তিন বছর আগে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন, এবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে পঞ্চপাণ্ডবের অধ্যায়। ভারত সফরে টেস্ট সিরিজের মাঝে সাকিব আল হাসান অবসরের ঘোষণা দেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে। মাহমুদউল্লাহ টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলবেন এমন গুঞ্জন গত কয়েক দিন ধরেই চলছিল। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্য হলো। বিদায় বেলায় এই অলরাউন্ডার বললেন, ক্যারিয়ার নিয়ে তাতে কোনো আক্ষেপ নেই। পরামর্শ দিলেন আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্যই নিজের জায়গা ছেড়ে দিলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৯৫ রান করেছেন তিনি। বল হাতে পেয়েছেন ৪০ উইকেট। লম্বা সময় নেতৃত্বেও ছিলেন এই ফরম্যাটে। সর্বোচ্চ ৪৩ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ১৬ ম্যাচ জিতিয়েছেন। হেরেছেন ২৬ ম্যাচ। দেশের ক্রিকেটকে এত লম্বা সময় সার্ভিস দেওয়া মাহমুদউল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
তিনি মনে করেন এর জন্য তাকে ক্রেডিট দেওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, ভালো একটা ফেয়ারওয়েলও ডিজার্ভ করেন বলে জানান ফাহিম, ‘ভালো লাগার বিষয়টি হচ্ছে, এরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এক উচ্চতা থেকে আরেক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। দারুণ ভূমিকা রেখেছে। কোনো সন্দেহ নেই। যখন একজন অবসর নেয় সে পুরোপুরি সম্মান অর্জন করে। ভালো একটা ফেয়ারওয়েল ডিজার্ভ করে। বিসিবি সেটি করবে অবশ্যই।’ ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লেখানোর পর অনেক উত্থান-পতনের গল্প লিখেছেন মাহমুদউল্লাহ। পারফরম্যান্স দিয়ে কখনো সাফল্যের চূড়ায় উঠেছেন, কখনো বা সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছে। দল থেকে বাদ পড়লে আবারও ফিরেছেন কম সময়ের ব্যবধানে। এমনটা হওয়ার কারণ তার রিপ্লেসমেন্ট না পাওয়া।
কেন রিয়াদের রিপ্লেসমেন্ট হয়নি এত বছরেও, এর দায় বিসিবিকেই দিলেন ফাহিম, ‘এটি আমাদের ব্যর্থতা ওদের আমরা এতও বছর খেলতে দেখেছি বা খেলতে দিয়েছি। ওদের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় আমরা তৈরি করতে পারিনি। আমি খুশি হতাম যদি ওদের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় আমরা তৈরি করতে পারতাম। ওদের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় আজ জাতীয় দলে খেলত। কিন্তু ওরা সেটি করতে দেয়নি। তবে তাদের থেকে ক্রেডিট নিয়ে নেওয়ার কিছু নেই।’