাঁয়ে পল্লী বিদ্যুৎতে ভোগান্তি আছে সাধারণ জনগণ

আপডেট সময় ১০:১৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি – ১ সোনারগাঁ জোনাল অফিস নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সেবা নিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ সেবা গ্রাহকরা।

সোমবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে সরজমিনে কিছু সাংবাদিক
সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে
দেখা যায়, বেশিরভাগ অফিস কক্ষই ফাঁকা। অফিস কক্ষে নিজ নিজ দায়িত্বে নেই অনেকেই। একটি কক্ষে আবার দেখা যায়, একজন কর্মকর্তা টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরেছে।
ঐই সময় সেবা নিতে আসা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আমার প্রিপেইড মিটারে টাকা লোড করলেও ইউনিট আসে না। আর আমার ভাইও এখানে এসেছেন, উনার প্রিপেইড মিটারে তিনবার টাকা লোড করেছে আর টাকা কেটেও নিয়েছে কিন্তু মিটারে জমা হয় নি। ১০৫ নাম্বার কক্ষে যোগাযোগ করতে বললে, এসে দেখি তালাবদ্ধ ও দরজায় লাগানো নাম্বারে কল করলে বলেন দশ মিনিট আসতেছি। কিন্তু অফিসে এসে ঘুরছি আধা ঘণ্টা, কেউ সাড়া দেয় না। একই অভিজ্ঞতার কথা জানান রাহেলা বেগম ও কাওসার। তারা বলেন, “গতকাল রাত এগারোটায় প্রিপেইড মিটার লাইন অফিস থেকে লক বা বন্ধ করে দেয়া হয়। ফোনে জানতে চাইলে বলা হয় গত অর্থ বছরের বিল বাকি। কিন্তু অফিসে এসে মিটার কার্ড নাম্বার দেখালে আমাদের বিল নাম্বার ধরিয়ে দিয়ে বলেন দো “তলা থেকে চেক করে নিয়ে আসুন। যাহার ৩৯৮-৫১০৩ ও ৬৬৮-৩১১০ নাম্বার। চেক করতে গেলে নিচে লিখে দেন, কোন বকেয়া নেই। কতটা হয়রানি! এইভাবে তো কোনো সেবা পাওয়া যায় না!”

এছাড়া অনেকেই জানান, প্রিপেইড মিটারে একটি বাতি সবসময় জ্বলতে দেখা যায় তার জন্যও চার্জ দিতে হয় এরপর আবার প্রতি মাসে ভ্যাট! মাসে টাকা লোড করলে একশত দশ টাকাই নাই! এ ছাড়া প্রায়ই এসে দেখা যায় কেউ দায়িত্বে নেই, কিংবা ঘন্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনো উত্তর মেলে না।
গ্রাহকরা বলেন, প্রিপেইড মিটারে টাকা লোড করার পরও ইউনিট যোগ হয় না, টাকা কেটে যায়, আবার মোবাইল অ্যাপে বা এসএমএসে ভুল তথ্যও আসে। অভিযোগ করলেও দ্রুত সমাধান পাওয়া যায় না। এতে করে অনেক পরিবার অন্ধকারে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিবর্গ গরমে কষ্ট করেন। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজিএম খোরশেদ আলম বলেন, “কর্মকর্তারা কখনো কখনো জরুরি কাজে বাইরে থাকতে পারেন। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সেবা দিতে। কেউ যদি সেবা না পান, সরাসরি আমার অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।” তিনি আরও জানান, “প্রিপেইড মিটারের কিছু সমস্যা আমরা চিহ্নিত করেছি এবং তা সমাধানে কাজ করছি।