ঢাকা , শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ১৪ মাসে চার্জশিট হয়নি একটি মামলারও, ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা Logo ভয়াবহ ‘সুনামি’র কবলে ইসরাইল! Logo ইতিহাস গড়ার প্রস্তুতি যেভাবে নিতে চলেছেন মুশফিক Logo সেই ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সামিরা মাহি Logo ইসলাম হতে হবে মদীনার ইসলাম, সেটা জামায়াতে ইসলাম না : মনির হোসাইন কাসেমী Logo মুসুল্লিদের ৬০ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটাচ্ছেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম Logo কাদিয়ানী অমুসলিম ঘোষণা দাবিতে ডিআইটিতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo সোনারগাঁয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই ডাকাত গ্রেপ্তার Logo রূপগঞ্জে ফুটপাত দখলমুক্ত উচ্ছেদ যৌথ অভিযান Logo বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা, গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু জাফর আহমেদ বাবুল

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে

প্রবাসীদের আয় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে দীর্ঘদিন পর ফের বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছেছে। তবে নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ) এখনও ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)।

গত আওয়ামী লীগ সরকারের লাগামহীন অর্থ পাচার ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে রিজার্ভ কমে তলানিতে নামে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৭৫ কোটি মার্কিন ডলার বা ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার (১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন)। চলতি মাসের শুরুর দিকে অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
গ্রস রিজার্ভ ও বিপিএম-৬-এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেয়, প্রকাশ করে না। চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের মতো ছিল (১৫ বিলিয়ন ডলার)।

প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টকর হয়ে যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ।

বাড়ছে রেমিট্যান্স : গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাবে না বলে হুমকি দেন প্রবাসীরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা ছিল গত দশ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এরপর নতুন সরকার গঠনের পর আবার দেশ গঠনে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। ফলে আবারও প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে। সবশেষ নভেম্বর মাসে দেশে প্রবাসী আয় বেড়ে ২২০ কোটি (২ দশমিক ২০ বিলিয়ন) দাঁড়ায়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার এবং অক্টোবরে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ অর্থবছরের টানা চার মাস ২ বিলিয়নের ওপরে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

১৪ মাসে চার্জশিট হয়নি একটি মামলারও, ভোগান্তিতে বিচারপ্রার্থীরা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে

আপডেট সময় ১১:২০:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রবাসীদের আয় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে দীর্ঘদিন পর ফের বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছেছে। তবে নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ) এখনও ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)।

গত আওয়ামী লীগ সরকারের লাগামহীন অর্থ পাচার ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে রিজার্ভ কমে তলানিতে নামে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৭৫ কোটি মার্কিন ডলার বা ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ১ হাজার ৯২০ কোটি ডলার (১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন)। চলতি মাসের শুরুর দিকে অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৮ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।
গ্রস রিজার্ভ ও বিপিএম-৬-এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেয়, প্রকাশ করে না। চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের মতো ছিল (১৫ বিলিয়ন ডলার)।

প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টকর হয়ে যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ।

বাড়ছে রেমিট্যান্স : গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাবে না বলে হুমকি দেন প্রবাসীরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা ছিল গত দশ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এরপর নতুন সরকার গঠনের পর আবার দেশ গঠনে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। ফলে আবারও প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে। সবশেষ নভেম্বর মাসে দেশে প্রবাসী আয় বেড়ে ২২০ কোটি (২ দশমিক ২০ বিলিয়ন) দাঁড়ায়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার এবং অক্টোবরে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ অর্থবছরের টানা চার মাস ২ বিলিয়নের ওপরে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।