ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভোটের অধিকার হরন করেছিলো – এড. সাখাওয়াত

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারী) বিকেল ৩টায় ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরকত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগরের সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
প্রধান অতিথি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত ৫ তারিখ থেকে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। কিছু পাই বা না পাই কিন্তু এখন আমাদের ঘর ছেড়ে থাকতে হয় না, জেলে যেতে হয় না, আমরা আমাদের পেশাগত ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করতে পারছি। এজন্য আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া জানাই। আওয়ামী লীগ সবসময় দেশের ভিতর এমন একটা সমস্যা সৃষ্টি করে রেখেছে যে সমস্যার কারনে শেখ মুজিবুর রহমানের সময় ১৯৭৪ সালে জাতিকে দূর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিলো। তারা গঠন করেছিলো বাকশাল। যুবতী কন্যা সন্তান নিরাপদ ছিলোনা, যেটা ঘটেছিলো মেজর ডালিমের স্ত্রীর সাথে। পরবর্তীতে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ২০০৭ সালের নির্বাচনে তিনি মাথায় হিজাব ও হাতে তজবি নিয়ে জনসম্মুখে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ১০ টাকা কেজি চাউল, প্রতি ঘরে চাকরীর ব্যবস্থা। শেখ হাসিনা মুখে যা বলে কাজে তা করেনা, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গিয়েছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার পর তিনি মানুষের ভোটের অধিকার হরন করেছিলেন। আওয়ামী লীগ থেকে যে দাঁড়িয়েছে সেই নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচনের সময় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে জেলে আটক রেখেছে। কিন্তু এখন আমাদের সুসময় এসেছে, জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করার। আমরা যেন শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান হয়ে না যাই। আগামী নির্বাচনে আমরা যেন জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারি সেজন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা প্রনয়ণ করেছেন।
প্রধান বক্তা এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, চাঁনমারী এলাকায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবো সেটা কখনো ভাবিনি৷ কারন একটি গোষ্ঠী এই এলাকাকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলো। তবে ৫ আগষ্টের পর অত্র এলাকার পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লুটপাট, ধর্ষন, দূর্ভিক্ষ, সন্ত্রাসী, ব্যর্থতার ইতিহাস। আর বিএনপির ইতিহাস হলো দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর ইতিহাস। গত ১৬ বছর আপনারা ভোট দিতে পারেননি। আইনজীবীদের কন্ঠরোধ করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরন করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে দেরি করছে। তাই দেশের মানুষের কথা ভেবে তারেক রহমান ৩১ দফা দাবী উপস্থাপন করেছেন। ৩১ দফা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক হবে।
বক্তব্য শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন এবং জনসম্পৃক্ততার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।
মাকিদ মোস্তাকিম শিপলুর সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, মহানগর বিএনপির নেতা ডাঃ মুজিবুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা সরকার আলম, আক্তার হোসেন, আরিফ, জিয়াউল হাসান নাঈম, আবুল হোসেন, খায়রুল হাসান মুন্না, মানিক বেপারী, সাইফুল ইসলাম বাবু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ক্ষমতায় থেকে মানুষের ভোটের অধিকার হরন করেছিলো – এড. সাখাওয়াত

আপডেট সময় ০৭:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারী) বিকেল ৩টায় ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরকত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগরের সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
প্রধান অতিথি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত ৫ তারিখ থেকে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। কিছু পাই বা না পাই কিন্তু এখন আমাদের ঘর ছেড়ে থাকতে হয় না, জেলে যেতে হয় না, আমরা আমাদের পেশাগত ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করতে পারছি। এজন্য আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া জানাই। আওয়ামী লীগ সবসময় দেশের ভিতর এমন একটা সমস্যা সৃষ্টি করে রেখেছে যে সমস্যার কারনে শেখ মুজিবুর রহমানের সময় ১৯৭৪ সালে জাতিকে দূর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিলো। তারা গঠন করেছিলো বাকশাল। যুবতী কন্যা সন্তান নিরাপদ ছিলোনা, যেটা ঘটেছিলো মেজর ডালিমের স্ত্রীর সাথে। পরবর্তীতে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ২০০৭ সালের নির্বাচনে তিনি মাথায় হিজাব ও হাতে তজবি নিয়ে জনসম্মুখে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ১০ টাকা কেজি চাউল, প্রতি ঘরে চাকরীর ব্যবস্থা। শেখ হাসিনা মুখে যা বলে কাজে তা করেনা, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে তিনি প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে গিয়েছেন। ক্ষমতায় যাওয়ার পর তিনি মানুষের ভোটের অধিকার হরন করেছিলেন। আওয়ামী লীগ থেকে যে দাঁড়িয়েছে সেই নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচনের সময় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে জেলে আটক রেখেছে। কিন্তু এখন আমাদের সুসময় এসেছে, জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করার। আমরা যেন শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান হয়ে না যাই। আগামী নির্বাচনে আমরা যেন জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারি সেজন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা প্রনয়ণ করেছেন।
প্রধান বক্তা এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, চাঁনমারী এলাকায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবো সেটা কখনো ভাবিনি৷ কারন একটি গোষ্ঠী এই এলাকাকে কুক্ষিগত করে রেখেছিলো। তবে ৫ আগষ্টের পর অত্র এলাকার পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস লুটপাট, ধর্ষন, দূর্ভিক্ষ, সন্ত্রাসী, ব্যর্থতার ইতিহাস। আর বিএনপির ইতিহাস হলো দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর ইতিহাস। গত ১৬ বছর আপনারা ভোট দিতে পারেননি। আইনজীবীদের কন্ঠরোধ করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরন করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে দেরি করছে। তাই দেশের মানুষের কথা ভেবে তারেক রহমান ৩১ দফা দাবী উপস্থাপন করেছেন। ৩১ দফা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক হবে।
বক্তব্য শেষে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন এবং জনসম্পৃক্ততার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করেন।
মাকিদ মোস্তাকিম শিপলুর সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, মহানগর বিএনপির নেতা ডাঃ মুজিবুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা সরকার আলম, আক্তার হোসেন, আরিফ, জিয়াউল হাসান নাঈম, আবুল হোসেন, খায়রুল হাসান মুন্না, মানিক বেপারী, সাইফুল ইসলাম বাবু সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।