ঢাকা , শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামকে সমর্থন জানিয়েছেন হাসনাত পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামকে ঘোড়া প্রতিকে সমর্থন জানিয়েছেন হাসনাত পরিবারের প্রায় সকল (কায়সার হাসনাত ও তার ভাই ছাড়া) সদস্য। শুক্রবার বিকেলে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনারগাঁ সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী সভায় এ সমর্থন জানান তারা।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াত আবুল হাসনাত ও প্রয়াত মোশারফ হোসেনের ভাই বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. মনির হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ভাই দেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দ্বীপ, প্রয়াত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে তানহা হোসেন, সাংসদ কায়সার হাসনাতের চাচা মনির হোসেন, চাচাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, কৃষক লীগ জাতীয় কমিটির নেতা ফিরোজ হোসাইন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সোনারগাঁ পৌরসভা মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবর রহমান এবং সনমান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সামসুদ্দিন সামসু প্রমূখ।

কৃষক লীগ নেতা ফিরোজ হোসাইন বলেন, আমরা বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোশারফ ভাইকে ভালবেসে নির্বাচিত করেছি, কালামকেও ভালবেসে এবার নির্বাচিত করবো।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোড়া প্রতিকের মাহহফুজুর রহমান কালামকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে হাসনাত পরিবারের একজন সদস্য বানিয়ে নিলেন প্রয়াত হাসনাত সাহেবের ছোট ভাই মনির হোসেন। জনসভায় মনির হোসেন আগত সকল নেতৃবৃন্দকে ঘোড়া প্রতিকে ভোট দিতে আহবান জানিয়ে কালাম তাদের পরিবারের একজন সদস্য বলেও ঘোষনা দেন। তিনি আরও বলেন, একটা চক্রান্তকারী ভুমিদস্যু সোনারগাঁকে লুটপাট করতে কাজ করছে। তারা সোনারগাঁ থেকে টাকা লুটপাট করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে দিয়ে আসে। সেই লুটপাটকারীরা কালামকে মাইনাস করে সিল্পোসিন বাবুকে নির্বাচিত করতে চায়। আমি আজ থেকে ঘোষনা দিচ্ছি কালাম আমাদের পরিবারের একজন সদস্য। আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনারা সকলে ২১ তারিখে ঘোড়া মার্কায় ভোট দিবেন।

সভায় দেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দ্বীপ বলেন, কালাম ভাই যখনই প্রার্থী হোন তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়। একদল ষড়যন্ত্রকারী চাচ্ছে মোগরাপাড়া আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব কেড়ে নিতে। ভারত পাকিস্তানের বর্ডারের প্রার্থী বেছে নিয়েছেন। তাদের এই চক্রান্ত সফল হতে দেয়া যাবে না। সেজন্য আমরা কালাম ভাইকে একটি করে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবো।

তিনি আরও বলেন, ১০ বছর আল্লাহর কাছে কাঁন্নাকাটি করে পাওয়ার ৫ মাস পর কি জাতীয় পার্টির কাছে আওয়ামী লীগ বিক্রি করে দিছি? উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সুতিকাগার থেকে রাজনীতি অন্যত্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে একটি মহল নির্বাচন আসলেই ষড়যন্ত্র করে। নির্বাচনে নামার আগে অনুভব করেছেন তথাতথিত হাইকমান্ডের নামে মোগরাপাড়ায় কোন যোগ্য প্রার্থী নেই এমন অজুহাতে সেই পাকিস্তান-ভারতের বর্ডারের মতো সোনারগাঁয়ের শেষ প্রান্তে নিয়ে একজন যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পেয়েছে সেই হাইকমান্ড। কিন্তু আমি হাসনাত পরিবারের সদস্য হয়ে এইটা মেনে নিতে পারিনি। পরে আমি আমার দায়িত্ব থেকে ঘোড়ার সমর্থনে মাঠে নেমে পড়ি।

এ সময় মাহফুজুর রহমান কালামের বিরোধীতা করা কায়সার হাসনাতসহ আওয়ামী লীগের প্রতিটি চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দ্বীপ বলেন, এখনো তিন দিন বাকি আছে, আপনারা যদি ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চান তাহলে এখনো সময় আছে, মাহফুজুর রহমান কালামকে সমর্থন দিয়ে তাকে বিজয়ী করতে কাজ করুন।

সভায় প্রয়াত মোশারফ হোসেনের ছেলে তানহা বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই তাদের পরিবারের সাথে বিপদে-আপদে, সুদিনে এবং দুর্দিনে মাহফুজুর রহমান কালামকে কাছে পেয়েছেন। শুধু হাসনাত পরিবারই নয়, তানহার দেখা সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের যে কোন নেতাকর্মীর বিপদে-আপদে রাত-দিন যে কোন সময় যে নেতাকে কাছে পাওয়া গিয়েছে তিনি হলেন মাহফুজুর রহমান কালাম। তাই কোন চাঁদাবাজ-ধান্ধাবাজ, সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তিকে মহামূল্যবান ভোট না দিয়ে মাহফুজুর রহমান কালামকে ঘোড়া প্রতিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে জুম্মা নামাজের পর থেকে অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নানা বয়সী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শত শত মানুষ ও নেতাকর্মীরা ‘ঘোড়া ঘোড়া, শ্লোগান দিয়ে সভায় সমাবেত হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামকে সমর্থন জানিয়েছেন হাসনাত পরিবার

আপডেট সময় ০৮:৩৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামকে ঘোড়া প্রতিকে সমর্থন জানিয়েছেন হাসনাত পরিবারের প্রায় সকল (কায়সার হাসনাত ও তার ভাই ছাড়া) সদস্য। শুক্রবার বিকেলে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনারগাঁ সরকারি ডিগ্রী কলেজ মাঠে ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী সভায় এ সমর্থন জানান তারা।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রয়াত আবুল হাসনাত ও প্রয়াত মোশারফ হোসেনের ভাই বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. মনির হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ভাই দেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দ্বীপ, প্রয়াত চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের ছেলে তানহা হোসেন, সাংসদ কায়সার হাসনাতের চাচা মনির হোসেন, চাচাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, কৃষক লীগ জাতীয় কমিটির নেতা ফিরোজ হোসাইন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সোনারগাঁ পৌরসভা মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবর রহমান এবং সনমান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সামসুদ্দিন সামসু প্রমূখ।

কৃষক লীগ নেতা ফিরোজ হোসাইন বলেন, আমরা বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোশারফ ভাইকে ভালবেসে নির্বাচিত করেছি, কালামকেও ভালবেসে এবার নির্বাচিত করবো।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোড়া প্রতিকের মাহহফুজুর রহমান কালামকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে হাসনাত পরিবারের একজন সদস্য বানিয়ে নিলেন প্রয়াত হাসনাত সাহেবের ছোট ভাই মনির হোসেন। জনসভায় মনির হোসেন আগত সকল নেতৃবৃন্দকে ঘোড়া প্রতিকে ভোট দিতে আহবান জানিয়ে কালাম তাদের পরিবারের একজন সদস্য বলেও ঘোষনা দেন। তিনি আরও বলেন, একটা চক্রান্তকারী ভুমিদস্যু সোনারগাঁকে লুটপাট করতে কাজ করছে। তারা সোনারগাঁ থেকে টাকা লুটপাট করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে দিয়ে আসে। সেই লুটপাটকারীরা কালামকে মাইনাস করে সিল্পোসিন বাবুকে নির্বাচিত করতে চায়। আমি আজ থেকে ঘোষনা দিচ্ছি কালাম আমাদের পরিবারের একজন সদস্য। আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনারা সকলে ২১ তারিখে ঘোড়া মার্কায় ভোট দিবেন।

সভায় দেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দ্বীপ বলেন, কালাম ভাই যখনই প্রার্থী হোন তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়। একদল ষড়যন্ত্রকারী চাচ্ছে মোগরাপাড়া আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব কেড়ে নিতে। ভারত পাকিস্তানের বর্ডারের প্রার্থী বেছে নিয়েছেন। তাদের এই চক্রান্ত সফল হতে দেয়া যাবে না। সেজন্য আমরা কালাম ভাইকে একটি করে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবো।

তিনি আরও বলেন, ১০ বছর আল্লাহর কাছে কাঁন্নাকাটি করে পাওয়ার ৫ মাস পর কি জাতীয় পার্টির কাছে আওয়ামী লীগ বিক্রি করে দিছি? উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সুতিকাগার থেকে রাজনীতি অন্যত্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে একটি মহল নির্বাচন আসলেই ষড়যন্ত্র করে। নির্বাচনে নামার আগে অনুভব করেছেন তথাতথিত হাইকমান্ডের নামে মোগরাপাড়ায় কোন যোগ্য প্রার্থী নেই এমন অজুহাতে সেই পাকিস্তান-ভারতের বর্ডারের মতো সোনারগাঁয়ের শেষ প্রান্তে নিয়ে একজন যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পেয়েছে সেই হাইকমান্ড। কিন্তু আমি হাসনাত পরিবারের সদস্য হয়ে এইটা মেনে নিতে পারিনি। পরে আমি আমার দায়িত্ব থেকে ঘোড়ার সমর্থনে মাঠে নেমে পড়ি।

এ সময় মাহফুজুর রহমান কালামের বিরোধীতা করা কায়সার হাসনাতসহ আওয়ামী লীগের প্রতিটি চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দ্বীপ বলেন, এখনো তিন দিন বাকি আছে, আপনারা যদি ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চান তাহলে এখনো সময় আছে, মাহফুজুর রহমান কালামকে সমর্থন দিয়ে তাকে বিজয়ী করতে কাজ করুন।

সভায় প্রয়াত মোশারফ হোসেনের ছেলে তানহা বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই তাদের পরিবারের সাথে বিপদে-আপদে, সুদিনে এবং দুর্দিনে মাহফুজুর রহমান কালামকে কাছে পেয়েছেন। শুধু হাসনাত পরিবারই নয়, তানহার দেখা সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের যে কোন নেতাকর্মীর বিপদে-আপদে রাত-দিন যে কোন সময় যে নেতাকে কাছে পাওয়া গিয়েছে তিনি হলেন মাহফুজুর রহমান কালাম। তাই কোন চাঁদাবাজ-ধান্ধাবাজ, সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তিকে মহামূল্যবান ভোট না দিয়ে মাহফুজুর রহমান কালামকে ঘোড়া প্রতিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে জুম্মা নামাজের পর থেকে অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নানা বয়সী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শত শত মানুষ ও নেতাকর্মীরা ‘ঘোড়া ঘোড়া, শ্লোগান দিয়ে সভায় সমাবেত হয়।