ঢাকা , বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাসদাইরে সন্ত্রাসী ও খুনী খন্দকার শাহীন বাহিনী কর্তৃক ব্যবসায়ী লিটন,শ্যামলের বাড়িতে হামলা

ষ্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার উত্তর মাসদাইর সেঞ্চুরি গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামলের বাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসী ও খুনী খন্দকার শাহীন ইব্রাহীম বাহিনী।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯ টায় উত্তর মাসদাইরে ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামলের বাসভবনে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আবুল বাসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামল সহ আহতরা জানান,আমেনা গার্মেন্টস এর মালিক খন্দকার শাহীন ইব্রাহীম গাজীপুরে বিশ্ব ইজতেমায় জোবায়ের সমর্থিত মুসুল্লী হত্যা মামলার আসামী, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু খন্দকার শাহীন ইব্রাহীম ছত্রছায়ায়

শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামলের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর,মারধর ও লুটপাট করে।

সন্ত্রাসীদের হামলায় আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুলের পুত্র শ্রাবন,আবু শাহাদাত লিটনের স্ত্রী শিখা খান,আবু সিদ্দিক বাবুলের স্ত্রী নাসিমা,কেয়ারটেকার চান মিয়া,সুমন,সানি,সীমান্ত, হৃদয়সহ আরো ৫/৬ জন গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

নীটিং,প্রিন্টিং ও ফেব্রিকস ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামল জানান,আমাদের বাড়ির সামনে জেলা পরিষদের কিছু জমি রয়েছে।৪০ বছর যাবত লীজ নিয়ে আমরা ভোগ দখল করে আসছি।

এ জমির উপর কুদৃষ্টি পরে বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসুল্লি হত্যা মামলার আসামি, ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার খন্দকার শাহীন ইব্রাহীমের।

প্রায় শতাধিক সন্ত্রাসী দেশী ও বিদেশী অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ করে হামলা চালায়।সন্ত্রাসীদের হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে।

খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আবুল বাসার ও সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল -ক) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ভূক্তভোগীরা ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামল আরো জানান, আমাদের জমি দখলের জন্য দীর্ঘদিন যাবত খন্দকার শাহীন ইব্রাহীম রাস্তা বন্ধ ও জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে।গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের অপ শাসনামলে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে হয়রানি করেছিলেন।বর্তমানে বিএনপির লোকজন নিয়ে জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

যাবার বেলা সন্ত্রাসীরা এই বলে হুমকি প্রদান করে যে তোকে ও তোর পরিবারের সদস্যদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার হত্যা সহ বিভিন্ন মামলার আসামি করবো এবং যেখানে পাবো প্রানে মেরে লাশ গুম করে ফেলবো।

আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

মাসদাইরে সন্ত্রাসী ও খুনী খন্দকার শাহীন বাহিনী কর্তৃক ব্যবসায়ী লিটন,শ্যামলের বাড়িতে হামলা

আপডেট সময় ১০:৪৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ষ্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার উত্তর মাসদাইর সেঞ্চুরি গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামলের বাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসী ও খুনী খন্দকার শাহীন ইব্রাহীম বাহিনী।

ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ৯ টায় উত্তর মাসদাইরে ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামলের বাসভবনে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আবুল বাসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামল সহ আহতরা জানান,আমেনা গার্মেন্টস এর মালিক খন্দকার শাহীন ইব্রাহীম গাজীপুরে বিশ্ব ইজতেমায় জোবায়ের সমর্থিত মুসুল্লী হত্যা মামলার আসামী, সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু খন্দকার শাহীন ইব্রাহীম ছত্রছায়ায়

শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় ও বিদেশী অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামলের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর,মারধর ও লুটপাট করে।

সন্ত্রাসীদের হামলায় আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুলের পুত্র শ্রাবন,আবু শাহাদাত লিটনের স্ত্রী শিখা খান,আবু সিদ্দিক বাবুলের স্ত্রী নাসিমা,কেয়ারটেকার চান মিয়া,সুমন,সানি,সীমান্ত, হৃদয়সহ আরো ৫/৬ জন গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

নীটিং,প্রিন্টিং ও ফেব্রিকস ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামল জানান,আমাদের বাড়ির সামনে জেলা পরিষদের কিছু জমি রয়েছে।৪০ বছর যাবত লীজ নিয়ে আমরা ভোগ দখল করে আসছি।

এ জমির উপর কুদৃষ্টি পরে বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসুল্লি হত্যা মামলার আসামি, ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার খন্দকার শাহীন ইব্রাহীমের।

প্রায় শতাধিক সন্ত্রাসী দেশী ও বিদেশী অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ করে হামলা চালায়।সন্ত্রাসীদের হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে।

খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আবুল বাসার ও সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল -ক) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ভূক্তভোগীরা ব্যবসায়ী লিটন ও শ্যামল আরো জানান, আমাদের জমি দখলের জন্য দীর্ঘদিন যাবত খন্দকার শাহীন ইব্রাহীম রাস্তা বন্ধ ও জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে।গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের অপ শাসনামলে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে হয়রানি করেছিলেন।বর্তমানে বিএনপির লোকজন নিয়ে জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

যাবার বেলা সন্ত্রাসীরা এই বলে হুমকি প্রদান করে যে তোকে ও তোর পরিবারের সদস্যদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার হত্যা সহ বিভিন্ন মামলার আসামি করবো এবং যেখানে পাবো প্রানে মেরে লাশ গুম করে ফেলবো।

আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।