ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আজ: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস Logo নেপালে জেনজিদের বিক্ষোভে গুলি : নিহত ১৯ Logo ইভন হত্যার মূলহোতা সাইফুল গ্রেফতার Logo আড়াইহাজারে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত Logo ওসমান পরিবার পালিয়ে গেলেও লুটপাট এখনো বন্ধ হয় নাই : রফিউর রাব্বি Logo ফতুল্লার শেহাচরে বিদ্যুৎপৃষ্টে নিহত মা-মেয়ের পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান Logo হজরত খিজির (আ.) স্মরণে নদিতে ভেলা ভাসানো Logo বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানালেন মামুন মাহমুদ Logo বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া হিরন ও হারুন রশীদ লিটনের নেতৃত্বে গাড়িবহর নিয়ে বর্ণাঢ্য র‍্যালী অনুষ্ঠিত Logo শহরের যানজট নিরসনে টিআই এম. এ করিমের অক্লান্ত পরিশ্রম ও বিশেষ ভূমিকা পালন করায় সকলের নিকট প্রশংসিত

৪ আগস্টের পর ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা

গত বছরের ৪ আগস্টের পর দেশের ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪ বার হামলা চালানোর অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এসব হামলায় মাজার/দরগায় ভাঙচুর, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশের এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। সেইসঙ্গে পুলিশের সবগুলো ইউনিটকে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৭টি মাজারে ভাঙচুর, লুটপাট হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি হামলা হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারবার হামলা করা হয়েছে। আরও বলা হয়, সবগুলো ঘটনাতেই আইনিব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন থানায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে বা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। ফৌজদারি মামলায় মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুটি নিয়মিত মামলায় এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে।

এসব হামলায় মাজার/দরগাহ এবং ভক্তদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট ও মাজারে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামিক নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীলকরণ কর্মসূচিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেকোনো সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগাহ) নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সারা দেশে মাজারের (মাজার, দরগাহ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আজ: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

৪ আগস্টের পর ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা

আপডেট সময় ১০:২২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

গত বছরের ৪ আগস্টের পর দেশের ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪ বার হামলা চালানোর অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এসব হামলায় মাজার/দরগায় ভাঙচুর, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশের এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। সেইসঙ্গে পুলিশের সবগুলো ইউনিটকে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৭টি মাজারে ভাঙচুর, লুটপাট হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি হামলা হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারবার হামলা করা হয়েছে। আরও বলা হয়, সবগুলো ঘটনাতেই আইনিব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন থানায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে বা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। ফৌজদারি মামলায় মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুটি নিয়মিত মামলায় এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে।

এসব হামলায় মাজার/দরগাহ এবং ভক্তদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট ও মাজারে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামিক নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীলকরণ কর্মসূচিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেকোনো সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগাহ) নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সারা দেশে মাজারের (মাজার, দরগাহ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।