প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ‘দুর্বৃত্ত’ ও ‘টোকাই সাংবাদিক’ শব্দ ব্যবহার করে মানহানির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (শামীম ওসমান মনোনিত) রফিকুল ইসলাম জীবনের (৫২) বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর ১নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন দৈনিক যুগের চিন্তার স্টাফ রিপোর্টার লিমন দেওয়ান। রোববার (৯ মার্চ) বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লা আল মাসুমের আদালত (পিটিশন মামলা নং-৫৩/২০২৫) বিষয়টি আমলে নিয়ে আগামী ১২/৫/ ২০২৫ তারিখের মধ্যে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরো (পিবিআই) কে তদন্দ প্রতিবেতন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠিনো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রতিদিনের বাংলাদেশ এর জেলা ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক যুগের চিন্তার ফটো সাংবাদিক মো. মেহেদী হাসানের (৩২) এর পক্ষে আইনজীবী এইচ.এম.আনোয়ার প্রধান ডাকযোগে এ নোটিশটি পাঠান।
পিটিশনে বাদী লিমন দেওয়ান উল্লেখ করেছেন, তিনি একজন সহজ, সরল, শান্তিপ্রিয়, শিক্ষিত, পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি হন বটে। পক্ষান্তরে অত্র মোকদ্দমার আসামী রফিকুল ইসলাম জীবন একজন মিথ্যাবাদী, মিথ্যা সংবাদ রটনাকারী, অতি চালাক, সুযোগ সন্ধানী, পরশ্রীকাতর, হিংসাপরায়ন, কুৎসা রটনাকারী, কর্তৃত্বের বরখেলাপকারী, আইন অমান্যকারী ও নীতি বিবর্জিত ভোল পাল্টানো সুবিধাবাদী লোক হয় বটে। অত্র বাদী লিমন দেওয়ান বিগত ২০২১ ইং সালের ১ম দিক হইতে নারায়ণগঞ্জ জেলায় সর্বাধিক বহুল প্রচারিত ও স্বনামধন্য দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকায় অত্যন্ত সুনামের সহিত একজন স্টাফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন। অত্র পত্রিকার সকল স্টাফ সমূহ অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সহিত প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া নানা খবরাখবর সঠিক ভাবে সংগ্রহ করিয়া অত্যন্ত সতর্কতার সহিত সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করিয়া আসিতে থাকিলে দিন দিন পত্রিকাটি পাঠক সমাজে সমাদৃত হইতে থাকে। যাহা বর্তমানে সর্বাধিক প্রচারিত ও গ্রহণযোগ্য ও পাঠকের আস্থাভাজন পত্রিকায় রূপান্তরিত হইয়া সুনাম অর্জন করায় অত্র আগামীর চোখে ইহা ঈর্ষার কারণ হইয়া দাঁড়াইয়াছে বলিয়া তাহার নানা কর্মকান্ডে ও আচরণের প্রতিয়মান হয়।
বাদী লিমন দেওয়ান অভিযোগ করেন, আসামী রফিকুল ইসলাম জীবন অত্র পত্রিকার সুনামের প্রতি ঈর্ষান্বিত হইয়া অত্র পত্রিকার স্টাফ অত্র বাদীসহ অন্যান্যদের কে প্রায় সময় নানা ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার নিমিত্তে নানা কুৎসাজনক শব্দ চয়ন অব্যাহত রাখিয়াছে। এমনকি অত্র পত্রিকার স্টাফ দেরকে প্রেসক্লাবের সদস্যপদ দিতে নানা টালবাহানা করিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া চলিয়াছে। এইসব বিষয় নিয়ে বিগত দিনে অত্র আসামীর সহিত বহু দেন দরবার হইলে অবশেষে বিগত ২৯/১০/২০২৪ ইং তারিখে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক তাহাদের ন্যায্য দাবী দাওয়া নিয়া প্রেসক্লাবে গেলে সেখানে অত্র আসামী সম্প অন্যায়ভাবে অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে প্রেসক্লাব দখল সংক্রান্ত ভূয়া তথ্য দিয়া ভুল বুঝাইয়া একটি মারাতœক মারামারি সংঘটন করায় এবং এই নিয়ে উভয় পক্ষ বিপক্ষের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মোঃ নং- ১১(১০) ২০২৪ ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩০৭ দঃ বিঃ এবং ১২(১০)২৪, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/৩০৭ দঃ বিঃ ধারার মোকদ্দমা রুজু হয় । যেহেতু, উভয় মামলার পক্ষগণই অর্থাৎ বাদী আসামী সকলেই সাংবাদিক তাই উভয় পক্ষের হিতৈষী ব্যক্তিবর্গ তাহাদের শান্তির লক্ষ্যে উক্ত মোকদ্দমা গুলির বিষয়ে নিজেরা বসিয়া সুষ্ঠু সমাধান করিয়া ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে স্থানীয় আপোষনামা সৃজন পূর্বক সমাধান করিয়া দেন এবং নেন যেন এই নিয়ে ভবিষ্যতে আর কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়। বিগত ২৮/১১/ ২০২৪ ইং তারিখে সম্পাদিত আপোষ নামার ষ্ট্যাম্প নাম্বার সমূহ হলো শখ ২৯৯৭৪৪৬, গখ ২৯৯৭৪৪৭, গখ ২৯৯৭৪৪৮। উক্ত আপোষ নামায় উল্লেখিত ৩ নং শর্তে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকে যে, অত্র বাদী পক্ষ (২য় পক্ষ) কে আসামী পক্ষ কখন কোন ভাবে দুর্বৃত্ত ও টোকাই সাংবাদিক বলতে পারবে না বা লিখতে পারবে না। যাহা অত্র আসামী বা আসামীপক্ষ মানিয়া নিয়া ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়া আপোষ নামার শর্ত সমূহ মানিয়া নেয়।
লিমন দেওয়ান অভিযোগে উল্লেখ করেন, কিন্তু কিছুদিন যাইতে না যাইতে অত্র আসামী রফিকুল ইসলাম জীবন উক্ত শর্ত ভঙ্গ করিয়া বাদীকে এবং বাদীর সহকর্মীদেরকে পুনরায় টোকাই ও দুর্বৃত্ত হলুদ সাংবাদিক বলিয়া মৌখিকভাবে ও লিখিতভাবে প্রচার ও প্রকাশ করিয়া বাদী মানহানী ঘটায়। যে কারণে বাদী সমাজে খুব হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছে। ঘটনার দিন, তারিখ ও সময়ে অত্র আসামী নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হওয়ার কারণে তাহার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্যাড এর পাতা ব্যবহার করে বিগত ২৭/০২/২৫ ইং তারিখে এক পাতার একটি নোটিশ জনাব আবু আল মোরছালিন বাবলা স্থায়ী সদস্য, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব এর বরাবর একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেন। যাহার নি¤েœ অত্র আসামীর স্বাক্ষর রহিয়াছে। উক্ত নোটিশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় লাইনে উল্লেখ করেন যে, “ক্লাব দখল প্রক্রিয়ায় টোকাই সাংবাদিকদের সংগে আপনার সম্পাদিত ও প্রকাশিত ‘দৈনিক যুগের চিন্তা’ পত্রিকার দুইজন রিপোর্টার মেহেদী ও লিমন দেওয়ান (বাদী) স্ব-শরীরে অংশগ্রহণ করে” যেহেতু, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব এমন একটি সংস্থা যা কোন সাংবাদিক বা রিপোর্টারের ব্যক্তিগতভাবে দখল করার মত কিছু নাই বা থাকার কোন সুযোগ নাই । এটা সকলেই অবগত আছেন। তাই এহেন বিষয়ে একটি মিথ্যা অপবাদ সৃষ্টি করিয়া রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার নিমিত্তে ইহা অত্র আসামীর একটি ষড়যন্ত্রমাত্র ইহা ছাড়া অন্য আর কিছুই না। তবে, এহেন মিথ্যা অপপ্রচার করিয়া প্রেসক্লাবে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষকে আসামী পক্ষ বিগত ২৯/১০/২০২৪ ইং তারিখে বেদম মারপিট করিয়া ভালভাবে শায়েস্তা করিয়া এখনো ক্ষ্যান্ত হন নাই । এমনকি উক্ত বিষয় নিয়া উভয় পক্ষের মামলা মোকদ্দমা হওয়ার পর অবশেষে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্ততায় আপোষ মিমাংসা হওয়ার পরও অত্র আসামী পুনরায় বিষোদগার করিয়া প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জনাব আবু আল মোরছালিন বাবলা এর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার লিমন দেওয়ানকে পুনরায় টোকাই সাংবাদিক সম্বোধন করিয়া নোটিশ প্রদান করিয়া এবং উক্ত নোটিশ সহ দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকায় এবং দৈনিক যুগের চিন্তায় উভয় পত্রিকায় ১ম পৃষ্ঠায় ‘কথিত নিউজ ছাপাইয়া বাদীর মান সম্মান ক্ষুন্ন করিয়াছেন। উক্ত সংবাদ পত্রিকা সমূহ ছাপানোর পর হইতে সাক্ষীগণসহ বাদীর বহু আত্মীয় স্বজন এহেন বিষয় পত্রিকার মাধ্যমে ও লোক মুখে শুনে বা অবহিত হয়ে বাদীকে এহেন বিষয়ে নানা হেয় প্রতিপন্নমূলক প্রশ্ন করিলে বাদীর মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়। যেখানে বাদী বিগত প্রায় ৫ বৎসর যাবৎ অত্যন্ত সুনামের সহিত পত্রিকায় কাজ করিয়া আসিতেছেন এবং পত্রিকার কর্তৃপক্ষের নিকট অত্যন্ত সম্মানের সহিত পেশা পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন। সেখানে আসামী এহেন মিথ্যা ও বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্য মূলক ভাবে টোকাই সাংবাদিক বলিয়া নামী মানহানী করিয়াছেন যা হুজুরাদালতে বিচার যোগ্য। যেহেতু, বিগত ০১/০৩/২০২৫ ইং তারিখ হইতে বাদী এহেন অপবাদমূলক সংবাদের কারণে শারীরিক ও মানষিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। এহেন হেয় প্রতিপন্নমূলক টোকাই সাংবাদিক শব্দের কারণে বাদী মানষিক ভাবে ভেংগে পড়েছেন বিধায় তাহার পেশার কাজে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এমন অবস্থায় বা তাহার সামাজিক মর্যাদা মোতাবেক বিভিন্নভাবে ক্ষতি হয়েছেন, যা আসামী রফিকুল ইসলাম জীবনের নিকট হইতে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার হকদার হন বটে। যাহা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক আদায় যোগ্য । অত্র আসামী বাদীকে টোকাই সাংবাদিক ও দুর্বৃত্ত সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আখ্যায়িত করত এবং সর্বশেষ নোটিশের মাধ্যমে ও পত্রিকা সমূহে প্রকাশের মাধ্যমে জনসাধারণের নিকট প্রকাশ করিয়া বাদীর মান সম্মান ক্ষুন্ন করিয়াছে, যাহার প্রমান পত্র বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষীগণ দ্বারা বাদী প্রমাণ করিতে সক্ষম হবে বিধায় উল্লেখিত ধারায় মোকদ্দমা রুজু করিয়াছে।