নিজস্ব প্রতিনিধি- নারায়ণগঞ্জের রিভার ভিউ কমপ্লেক্স এর দ্বিতীয় তলায় সাবেক ২৩ ও ২৪ নং এবং বর্তমানে ২৯ ও ৩০ নং দোকানের দখল পজিশন মালিক ছিলেন হাজী হাফেজ এর পুত্র জুলহাস (৭৫) ও মোঃ শাহজাহান। তাদের নিকট থেকে ২০০০ সালে আব্দুর রশিদ ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্য ধার্যে দুটো দোকানের মালিকানা ক্রয় করেন এবং আন্ডার গ্রাউন্ডের ৮৭৯ বর্গফুটের গোডাউনটি ১০ লক্ষ টাকা মূল্যে ২০১৫ সালে ক্রয় করে গোডাউনের মালিক হন বন্দরের আব্দুল করিম এর পুত্র আব্দুর রশিদ (৬২)। গত নভেম্বর হতে জুলহাস তার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে আব্দুর রশিদ এর আন্ডার গ্রাউন্ডের গোডাউন টি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করে। আব্দুর রশিদ বিষয়টি বুঝতে পেরে আইনের দারস্থ হয়। এবং মোকাম – বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ, ৪র্থ আদালত নারায়ণগঞ্জে একটি দেওয়নী মোকদ্দমা করেন। যাহার মামলা নং- ৯৬/২২।
এ মামলায় বাদী আব্দুর রশিদ বিবাদী জুলহাস গংদের বিরুদ্ধে আইনী প্রতিকার চেয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত করিলে আদলত তাহা মঞ্জুর করেন এবং বিবাদীদের কারন দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেন কিন্তু জুলহাস গং আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে অবৈধভাবে আব্দুর রশিদ এর আন্ডার গ্রাউন্ডের গোডাউনের তালা ভেঙ্গে জোর পূর্বক অবৈধভাবে দখল করে এবং গোডাউনে থাকা আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে জুলহাসের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠে এসেছে আব্দুর রশিদের কাছ থেকে।
ঘটনার বিবরণে আব্দুর রশিদ বলেন, আমি জুলহাস ও শাহজাহান এর নিকট থেকে পোজিসন ক্রয় করে শান্তি পূর্ণ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। কিন্তু বিগত নভেম্বরে আমাকে জুলহাস হুমকি প্রদান করে গোডাউনটি তাকে দিয়ে দিতে, আর যদি না দেই তা হলে আমাকে মারধর করে প্রাণে মেরে ফেলবে এবং গোডাউনটি দখল করে নিয়ে নিবে।আমি নিরুপায় হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করি। থানায় কোন প্রতিকার না পেয়ে বিগত ১ নভেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত জুলহাস গং দের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রেরন করেন এবং উভয় পক্ষকে ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত Status quo প্রদান করেন। আমি শারীরিক অসুস্থতার কারনে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত ৩রা ডিসেম্বর যেতে না পেরে বাসায় অবস্থান করছিলাম। এর মধ্যে লোকমারফত জানতে পারি আমার গোডাউনে কে বা কাহারা তালা ভেঙ্গে অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং গোডাউনে থাকা মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় । আমি বিষয়টি জানতে পেরে এসে দেখতে পাই তালা ভাঙা এবং গোডাউনে থাকা প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট হয়ে গেছে। তখন খোঁজ খবর নিয়ে লোক মুখে জানতে পারি জুলহাস এর নেতৃত্বে এ কাজটি হয়েছে। আমার ধারনা তারা আমার এ গোডাউন অবৈধভাবে দখলের জন্য এবং আমাকে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি করতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে । আমি চাই বিষয়টি আইনপ্রয়োগ কারী সংস্থা ঘটনার সত্যতা তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবেন। এ বিষয়ে আইনের সহযোগিতা কামনা করছি।