ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা Logo সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন Logo সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন Logo মাকসুদ চেয়ারম্যানকে বন্দরের মাটিতে নির্বাচন করতে দিবো না : সাখাওয়াত Logo সাংবাদিক জিএম শহীদের অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রূপগঞ্জ সকল সাংবাদিকবৃন্দ Logo শহরে জেলা নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী দলের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo জুলাই সনদ ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করতে হবে – মমিনুল হক সরকার Logo শাসনগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল জুতা ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাস্তা নয় যেন মরণ ফাঁদ Logo সন্ত্রাসের পুনর্বাসন ও ভয়ের সংস্কৃতি রাজনীতি: একটি জাতীয় সংকট

ইসরাইল বাহিনী কর্তৃক ইতিহাসের বর্বরোচিত হামলা ও নৃশংসতা

বর্তমান বিশ্বে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও শান্তির কথা যত উচ্চস্বরে বলা হোক না কেন, কিছু কিছু ঘটনা এসব কথার বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিশেষ করে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন, বর্বরোচিত হামলা এবং সাধারণ মানুষের ওপর পরিচালিত নৃশংসতা এমনই এক নির্মম বাস্তবতা, যা গোটা মানবতাকে স্তব্ধ করে দেয়।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের দ্বন্দ্বের শিকড় বহু পুরনো হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর চালানো হামলা এবং এর ফলে অসংখ্য নিরীহ নারী, শিশু ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরেছে। এই সংঘাত শুধু রাজনৈতিক কিংবা কূটনৈতিক সমস্যা নয়; এটি এখন একটি ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যু।

১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে একটি দখলদারিত্বমূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়, যাদের আজও “নাকবা” বা মহাবিপর্যয় হিসেবে স্মরণ করা হয়। সেই থেকে শুরু করে নানা সময়ে ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা চালিয়েছে, বসতি গড়ে তুলেছে, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং নিষ্ঠুরতার সীমা ছাড়িয়েছে।
বিশ্বের বহু মানবাধিকার সংস্থা, যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এমনকি জাতিসংঘও বিভিন্ন সময় এই সংঘাতকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে আন্তর্জাতিক মহলের অনেকাংশই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

২০২৩ ও ২০২৪ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনী যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। হাজার হাজার বোমা ফেলা হয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, গির্জা – কোনো কিছুই বাদ যায়নি এই আক্রমণের হাত থেকে। মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হামলাগুলিতে বহু শিশু প্রাণ হারিয়েছে, যার সংখ্যা যুদ্ধের ইতিহাসে একটি ভয়ানক রেকর্ড হয়ে উঠেছে।
বিশেষভাবে উদ্বেগজনক যে, ইসরাইল সেনাবাহিনী “আত্মরক্ষার” নামে ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানো একটি যুদ্ধাপরাধ। কিন্তু এইসব অপরাধ বারবার ঘটলেও কোনো সঠিক বিচার বা জবাবদিহিতা দেখা যায় না।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তথ্যের যুদ্ধ। আন্তর্জাতিক অনেক গণমাধ্যম ইসরাইলের পক্ষপাতদুষ্টভাবে সংবাদ প্রচার করে, ফলে সাধারণ মানুষ প্রকৃত সত্য জানতে পারে না। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিকাশের ফলে অনেকেই এখন বাস্তব চিত্র দেখতে পাচ্ছেন, যা ইসরাইলি আগ্রাসনের নৃশংসতা ও অমানবিকতার সাক্ষ্য দেয়।
গাজার অনেক সাংবাদিক এই বর্বরতার মধ্যে থেকে সারা বিশ্বকে তথ্য জানাতে গিয়ে নিজের জীবন হারিয়েছেন। এটি শুধুই সাংবাদিক হত্যা নয়, বরং সত্যকে স্তব্ধ করার একটি চক্রান্ত।

যুদ্ধের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দিক হলো শিশুদের দুর্ভোগ। গাজা উপত্যকার হাজার হাজার শিশু এই বর্বর হামলায় নিহত হয়েছে বা গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। যারা বেঁচে আছে, তারাও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় তাদের শিক্ষাজীবন থমকে গেছে। একটি প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে, এবং এই ক্ষতি পূরণ করা কখনোই সম্ভব নয়।

জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, রেড ক্রসসহ বহু সংস্থা ইসরাইলি বাহিনীর এই কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা একাধিকবার যুদ্ধবিরতি দাবি করেছে, মানবিক সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো – শক্তিশালী দেশগুলোর রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে কোনো কার্যকর চাপ সৃষ্টি হয়নি।
বিশ্বব্যাপী লাখো মানুষ এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির চাপে এই গণআন্দোলনের সুরও মাঝে মাঝে চাপা পড়ে যায়।

মুসলিম বিশ্বের প্রতিক্রিয়াও অনেক ক্ষেত্রেই অস্পষ্ট এবং দুর্বল। কিছু দেশ সরব হলেও কার্যকর পদক্ষেপ বা কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এটি শুধু মুসলিমদের ইস্যু নয়, এটি সম্পূর্ণ মানবতার একটি ইস্যু। যেখানেই নিরীহ মানুষ নিহত হবে, সেখানেই আমাদের কণ্ঠ উচ্চারণ করতে হবে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে।

ইসরাইলি বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত বর্বরোচিত হামলা এবং নৃশংসতা কেবলমাত্র একটি ভূখণ্ড দখলের জন্য নয়, বরং এটি একটি জাতিকে ধ্বংস করার কৌশলগত প্রচেষ্টা। এটি শুধু ফিলিস্তিনের মানুষের নয়, পুরো বিশ্বের নৈতিকতার ওপর আঘাত।
আমরা যদি এই অমানবিকতা, নৃশংসতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হই, তাহলে মানবতা তার মান হারাবে। ইতিহাস একদিন এই নিরবতার বিচার করবে। এই যুদ্ধ থামাতে হবে – অবিলম্বে। এবং তা হতে হবে সম্মিলিত মানবিক চেতনার ভিত্তিতে, যেখানে প্রতিটি প্রাণের মূল্য থাকবে, এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা

ইসরাইল বাহিনী কর্তৃক ইতিহাসের বর্বরোচিত হামলা ও নৃশংসতা

আপডেট সময় ১২:৪৩:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

বর্তমান বিশ্বে মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও শান্তির কথা যত উচ্চস্বরে বলা হোক না কেন, কিছু কিছু ঘটনা এসব কথার বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিশেষ করে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন, বর্বরোচিত হামলা এবং সাধারণ মানুষের ওপর পরিচালিত নৃশংসতা এমনই এক নির্মম বাস্তবতা, যা গোটা মানবতাকে স্তব্ধ করে দেয়।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের দ্বন্দ্বের শিকড় বহু পুরনো হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর চালানো হামলা এবং এর ফলে অসংখ্য নিরীহ নারী, শিশু ও বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরেছে। এই সংঘাত শুধু রাজনৈতিক কিংবা কূটনৈতিক সমস্যা নয়; এটি এখন একটি ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যু।

১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে একটি দখলদারিত্বমূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়, যাদের আজও “নাকবা” বা মহাবিপর্যয় হিসেবে স্মরণ করা হয়। সেই থেকে শুরু করে নানা সময়ে ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা চালিয়েছে, বসতি গড়ে তুলেছে, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং নিষ্ঠুরতার সীমা ছাড়িয়েছে।
বিশ্বের বহু মানবাধিকার সংস্থা, যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এমনকি জাতিসংঘও বিভিন্ন সময় এই সংঘাতকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে আন্তর্জাতিক মহলের অনেকাংশই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

২০২৩ ও ২০২৪ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনী যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। হাজার হাজার বোমা ফেলা হয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, গির্জা – কোনো কিছুই বাদ যায়নি এই আক্রমণের হাত থেকে। মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হামলাগুলিতে বহু শিশু প্রাণ হারিয়েছে, যার সংখ্যা যুদ্ধের ইতিহাসে একটি ভয়ানক রেকর্ড হয়ে উঠেছে।
বিশেষভাবে উদ্বেগজনক যে, ইসরাইল সেনাবাহিনী “আত্মরক্ষার” নামে ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানো একটি যুদ্ধাপরাধ। কিন্তু এইসব অপরাধ বারবার ঘটলেও কোনো সঠিক বিচার বা জবাবদিহিতা দেখা যায় না।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তথ্যের যুদ্ধ। আন্তর্জাতিক অনেক গণমাধ্যম ইসরাইলের পক্ষপাতদুষ্টভাবে সংবাদ প্রচার করে, ফলে সাধারণ মানুষ প্রকৃত সত্য জানতে পারে না। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিকাশের ফলে অনেকেই এখন বাস্তব চিত্র দেখতে পাচ্ছেন, যা ইসরাইলি আগ্রাসনের নৃশংসতা ও অমানবিকতার সাক্ষ্য দেয়।
গাজার অনেক সাংবাদিক এই বর্বরতার মধ্যে থেকে সারা বিশ্বকে তথ্য জানাতে গিয়ে নিজের জীবন হারিয়েছেন। এটি শুধুই সাংবাদিক হত্যা নয়, বরং সত্যকে স্তব্ধ করার একটি চক্রান্ত।

যুদ্ধের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দিক হলো শিশুদের দুর্ভোগ। গাজা উপত্যকার হাজার হাজার শিশু এই বর্বর হামলায় নিহত হয়েছে বা গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। যারা বেঁচে আছে, তারাও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় তাদের শিক্ষাজীবন থমকে গেছে। একটি প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে, এবং এই ক্ষতি পূরণ করা কখনোই সম্ভব নয়।

জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, রেড ক্রসসহ বহু সংস্থা ইসরাইলি বাহিনীর এই কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা একাধিকবার যুদ্ধবিরতি দাবি করেছে, মানবিক সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হলো – শক্তিশালী দেশগুলোর রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে কোনো কার্যকর চাপ সৃষ্টি হয়নি।
বিশ্বব্যাপী লাখো মানুষ এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির চাপে এই গণআন্দোলনের সুরও মাঝে মাঝে চাপা পড়ে যায়।

মুসলিম বিশ্বের প্রতিক্রিয়াও অনেক ক্ষেত্রেই অস্পষ্ট এবং দুর্বল। কিছু দেশ সরব হলেও কার্যকর পদক্ষেপ বা কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এটি শুধু মুসলিমদের ইস্যু নয়, এটি সম্পূর্ণ মানবতার একটি ইস্যু। যেখানেই নিরীহ মানুষ নিহত হবে, সেখানেই আমাদের কণ্ঠ উচ্চারণ করতে হবে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে।

ইসরাইলি বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত বর্বরোচিত হামলা এবং নৃশংসতা কেবলমাত্র একটি ভূখণ্ড দখলের জন্য নয়, বরং এটি একটি জাতিকে ধ্বংস করার কৌশলগত প্রচেষ্টা। এটি শুধু ফিলিস্তিনের মানুষের নয়, পুরো বিশ্বের নৈতিকতার ওপর আঘাত।
আমরা যদি এই অমানবিকতা, নৃশংসতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হই, তাহলে মানবতা তার মান হারাবে। ইতিহাস একদিন এই নিরবতার বিচার করবে। এই যুদ্ধ থামাতে হবে – অবিলম্বে। এবং তা হতে হবে সম্মিলিত মানবিক চেতনার ভিত্তিতে, যেখানে প্রতিটি প্রাণের মূল্য থাকবে, এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।