ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo হোয়াটসঅ্যাপে নতুন সুবিধা, স্ক্যান করা যাবে নথিপত্রও Logo কড়ই গাছের ভেতরে জ্বলছে আগুন, নেভাতে ব্যর্থ ফায়ার সার্ভিস Logo ৭ গোলের থ্রিলার ম্যাচে আল হিলালের ইতিহাস, ম্যানসিটির বিদায় Logo উপবাস ছিলেন, তারপরেও শেফালীর শরীরে কীসের ইনজেকশন? Logo আমরা একদলীয় দেশের বাসিন্দা, এখন সময় নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের: মাস্ক Logo জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করুন : প্রধান উপদেষ্টা Logo পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়লেন এক সন্তানের জননী Logo বক্তাবলী রাজাপুর ঘাট ইজারার পুনঃ দরপত্র বুধবার উম্মুক্ত হবে Logo এখন থেকেই জনগণের কাছে ভোট চাইতে হবে : গিয়াসউদ্দিন Logo ফতুল্লায় এক পোশাক কারখানার শ্রমিক অসন্তোষে বন্ধ হলো ৮ কারখানা

পাঁচ বছর ধরে ভাঙা সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ব্রিজ, ভোগান্তিতে মানুষ

পাঁচ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চেলারচর থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিলের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভাঙা। এতে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষকে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্রিজটি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে একাধিকবার জানানো হলেও তারা গুরুত্ব দেয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির চেলারচর হয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার পরে নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে একদিকে ঝুলে রয়েছে। ব্রিজের নিচের পিলার ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে। যা বাঁশ দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায়ও নিরুপায় হয়ে মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হলেও অটোরিকশা, সিএনজিসহ ধীরগতির যান চলাচল একেবারেই বন্ধ।

অথচ এ অঞ্চলের নবীনগর, এলাহীনগর, ইসলামপুর, দড়িগাঁও, শম্ভুপুরা, ফতেপুর, দশদোনা নয়াগাঁও, চেলারচর, হোসেনপুরসহ ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সড়কের দুপাশে কৃষি জমি থাকায় কৃষকরা নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন।

জানা যায়, ৩২ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯২ সালে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেলারচর থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিলের ওপর দিয়ে যাওয়া ২ কিলোমিটারের সড়কের ১ কিলো যেতেই খালের একটি ব্রিজ নির্মাণ করে সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ব্রিজটি নির্মিত হওয়ার পর আশপাশের বাসিন্দারা সুফল ভোগ করছিলেন। তবে পাঁচ বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

ব্রিজটি সংস্কারের মাধ্যমে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানান স্থানীয় জনতা।

চেলারচর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান জানান, আশপাশের ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ব্রিজটি নির্মিত হয়। এরপর থেকে অটোরিকশা বা সিএনজিসহ অন্যান্য যানের যাতায়াত ছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা নবীনগর হয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছাতে পারতেন। তবে পাঁচ বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় তখন থেকে অধিক খরচ করে উল্টো পথ হয়ে নারায়ণগঞ্জ যান।

দশদোনা নয়াগাঁও এলাকার কৃষক নূর ইসলাম বলেন, ব্রিজের সংস্কারের জন্য একাধিকবার চেয়ারম্যানকে বলেও সমাধান পাইনি। চলাচলে অনেক বেশি অসুবিধা নিয়েও নিরুপায় হয়ে যাতায়াত করি। গাড়ি চলাচল না করায় সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হন শারীরিক অসুস্থ হওয়া রোগীরা। তাদের দুঃখের শেষ নাই।

এলাহীনগর গ্রামের বাসিন্দা ঘটক খাইরুন নেছা বলেন, নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে পারাপার হওয়া লাগে। গাড়ি চলাচল না থাকায় হেঁটে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়। আমাদের কথা ভেবে সরকার এই সড়কের ব্রিজটা সংস্কার করে দিক এটাই চাওয়া।

এ বিষয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাবেদ আলী মেম্বার বলেন, চেলারচরের সড়ক এবং ব্রিজের কাজের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা সাময়িকভাবে কিছুটা সংস্কার করে দিয়েছিলাম। ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ হয়েছে। শিগগির কাজ ধরা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক বলেন, ব্রিজটি সংস্কারের জন্য আমরা হেড অফিস বরাবর লিখিত দিয়েছি। এখন পর্যন্ত অনুমোদন পাইনি। পাশাপাশি ওই সড়কের সংস্কারের বিষয়টিও জানিয়েছি। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন সুবিধা, স্ক্যান করা যাবে নথিপত্রও

পাঁচ বছর ধরে ভাঙা সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ব্রিজ, ভোগান্তিতে মানুষ

আপডেট সময় ০৯:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পাঁচ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চেলারচর থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিলের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভাঙা। এতে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষকে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্রিজটি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে একাধিকবার জানানো হলেও তারা গুরুত্ব দেয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির চেলারচর হয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার পরে নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে একদিকে ঝুলে রয়েছে। ব্রিজের নিচের পিলার ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে। যা বাঁশ দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায়ও নিরুপায় হয়ে মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হলেও অটোরিকশা, সিএনজিসহ ধীরগতির যান চলাচল একেবারেই বন্ধ।

অথচ এ অঞ্চলের নবীনগর, এলাহীনগর, ইসলামপুর, দড়িগাঁও, শম্ভুপুরা, ফতেপুর, দশদোনা নয়াগাঁও, চেলারচর, হোসেনপুরসহ ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সড়কের দুপাশে কৃষি জমি থাকায় কৃষকরা নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন।

জানা যায়, ৩২ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯২ সালে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেলারচর থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিলের ওপর দিয়ে যাওয়া ২ কিলোমিটারের সড়কের ১ কিলো যেতেই খালের একটি ব্রিজ নির্মাণ করে সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ব্রিজটি নির্মিত হওয়ার পর আশপাশের বাসিন্দারা সুফল ভোগ করছিলেন। তবে পাঁচ বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

ব্রিজটি সংস্কারের মাধ্যমে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানান স্থানীয় জনতা।

চেলারচর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান জানান, আশপাশের ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ব্রিজটি নির্মিত হয়। এরপর থেকে অটোরিকশা বা সিএনজিসহ অন্যান্য যানের যাতায়াত ছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা নবীনগর হয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছাতে পারতেন। তবে পাঁচ বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় তখন থেকে অধিক খরচ করে উল্টো পথ হয়ে নারায়ণগঞ্জ যান।

দশদোনা নয়াগাঁও এলাকার কৃষক নূর ইসলাম বলেন, ব্রিজের সংস্কারের জন্য একাধিকবার চেয়ারম্যানকে বলেও সমাধান পাইনি। চলাচলে অনেক বেশি অসুবিধা নিয়েও নিরুপায় হয়ে যাতায়াত করি। গাড়ি চলাচল না করায় সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হন শারীরিক অসুস্থ হওয়া রোগীরা। তাদের দুঃখের শেষ নাই।

এলাহীনগর গ্রামের বাসিন্দা ঘটক খাইরুন নেছা বলেন, নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে পারাপার হওয়া লাগে। গাড়ি চলাচল না থাকায় হেঁটে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়। আমাদের কথা ভেবে সরকার এই সড়কের ব্রিজটা সংস্কার করে দিক এটাই চাওয়া।

এ বিষয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাবেদ আলী মেম্বার বলেন, চেলারচরের সড়ক এবং ব্রিজের কাজের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা সাময়িকভাবে কিছুটা সংস্কার করে দিয়েছিলাম। ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ হয়েছে। শিগগির কাজ ধরা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক বলেন, ব্রিজটি সংস্কারের জন্য আমরা হেড অফিস বরাবর লিখিত দিয়েছি। এখন পর্যন্ত অনুমোদন পাইনি। পাশাপাশি ওই সড়কের সংস্কারের বিষয়টিও জানিয়েছি। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।