ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনূস-আনোয়ার বৈঠক, সুখবর পেলেন ১৮ হাজার শ্রমিক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকায় পৌঁছানোর পরপরই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য হয়েছেন বাংলাদেশে সফররত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি টিকিট জটিলতার কারণে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, ‘যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় ঝামেলায় পড়েছেন, প্রথম দফায় ১৮ হাজার ব্যক্তিকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। বাংলাদেশে যেসব মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদেরকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছি।’

আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে আরও জনশক্তি প্রয়োজন, তবে উভয় দেশের মধ্যে শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে। এছাড়া সেমিকন্ডাক্টর, ডাটা সেন্টার, এআই, নিউ টেকনলোজির বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।’

বৈঠকের আলোচনার বিষয় নিয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি-সংক্রান্ত বিষয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কর্মসংস্থান তৈরি, ভিসা সহজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আসিয়ান জোটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে বৈঠকে।’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি। যেখানে তারুণ্যের শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’

মালয়েশিয়ায় যেসব কর্মী আছেন তারা কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা আধুনিক দাস নয়। এই বিষয়ে আমরা পরিষ্কার ধারণা রাখি। তবে বিদেশি অনেক শ্রমিকের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জ রয়েছে। তাদের বিষয়টা ভিন্ন।’ এই দুটো বিষয়কে এক না করার আহ্বান জানান তিনি।

সংক্ষিপ্ত সফরে শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। দুপুরে তাকে বহনকারী বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কোনো শীর্ষ নেতা হিসেবে এটি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর। আনোয়ার ইব্রাহিমের পুরোনো বন্ধু ড. ইউনূস। বন্ধুর আমন্ত্রণে ঢাকায় আসেন তিনি।

ঢাকা ছাড়লেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী:
বাংলাদেশে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী বিমান মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউনূস-আনোয়ার বৈঠক, সুখবর পেলেন ১৮ হাজার শ্রমিক

আপডেট সময় ০৯:৪১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকায় পৌঁছানোর পরপরই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ঐকমত্য হয়েছেন বাংলাদেশে সফররত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি টিকিট জটিলতার কারণে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ১৮ হাজার শ্রমিককে সব সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, ‘যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় ঝামেলায় পড়েছেন, প্রথম দফায় ১৮ হাজার ব্যক্তিকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। বাংলাদেশে যেসব মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদেরকে সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছি।’

আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে আরও জনশক্তি প্রয়োজন, তবে উভয় দেশের মধ্যে শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে। এছাড়া সেমিকন্ডাক্টর, ডাটা সেন্টার, এআই, নিউ টেকনলোজির বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।’

বৈঠকের আলোচনার বিষয় নিয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি-সংক্রান্ত বিষয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কর্মসংস্থান তৈরি, ভিসা সহজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আসিয়ান জোটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে বৈঠকে।’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি। যেখানে তারুণ্যের শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’

মালয়েশিয়ায় যেসব কর্মী আছেন তারা কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা আধুনিক দাস নয়। এই বিষয়ে আমরা পরিষ্কার ধারণা রাখি। তবে বিদেশি অনেক শ্রমিকের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জ রয়েছে। তাদের বিষয়টা ভিন্ন।’ এই দুটো বিষয়কে এক না করার আহ্বান জানান তিনি।

সংক্ষিপ্ত সফরে শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। দুপুরে তাকে বহনকারী বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কোনো শীর্ষ নেতা হিসেবে এটি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর। আনোয়ার ইব্রাহিমের পুরোনো বন্ধু ড. ইউনূস। বন্ধুর আমন্ত্রণে ঢাকায় আসেন তিনি।

ঢাকা ছাড়লেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী:
বাংলাদেশে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে বহনকারী বিমান মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে।