ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশকে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা মুক্ত করতে সব রাজনৈতিক দলের একাত্মতা জরুরী

বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশে আইডিয়াল কলেজের নাম পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে নেমপ্লেট খুলে জানাযা দিতে নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। বাহ্ বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা নিজেরাই নিজেদের প্রতি বৈষম্যের সৃষ্টি করে চলেছে। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের এত ক্ষোভ, এত দম্ভ, এত অহংকার, এত মারমুখী আচরণ এ কি ছিল আগে? আন্দোলনের নামে অবুঝ বাচ্চাগুলোকে এক প্রকার জঙ্গীতে পরিণত করে দিয়েছে সমন্বয়ক নামধারী ড. ইউনূসের দলের মেধাবী রাজনীতিকরা। রাজনীতির স্বার্থে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কোমড় ভেঙে দিলে যা হয়। এখন এক পক্ষ এসে বলবে- আমি আওয়ামীলীগ, আরেক পক্ষ এসে বলবে- আমি বিএনপি। সত্য বললেই যারা গলাটিপে ধরতে চায়, তারা কোনোদিনই দেশের ভাল চায় না। বাংলাদেশের মাটিতে এখন পাকিস্তানের পতাকা উড়ে, বাংলার মাটিতে জিন্নাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। বুঝতে পারছেন কি হতে চলেছে সামনে? এখনও সময় আছে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্ট সব দেশের সবক’টা রাজনৈতিক দল অহংকার ভুলে এক হন। সবাই একত্রিত হয়ে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে পূণরায় প্রতিষ্ঠা করেন। নাহয় সব শেষ হয়ে যাবে, আপনারাও শেষ হয়ে যাবেন। বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের মধ্যে যারা দুর্ণীতি করেনি, মানুষ মারেনি, বরং জনগণের পক্ষে রাজনীতি করেছে, তাদেরকে বেছে বেছে দলে নিয়ে, অন্যান্য দলগুলোকেও সমান সুযোগ দিয়ে সামনে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করুন। দেশ চালাতে রাজনীতিক লাগে, সুশীল দিয়ে দেশ পরিচালনা করা যায় না। জনগণের সাথে সরাসরি কানেকটেড থাকে রাজনীতিকরা। তাই দেশের হাল ধরতে হলে দাগহীন রাজনীতিকদের নিয়ে দল গঠন করুন এবং দেশ বাঁচান। তবে অবশ্যই ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের কঠোর থেকে কঠোর বিচার চাই। তাদের কোনো ছাড় নয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

দেশকে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা মুক্ত করতে সব রাজনৈতিক দলের একাত্মতা জরুরী

আপডেট সময় ০৫:৩৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশে আইডিয়াল কলেজের নাম পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে নেমপ্লেট খুলে জানাযা দিতে নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। বাহ্ বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা নিজেরাই নিজেদের প্রতি বৈষম্যের সৃষ্টি করে চলেছে। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের এত ক্ষোভ, এত দম্ভ, এত অহংকার, এত মারমুখী আচরণ এ কি ছিল আগে? আন্দোলনের নামে অবুঝ বাচ্চাগুলোকে এক প্রকার জঙ্গীতে পরিণত করে দিয়েছে সমন্বয়ক নামধারী ড. ইউনূসের দলের মেধাবী রাজনীতিকরা। রাজনীতির স্বার্থে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার কোমড় ভেঙে দিলে যা হয়। এখন এক পক্ষ এসে বলবে- আমি আওয়ামীলীগ, আরেক পক্ষ এসে বলবে- আমি বিএনপি। সত্য বললেই যারা গলাটিপে ধরতে চায়, তারা কোনোদিনই দেশের ভাল চায় না। বাংলাদেশের মাটিতে এখন পাকিস্তানের পতাকা উড়ে, বাংলার মাটিতে জিন্নাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। বুঝতে পারছেন কি হতে চলেছে সামনে? এখনও সময় আছে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্ট সব দেশের সবক’টা রাজনৈতিক দল অহংকার ভুলে এক হন। সবাই একত্রিত হয়ে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে পূণরায় প্রতিষ্ঠা করেন। নাহয় সব শেষ হয়ে যাবে, আপনারাও শেষ হয়ে যাবেন। বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের মধ্যে যারা দুর্ণীতি করেনি, মানুষ মারেনি, বরং জনগণের পক্ষে রাজনীতি করেছে, তাদেরকে বেছে বেছে দলে নিয়ে, অন্যান্য দলগুলোকেও সমান সুযোগ দিয়ে সামনে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করুন। দেশ চালাতে রাজনীতিক লাগে, সুশীল দিয়ে দেশ পরিচালনা করা যায় না। জনগণের সাথে সরাসরি কানেকটেড থাকে রাজনীতিকরা। তাই দেশের হাল ধরতে হলে দাগহীন রাজনীতিকদের নিয়ে দল গঠন করুন এবং দেশ বাঁচান। তবে অবশ্যই ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের কঠোর থেকে কঠোর বিচার চাই। তাদের কোনো ছাড় নয়।