মোঃ মামুন হোসেন : সময় চলে যায়, কিন্তু কিছু স্মৃতি অমলিন থেকে যায় জীবনের পাতায়। সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের -৯৪ সালের ব্যাচের বন্ধুদের বন্ধুত্ব তেমনই এক অমূল্য রত্ন, যা সময়ের সীমানা পেরিয়ে আজও হৃদয়ে গেঁথে আছে। স্কুলজীবনের সেই দিনগুলো—সকালের ঘণ্টা, একসাথে ক্লাসে বসা, খেলার মাঠের হৈচৈ, পরীক্ষার আগের উত্তেজনা—সবই যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সময়ের ব্যবধানে -৯৪ সালের ব্যাচের বন্ধুরা আজ নানা পেশায়, নানা স্থানে অবস্থান করলেও, হৃদয়ের টান তাদের এক করে রেখেছে। আবার একসাথে হওয়া, পুরনো দিনের গল্পে ফিরে যাওয়া, একে অপরের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়া—এই যোগাযোগই যেন আমাদের জীবনের একটা মহামূল্যবান অধ্যায়। স্মৃতির ক্যানভাসে আঁকা প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের শৈশব, কৈশোর আর গড়ে ওঠার গল্প বলে। আজকের এই সেতুবন্ধন শুধু নস্টালজিয়ায় ভেসে যাওয়ার উপলক্ষ নয়—এটি বন্ধুত্বের পুনর্জাগরণ, পারস্পরিক সহানুভূতি ও ভালোবাসার এক শক্ত ভিত্তি। আমরা একসাথে গড়ে তুলতে পারি একটি সমাজবান্ধব, মানবিক প্ল্যাটফর্ম—যেখানে সবাই সবার জন্য। বন্ধুত্বের এই বন্ধন আমাদের শিক্ষা দেয়—সময়, দূরত্ব বা অবস্থান যাই হোক না কেন, সত্যিকারের সম্পর্ক কখনও হারায় না। তাই ৯৪ সালের বন্ধুরা যেন সবসময় এই ভালোবাসা, স্মৃতি ও বন্ধনের ঐক্যবদ্ধ ছায়ায় এগিয়ে চলে আরও বহু বছর। স্মৃতির ক্যানভাসে আঁকা প্রতিটি হাসি, প্রতিটি গল্প হোক আমাদের চলার পথে প্রেরণার বাতিঘর।
প্রকৃত বন্ধুত্ব সময়ের সাথে পুরনো হয় ঠিকই, তবে তা ঝাপসা হয় না—বরং আরও গভীর, আরও মধুর হয়ে ওঠে। ১৯৯৪ সালের সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের বন্ধুদের মাঝে গড়ে ওঠা এই সম্পর্ক তারই উজ্জ্বল প্রমাণ। স্কুলজীবনের সেই সাদা-কালো দিনগুলো, বইয়ের পাতার গন্ধ, মাঠে ঘাম ঝরানো খেলা, একসাথে পরীক্ষার প্রস্তুতি—সবকিছুই ছিল আমাদের বন্ধনের প্রথম ইট। আজ আমরা নানা ব্যস্ততায়, নানা প্রেক্ষাপটে নিজেদের জীবন গড়েছি, কিন্তু হৃদয়ের একটা কোণ আজও সেই দিনগুলোর জন্য নাড়ায়। হয়তো অনেকদিন দেখা হয়নি, কথা হয়নি, তবুও একটা মেসেজ, একটা ফোন কল, একটা হাসিমাখা ছবি আমাদের আবার ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই পুরনো দিনে। এই বন্ধন শুধু স্মৃতিতে আটকে নেই; এটি আমাদের মনের শক্তি, মানবিকতার প্রতিচ্ছবি। একে অপরের খোঁজ রাখা, প্রয়োজনের সময় পাশে থাকা, আনন্দে শামিল হওয়া—সব কিছুই আমাদের বন্ধুত্বের সত্যতা প্রমাণ করে।
এই সম্পর্ক যেন ভবিষ্যতেও অটুট থাকে। ভালোবাসা আর সম্মান যেন এই বন্ধনকে আরও মজবুত করে। কারণ, প্রকৃত বন্ধুত্ব কখনও পুরনো হয় না, বরং তা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চিরন্তন হয়ে ওঠে। শৈশব ও কৈশোরের বন্ধুত্ব জীবনকে যে উষ্ণতা আর প্রেরণা দেয়, তা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনীয় নয়। সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৪ সালের বন্ধুরা সেই উজ্জ্বল সময়ের নিখাদ সাক্ষী। জীবনের ব্যস্ততায় আমরা আজ নানা দিকে ছড়িয়ে পড়েছি, কিন্তু হৃদয়ের গহীনে জমে থাকা সেসব মধুর স্মৃতি আজও আমাদের এক করে রাখে। সেই পুরনো বেঞ্চে বসে ক্লাসে মনোযোগ না দিয়ে ফিসফিস করে গল্প করা, টিফিনে একসাথে ভাগ করে খাওয়া, হঠাৎ কোনো শিক্ষক এসে ধমক দিলে একসাথে চমকে ওঠা—এসব ছোট ছোট মুহূর্তই আজ বিশাল মূল্যবান হয়ে উঠেছে। আমাদের এই বন্ধন শুধু পুরনো দিনের স্মরণ নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের পথচলায় এক ধরনের আশ্রয় ও অনুপ্রেরণা। যখন জীবনে ক্লান্তি আসে, তখন এই বন্ধুরা, এই গল্পগুলো নতুন করে জাগিয়ে তোলে সাহস আর হাসি। এই বন্ধুত্ব শুধু এক স্মৃতির ভাণ্ডার নয়, এটি এক জীবন্ত শক্তি—যা আমাদের জীবনের নানা বাঁকে, নানা সংকটে আলোর দিশা দেখায়। তাই স্মৃতির ক্যানভাসে আঁকা প্রতিটি হাসি, প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে থাকুক আমাদের জীবনের চলার পথে চিরন্তন প্রেরণার বাতিঘর। সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৪ সালের বন্ধুত্ব যেন এক অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা আত্মার সম্পর্ক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা পেরিয়ে এসেছি জীবনের অনেক পথ, কিন্তু এই বন্ধনের গভীরতা কখনও কমেনি। বরং এটি পরিণত হয়েছে এক নির্ভরতার আশ্রয়ে, যেখান থেকে পাওয়া যায় সাহস, ভালোবাসা আর জীবনের অর্থ। জীবনের নানা
চড়াই-উতরাইয়ে যখন ক্লান্তি এসে ভর করে, তখন পুরনো কোনো বন্ধুর একটি মেসেজ কিংবা দেখা হওয়ার মুহূর্ত নতুন করে প্রাণ জোগায়। এই সম্পর্ক আমাদের শেখায়—মানুষ যদি ভালোবাসা আর স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে, তবে একাকিত্ব কখনও গ্রাস করতে পারে না। আমাদের বন্ধুত্ব শুধুই পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ নয়, বরং এটি এক শক্ত ভীত, যেখান থেকে আমরা বারবার ফিরে পাই প্রেরণা, আশাবাদ এবং মানসিক প্রশান্তি। এই সম্পর্ক যেন জীবনভর আমাদের আলোকবর্তিকা হয়ে জ্বলতে থাকে—শক্তি আর আশার অনন্ত উৎস হয়ে। এই সম্পর্ক চোখে দেখা যায় না, কিন্তু মন দিয়ে অনুভব করা যায় প্রতিটি মুহূর্তে। সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৪ সালের বন্ধুদের মাঝে গড়ে ওঠা বন্ধন তেমনই এক গভীর আত্মিক সম্পর্ক, যা সময়, দূরত্ব কিংবা অবস্থানে থেমে থাকে নি—সবকিছুতেই জেগে ওঠে সেই পুরনো দিনের অনুভব। কোনো স্বার্থ ছাড়া, শুধুই ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা এই সম্পর্ক আমাদের জীবনে এক নির্ভরতার জায়গা তৈরি করে। বন্ধুত্বের এই অদৃশ্য সুতো আমাদের হৃদয়ের গভীরে বোনা, যা কখনও ছিঁড়ে যায় না। বরং সময়ের সাথে আরও মজবুত হয়, আরও আপন হয়ে ওঠে। ৯৪ সালের বন্ধুরা একটি অদ্ভুত মেলবন্ধন সৃষ্টি করেছে, যা শুধু বন্ধুত্ব নয়, বরং ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার মিশ্রণে গড়ে ওঠা এক অটুট বন্ধন। এই সম্পর্ক কোনো স্বার্থ বা হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করে না, বরং এটি আন্তরিকতার গভীরতার প্রতিফলন। ভালোবাসা হল এমন এক শক্তি, যা মানুষকে একে অপরের কাছে টানে, ভুল-ত্রুটির পরও বোঝাপড়া করে, মাপিয়ে নেয় দূরত্ব আর সময়ের ফাঁক। শ্রদ্ধা হলো সেই মৌলিক মূল্যবোধ, যা বন্ধুত্বকে সম্মান এবং মর্যাদা দেয়। যখন আমরা একে অপরের মতামত, অনুভূতি এবং অবস্থানকে সম্মান করি, তখন সেই সম্পর্ক পায় একটি দৃঢ় ভিত্তি।এই ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বই আমাদের জীবনে স্থায়িত্ব এনে দেয়। কঠিন সময়েও এই বন্ধুত্ব হাত ধরা মতো আশ্বাস দেয়, ভালো সময়গুলোকে আরও সুন্দর করে তোলে। এই বন্ধুত্বের মধ্য দিয়েই আমরা শিখি কিভাবে পরস্পরের জন্য সৎ, বিশ্বস্ত ও যত্নশীল হতে হয়। সুতরাং, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়া এই সম্পর্ক শুধু স্মৃতির ভাণ্ডার নয়, এটি আমাদের জীবনের এক অনবদ্য সম্পদ, যা প্রতিনিয়ত আমাদের ভালো মানুষ হওয়ার পথে প্রেরণা জোগায়।
ঢাকা
,
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :










সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় ৯৪ : স্মৃতির ক্যানভাসে একাত্ম হওয়ার সেতুবন্ধন।।
-
রুদ্রকন্ঠ ডেস্ক :
- আপডেট সময় ১০:৩৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- 6
জনপ্রিয় সংবাদ