ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo এবার অভিনেত্রী দিশার বাড়িতে গোলাগুলি Logo শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জয়ের লক্ষ্য নিয়েই নামছে বাংলাদেশ Logo চার বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত চলমান : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন Logo রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ ৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo ইসলামপন্থীরাই এখন দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি : মাও. আতাউর Logo বন্দরে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী রনী ভূঁইয়া গ্রেপ্তার Logo বন্দরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মমিনুল গ্রেপ্তার Logo বন্দরে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রয়াত ইব্রাহিম মেম্বারের আত্বার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া Logo দাম কমিয়েও বিক্রি হচ্ছে না ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট Logo পরীমনির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাছিরের মামলা চলতে বাধা নেই

চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ : নতুন ঋণ পাবে ৭৫ কোটি ডলার

৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নতুনভাবে আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও আইমএএফ প্রতিনিধি দল। চলমান ঋণ কর্মস‚চির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে।

প্রতিনিধিদলটি তাদের মিশন শেষে গতকাল বিজ্ঞপ্তিতে ঐকমত্যের বিষয়টি জানায়। এ প্রতিনিধিদলের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইএমএফের আগামী নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন সাপেক্ষে চতুর্থ কিস্তি ছাড় হবে। নতুন ঋণের বিষয়টিও ওই বোর্ড সভার অনুমোদন নিতে হবে। আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ কিস্তিতে আগামী ফেব্রæয়ারি নাগাদ ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। ২০২৬ সাল নাগাদ পুরো অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরে সংস্থাটি থেকে স¤প্রতি আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের আবেদন করে বাংলাদেশ। এ বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছায় মিশন।

এদিকে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। একই সঙ্গে সঠিক নীতি গ্রহণ করা হলে ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে আছে। গণ-অভ্যুত্থান, বন্যা ও সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের কারণে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে সময়মতো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় ক্রমান্বয়ে অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাÐে এখনো ধীরগতি ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ব্যাংক থেকে মূলধন বের হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে চাপে ফেলেছে। এছাড়া রাজস্ব আয় কমছে, যদিও বাড়ছে সরকারের ব্যয়ের চাপ। এসব চ্যালেঞ্জ আর্থিকখাতকে দুর্দশার মধ্যে ফেলছে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। এর আগে গতকাল বিকেলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালোউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার অভিনেত্রী দিশার বাড়িতে গোলাগুলি

চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ : নতুন ঋণ পাবে ৭৫ কোটি ডলার

আপডেট সময় ০৯:২৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নতুনভাবে আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও আইমএএফ প্রতিনিধি দল। চলমান ঋণ কর্মস‚চির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে।

প্রতিনিধিদলটি তাদের মিশন শেষে গতকাল বিজ্ঞপ্তিতে ঐকমত্যের বিষয়টি জানায়। এ প্রতিনিধিদলের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইএমএফের আগামী নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন সাপেক্ষে চতুর্থ কিস্তি ছাড় হবে। নতুন ঋণের বিষয়টিও ওই বোর্ড সভার অনুমোদন নিতে হবে। আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ কিস্তিতে আগামী ফেব্রæয়ারি নাগাদ ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। ২০২৬ সাল নাগাদ পুরো অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরে সংস্থাটি থেকে স¤প্রতি আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের আবেদন করে বাংলাদেশ। এ বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছায় মিশন।

এদিকে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। একই সঙ্গে সঠিক নীতি গ্রহণ করা হলে ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে আছে। গণ-অভ্যুত্থান, বন্যা ও সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের কারণে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে সময়মতো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় ক্রমান্বয়ে অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাÐে এখনো ধীরগতি ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ব্যাংক থেকে মূলধন বের হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে চাপে ফেলেছে। এছাড়া রাজস্ব আয় কমছে, যদিও বাড়ছে সরকারের ব্যয়ের চাপ। এসব চ্যালেঞ্জ আর্থিকখাতকে দুর্দশার মধ্যে ফেলছে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। এর আগে গতকাল বিকেলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালোউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।