ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপগঞ্জে শোডাউনে প্রদর্শিত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি নিরাপত্তাহীনতায় রূপগঞ্জবাসী

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিগত সরকারের আমলে মিটিং মিছিলে প্রদর্শিত অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। ফলে রূপগঞ্জের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। উপজেলার কায়েতপাড়া, ভুলতা, মুড়াপাড়া, কাঞ্চন, তারাবো, ভোলাবো, দাউদপুর, গোলাকান্দাইল, চনপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিটিং মিছিল বা শোডাউনে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের আদিপত্য বিস্তারের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দিতো। সেই আতঙ্ক এখনও বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এলাকার আধিপত্য ও নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতারা অস্ত্র মজুদ করে। ৫ আগষ্ট শেখ হাছিনা দেশ ত্যাগের পর নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়ালেও অস্ত্রের সন্ধান মিলছে না। ওইসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসন তৎপর না হলে হাত বদল হয়ে দুষ্কৃতকারীদের হাতে চলে যেতে পারে। আবারো অশান্ত হতে পারে রূপগঞ্জ। এজন্য আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ ও সুশীল সমাজের মানুষ।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাঞ্চন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লিটু ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি কাঞ্চন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিকের পরিবারে সদস্যদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ লেগেই থাকতো। গত বছর কেন্দুয়া হাটের পাশে মসজিদের ছাদ থেকে উদ্ধার হয় শতাধিক দেশীয় অস্ত্র। কিন্তু গোলাম রসুল কলি ও লিটুর কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি শোডাউনে প্রদর্শিত দুই শতাধিক অস্ত্র।
দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা শরাফত বেপারী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রূপগঞ্জে একটা উত্তেজনা কাজ করেছে মানুষের মধ্যে। সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী আওয়ামী লীগের হয়ে সর্বশেষ নির্বাচন করলেও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়াও ছিলেন একই দলের প্রার্থী। তবে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচন পরবর্তী গোলাম দস্তগীর গাজী নির্বাচিত হলে শাজাহান সমর্থিত সকল নেতাকর্মীদের হয়রানি, মারধর ও দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর করে আগুন জ¦ালিয়ে দেয়। এ সময় দেড় শতাধিক অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় দুর্বৃত্তরা।
দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মাস্টার বলেন, গোলাম দস্তগীর গাজীর পালিত সন্ত্রাসীরাই অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে দেয়।
ভোলাব ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কাউসার ভুঁইয়া ও কাঞ্চন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাঞ্চন পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ডের কমিশনার মনির হোসেনের মধ্যে ইটভাটা মাটিকাটা নিয়ে বিভিন্ন সময় লেগে থাকতো ঝগড়া। এরই প্রেক্ষিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে চলতো শোডাউন। এসব শোডাউনে প্রদর্শিত অস্ত্র নিয়ে এখন আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। গত দুই মাস আগে কাঞ্চন পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার পনিরের ভাই শহিদুল পিকনিকের বোটে আক্রমণ করে। এ সময় একজনকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তা টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে। গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর শতাধিক অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভাংচুর করা হয় ডা. কবির হোসেনের অফিস।
শুধু তাই নয়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ সীমান্তের শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর মোহনায় চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র। এটি কায়েতপাড়ার মাদকের স্পট বলে পরিচিত। সেখানে মাদক বেচাকেনা নিয়ে বহুবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলা, সংঘর্ষ হয়েছে। চলতো বিদেশি ও দেশী অস্ত্রের ঝঞ্চঝনানি। চনপাড়ায় প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রয়েছে অনেক। একদিকে পুলিশ প্রবেশ করলে আসামিরা অন্যপদে পালিয়ে যায়। কায়েতপাড়ার ডন খ্যাত আন্ডা রফিক ও মোশারফ বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো। রূপগঞ্জ থানা পুলিশের এক আতঙ্কের গ্রাম নাওড়া। সেখানে সব সময় অস্ত্রের মহড়া চলতো। গত ১৫ বছরে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১২টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রূপগঞ্জের সাওঘাট এলাকায় ১৮ জুলাই বিসমিল্লাহ সবজি আড়ৎ দখল নিতে রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম ভুঁইয়া প্রকাশ্যে অস্ত্র উ”ু করে একের পর এক গুলি ছোড়ে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন।
এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ একক মালিকানাধীন গাউছিয়া কাপড়ের মার্কেটের ম্যানেজার আব্দুল আউয়াল জানান, বিগত সময়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা এলাকায় সরকার দলীয় মিটিং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইসব মিটিং মিছিলে দলের নেতাকর্মীরা অস্ত্র উচু করে প্রদর্শন করেছিলেন। ওইসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউনের প্রজেক্ট ম্যানেজার কাজল মিয়া বলেন, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এনআরবি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে রূপগঞ্জের ভুলতা থেকে পোনাব এলাকায় যাওয়ার পথে তিনজন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল যোগে অস্ত্র ঠেঁকিয়ে ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীদের নাম প্রকাশ করলে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়।
রূপগঞ্জ ওয়ান ফ্যামিলির প্রতিষ্ঠাতা সেলিম প্রধান জানান, গত ১৫ বছরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক ডজন খুন ও জখম হয়। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন হলেও অস্ত্র উদ্ধারে নেই তৎপরতা। এসব অস্ত্র উদ্ধার না হলে আবারও অশান্ত হতে পারে রূপগঞ্জ।
রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জুবায়ের জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে। অস্ত্র ব্যবহারকারী সন্ত্রাসীরা এখন আত্মগোপনে রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে শোডাউনে প্রদর্শিত অস্ত্র উদ্ধার হয়নি নিরাপত্তাহীনতায় রূপগঞ্জবাসী

আপডেট সময় ০৭:০২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিগত সরকারের আমলে মিটিং মিছিলে প্রদর্শিত অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। ফলে রূপগঞ্জের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। উপজেলার কায়েতপাড়া, ভুলতা, মুড়াপাড়া, কাঞ্চন, তারাবো, ভোলাবো, দাউদপুর, গোলাকান্দাইল, চনপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিটিং মিছিল বা শোডাউনে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের আদিপত্য বিস্তারের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দিতো। সেই আতঙ্ক এখনও বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এলাকার আধিপত্য ও নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতারা অস্ত্র মজুদ করে। ৫ আগষ্ট শেখ হাছিনা দেশ ত্যাগের পর নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়ালেও অস্ত্রের সন্ধান মিলছে না। ওইসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসন তৎপর না হলে হাত বদল হয়ে দুষ্কৃতকারীদের হাতে চলে যেতে পারে। আবারো অশান্ত হতে পারে রূপগঞ্জ। এজন্য আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ ও সুশীল সমাজের মানুষ।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাঞ্চন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লিটু ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি কাঞ্চন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিকের পরিবারে সদস্যদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ লেগেই থাকতো। গত বছর কেন্দুয়া হাটের পাশে মসজিদের ছাদ থেকে উদ্ধার হয় শতাধিক দেশীয় অস্ত্র। কিন্তু গোলাম রসুল কলি ও লিটুর কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি শোডাউনে প্রদর্শিত দুই শতাধিক অস্ত্র।
দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা শরাফত বেপারী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রূপগঞ্জে একটা উত্তেজনা কাজ করেছে মানুষের মধ্যে। সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী আওয়ামী লীগের হয়ে সর্বশেষ নির্বাচন করলেও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূইয়াও ছিলেন একই দলের প্রার্থী। তবে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচন পরবর্তী গোলাম দস্তগীর গাজী নির্বাচিত হলে শাজাহান সমর্থিত সকল নেতাকর্মীদের হয়রানি, মারধর ও দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর করে আগুন জ¦ালিয়ে দেয়। এ সময় দেড় শতাধিক অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় দুর্বৃত্তরা।
দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মাস্টার বলেন, গোলাম দস্তগীর গাজীর পালিত সন্ত্রাসীরাই অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে দেয়।
ভোলাব ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কাউসার ভুঁইয়া ও কাঞ্চন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাঞ্চন পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ডের কমিশনার মনির হোসেনের মধ্যে ইটভাটা মাটিকাটা নিয়ে বিভিন্ন সময় লেগে থাকতো ঝগড়া। এরই প্রেক্ষিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে চলতো শোডাউন। এসব শোডাউনে প্রদর্শিত অস্ত্র নিয়ে এখন আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। গত দুই মাস আগে কাঞ্চন পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার পনিরের ভাই শহিদুল পিকনিকের বোটে আক্রমণ করে। এ সময় একজনকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তা টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে। গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর শতাধিক অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভাংচুর করা হয় ডা. কবির হোসেনের অফিস।
শুধু তাই নয়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ সীমান্তের শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর মোহনায় চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র। এটি কায়েতপাড়ার মাদকের স্পট বলে পরিচিত। সেখানে মাদক বেচাকেনা নিয়ে বহুবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হামলা, সংঘর্ষ হয়েছে। চলতো বিদেশি ও দেশী অস্ত্রের ঝঞ্চঝনানি। চনপাড়ায় প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রয়েছে অনেক। একদিকে পুলিশ প্রবেশ করলে আসামিরা অন্যপদে পালিয়ে যায়। কায়েতপাড়ার ডন খ্যাত আন্ডা রফিক ও মোশারফ বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকতো। রূপগঞ্জ থানা পুলিশের এক আতঙ্কের গ্রাম নাওড়া। সেখানে সব সময় অস্ত্রের মহড়া চলতো। গত ১৫ বছরে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১২টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রূপগঞ্জের সাওঘাট এলাকায় ১৮ জুলাই বিসমিল্লাহ সবজি আড়ৎ দখল নিতে রূপগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম ভুঁইয়া প্রকাশ্যে অস্ত্র উ”ু করে একের পর এক গুলি ছোড়ে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন।
এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ একক মালিকানাধীন গাউছিয়া কাপড়ের মার্কেটের ম্যানেজার আব্দুল আউয়াল জানান, বিগত সময়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা এলাকায় সরকার দলীয় মিটিং মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইসব মিটিং মিছিলে দলের নেতাকর্মীরা অস্ত্র উচু করে প্রদর্শন করেছিলেন। ওইসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এশিয়ান ডুপ্লেক্স টাউনের প্রজেক্ট ম্যানেজার কাজল মিয়া বলেন, সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এনআরবি ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে রূপগঞ্জের ভুলতা থেকে পোনাব এলাকায় যাওয়ার পথে তিনজন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল যোগে অস্ত্র ঠেঁকিয়ে ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীদের নাম প্রকাশ করলে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়।
রূপগঞ্জ ওয়ান ফ্যামিলির প্রতিষ্ঠাতা সেলিম প্রধান জানান, গত ১৫ বছরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক ডজন খুন ও জখম হয়। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন হলেও অস্ত্র উদ্ধারে নেই তৎপরতা। এসব অস্ত্র উদ্ধার না হলে আবারও অশান্ত হতে পারে রূপগঞ্জ।
রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জুবায়ের জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে। অস্ত্র ব্যবহারকারী সন্ত্রাসীরা এখন আত্মগোপনে রয়েছে।