ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপগঞ্জে স্ত্রী-কন্যাকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক আনিস গ্রেপ্তার

রূপগঞ্জে রোকসানা বেগম ও তার ৫ বছরের মেয়ে জান্নাতকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি মো. নুরুজ্জামান আনিস কে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃত আসামি নিহত রোকসানা বেগমের স্বামী ও জান্নাতের পিতা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া এলাকা থেকে আসামিকে প্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের তেতলাব এলাকার একটি ভাড়া বাসায় স্বামী আনিস, স্ত্রী রোকসানা এবং পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর থেকে আসামি আনিস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে, নিহত রোকসানা বেগমের পিতা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর পরপরই র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে আসামিকে প্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় আসামিকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব ১১।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, আসামী মোঃ নুরুজ্জামান আনিস (৩৬) নয় বছর পূর্বে বরগুনা জেলার আমতলী থানার মোঃ শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে রোকসানা বেগম (৩০) কে বিবাহ করেন। দীর্ঘ নয় বছরের সংসার জীবনে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিবাহের পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে নুরুজ্জামান এর সাথে তার পরিবারের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত।

উক্ত কলহের জের ধরে গত ৭ রাতে পূর্বের ন্যায় তুচ্ছ বিষয়ে স্ত্রী রোকসানা বেগমের সাথে ঝগড়া শুরু করে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে নুরুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রীর গালে, ঘাড়ে, হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকে। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় রোকসানা মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে তার পাঁচ বছরের ছোট্ট কন্যা সন্তান জান্নাত ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করে এবং কান্নাকাটি শুরু করে।

তখন আসামি নুরুজ্জামান ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছোট্ট কন্যা জান্নাতের মাথায় গলায় ও হাতে এলোপাথাড়ি কোপাইয়া রক্তাক্ত জখম করে। এই ঘটনার পর আসামী তার শ্যালক কে ফোন দিয়ে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উক্ত সংবাদ শুনে ভিকটিমের পরিবার দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রোকসানা বেগমকে মৃত এবং শিশু জান্নাত কে রক্তাক্ত অবস্থায় তোষকের উপর পড়ে থাকতে দেখে। ভিকটিম রোকসানা ঘটনাস্থলে মারা গেলেও পরিবারের লোকজন শিশু জান্নাতকে প্রথমে কর্ণগোপ ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু জান্নাত মৃত্যুবরণ করে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে স্ত্রী-কন্যাকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক আনিস গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৫:১৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে রোকসানা বেগম ও তার ৫ বছরের মেয়ে জান্নাতকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি মো. নুরুজ্জামান আনিস কে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃত আসামি নিহত রোকসানা বেগমের স্বামী ও জান্নাতের পিতা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া এলাকা থেকে আসামিকে প্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের তেতলাব এলাকার একটি ভাড়া বাসায় স্বামী আনিস, স্ত্রী রোকসানা এবং পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর থেকে আসামি আনিস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে, নিহত রোকসানা বেগমের পিতা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর পরপরই র‌্যাব-৮ ও র‌্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে আসামিকে প্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় আসামিকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব ১১।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, আসামী মোঃ নুরুজ্জামান আনিস (৩৬) নয় বছর পূর্বে বরগুনা জেলার আমতলী থানার মোঃ শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে রোকসানা বেগম (৩০) কে বিবাহ করেন। দীর্ঘ নয় বছরের সংসার জীবনে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিবাহের পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে নুরুজ্জামান এর সাথে তার পরিবারের মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত।

উক্ত কলহের জের ধরে গত ৭ রাতে পূর্বের ন্যায় তুচ্ছ বিষয়ে স্ত্রী রোকসানা বেগমের সাথে ঝগড়া শুরু করে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে নুরুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রীর গালে, ঘাড়ে, হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকে। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় রোকসানা মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে তার পাঁচ বছরের ছোট্ট কন্যা সন্তান জান্নাত ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করে এবং কান্নাকাটি শুরু করে।

তখন আসামি নুরুজ্জামান ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছোট্ট কন্যা জান্নাতের মাথায় গলায় ও হাতে এলোপাথাড়ি কোপাইয়া রক্তাক্ত জখম করে। এই ঘটনার পর আসামী তার শ্যালক কে ফোন দিয়ে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উক্ত সংবাদ শুনে ভিকটিমের পরিবার দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রোকসানা বেগমকে মৃত এবং শিশু জান্নাত কে রক্তাক্ত অবস্থায় তোষকের উপর পড়ে থাকতে দেখে। ভিকটিম রোকসানা ঘটনাস্থলে মারা গেলেও পরিবারের লোকজন শিশু জান্নাতকে প্রথমে কর্ণগোপ ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু জান্নাত মৃত্যুবরণ করে।