ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ আজ Logo মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে ৩২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার Logo নারায়ণগঞ্জে ঝুটবোঝাই চলন্ত ট্রাকে আগুন, চালক আহত Logo চট্টগ্রামে খাল-নালায় ১৫ জনের মৃত্যু, তবু উদাসীন সিটি করপোরেশন ও সিডিএ Logo সিদ্ধিরগঞ্জে সরকারি জমি দখল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া Logo নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষকদল কমিটি বিলুপ্ত Logo বিয়ের কথা গোপন করে দুই বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক, লম্পট আটক Logo বন্দরে সন্ত্রাসী পিতাপুত্র গ্রেপ্তার Logo আড়াইহাজার থানার ওসির ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন Logo ৮ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবিতে ছাত্রদলের মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন

পাঁচ বছর ধরে ভাঙা সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ব্রিজ, ভোগান্তিতে মানুষ

পাঁচ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চেলারচর থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিলের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভাঙা। এতে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষকে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্রিজটি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে একাধিকবার জানানো হলেও তারা গুরুত্ব দেয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির চেলারচর হয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার পরে নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে একদিকে ঝুলে রয়েছে। ব্রিজের নিচের পিলার ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে। যা বাঁশ দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায়ও নিরুপায় হয়ে মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হলেও অটোরিকশা, সিএনজিসহ ধীরগতির যান চলাচল একেবারেই বন্ধ।

অথচ এ অঞ্চলের নবীনগর, এলাহীনগর, ইসলামপুর, দড়িগাঁও, শম্ভুপুরা, ফতেপুর, দশদোনা নয়াগাঁও, চেলারচর, হোসেনপুরসহ ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সড়কের দুপাশে কৃষি জমি থাকায় কৃষকরা নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন।

জানা যায়, ৩২ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯২ সালে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেলারচর থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিলের ওপর দিয়ে যাওয়া ২ কিলোমিটারের সড়কের ১ কিলো যেতেই খালের একটি ব্রিজ নির্মাণ করে সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ব্রিজটি নির্মিত হওয়ার পর আশপাশের বাসিন্দারা সুফল ভোগ করছিলেন। তবে পাঁচ বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

ব্রিজটি সংস্কারের মাধ্যমে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানান স্থানীয় জনতা।

চেলারচর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান জানান, আশপাশের ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ব্রিজটি নির্মিত হয়। এরপর থেকে অটোরিকশা বা সিএনজিসহ অন্যান্য যানের যাতায়াত ছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা নবীনগর হয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছাতে পারতেন। তবে পাঁচ বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় তখন থেকে অধিক খরচ করে উল্টো পথ হয়ে নারায়ণগঞ্জ যান।

দশদোনা নয়াগাঁও এলাকার কৃষক নূর ইসলাম বলেন, ব্রিজের সংস্কারের জন্য একাধিকবার চেয়ারম্যানকে বলেও সমাধান পাইনি। চলাচলে অনেক বেশি অসুবিধা নিয়েও নিরুপায় হয়ে যাতায়াত করি। গাড়ি চলাচল না করায় সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হন শারীরিক অসুস্থ হওয়া রোগীরা। তাদের দুঃখের শেষ নাই।

এলাহীনগর গ্রামের বাসিন্দা ঘটক খাইরুন নেছা বলেন, নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে পারাপার হওয়া লাগে। গাড়ি চলাচল না থাকায় হেঁটে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়। আমাদের কথা ভেবে সরকার এই সড়কের ব্রিজটা সংস্কার করে দিক এটাই চাওয়া।

এ বিষয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাবেদ আলী মেম্বার বলেন, চেলারচরের সড়ক এবং ব্রিজের কাজের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা সাময়িকভাবে কিছুটা সংস্কার করে দিয়েছিলাম। ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ হয়েছে। শিগগির কাজ ধরা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক বলেন, ব্রিজটি সংস্কারের জন্য আমরা হেড অফিস বরাবর লিখিত দিয়েছি। এখন পর্যন্ত অনুমোদন পাইনি। পাশাপাশি ওই সড়কের সংস্কারের বিষয়টিও জানিয়েছি। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ আজ

পাঁচ বছর ধরে ভাঙা সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ব্রিজ, ভোগান্তিতে মানুষ

আপডেট সময় ০৯:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পাঁচ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের চেলারচর থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিলের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভাঙা। এতে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষকে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্রিজটি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে একাধিকবার জানানো হলেও তারা গুরুত্ব দেয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির চেলারচর হয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার পরে নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে একদিকে ঝুলে রয়েছে। ব্রিজের নিচের পিলার ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে। যা বাঁশ দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায়ও নিরুপায় হয়ে মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হলেও অটোরিকশা, সিএনজিসহ ধীরগতির যান চলাচল একেবারেই বন্ধ।

অথচ এ অঞ্চলের নবীনগর, এলাহীনগর, ইসলামপুর, দড়িগাঁও, শম্ভুপুরা, ফতেপুর, দশদোনা নয়াগাঁও, চেলারচর, হোসেনপুরসহ ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সড়কের দুপাশে কৃষি জমি থাকায় কৃষকরা নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন।

জানা যায়, ৩২ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯২ সালে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেলারচর থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিলের ওপর দিয়ে যাওয়া ২ কিলোমিটারের সড়কের ১ কিলো যেতেই খালের একটি ব্রিজ নির্মাণ করে সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। ব্রিজটি নির্মিত হওয়ার পর আশপাশের বাসিন্দারা সুফল ভোগ করছিলেন। তবে পাঁচ বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে।

ব্রিজটি সংস্কারের মাধ্যমে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানান স্থানীয় জনতা।

চেলারচর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান জানান, আশপাশের ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ব্রিজটি নির্মিত হয়। এরপর থেকে অটোরিকশা বা সিএনজিসহ অন্যান্য যানের যাতায়াত ছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা নবীনগর হয়ে নারায়ণগঞ্জ পৌঁছাতে পারতেন। তবে পাঁচ বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় তখন থেকে অধিক খরচ করে উল্টো পথ হয়ে নারায়ণগঞ্জ যান।

দশদোনা নয়াগাঁও এলাকার কৃষক নূর ইসলাম বলেন, ব্রিজের সংস্কারের জন্য একাধিকবার চেয়ারম্যানকে বলেও সমাধান পাইনি। চলাচলে অনেক বেশি অসুবিধা নিয়েও নিরুপায় হয়ে যাতায়াত করি। গাড়ি চলাচল না করায় সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হন শারীরিক অসুস্থ হওয়া রোগীরা। তাদের দুঃখের শেষ নাই।

এলাহীনগর গ্রামের বাসিন্দা ঘটক খাইরুন নেছা বলেন, নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে পারাপার হওয়া লাগে। গাড়ি চলাচল না থাকায় হেঁটে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়। আমাদের কথা ভেবে সরকার এই সড়কের ব্রিজটা সংস্কার করে দিক এটাই চাওয়া।

এ বিষয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাবেদ আলী মেম্বার বলেন, চেলারচরের সড়ক এবং ব্রিজের কাজের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে আমরা সাময়িকভাবে কিছুটা সংস্কার করে দিয়েছিলাম। ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ হয়েছে। শিগগির কাজ ধরা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক বলেন, ব্রিজটি সংস্কারের জন্য আমরা হেড অফিস বরাবর লিখিত দিয়েছি। এখন পর্যন্ত অনুমোদন পাইনি। পাশাপাশি ওই সড়কের সংস্কারের বিষয়টিও জানিয়েছি। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।