নারায়ণঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতাউর রহমান মুকুলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন। রবিবার (৫ মে) রাতে উপজেলার মদনপুর অটোরিকশা স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। আতাউর রহমান মুকুল ‘চিংড়ি’ প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন।
আহতরা হলেন, মুকুলের শ্যালক মোহাম্মদ সোহেল, সমর্থক শ্যামল ও মোস্তাক। প্রাথমিকভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আতাউর রহমান মুকুলের ছেলে রুপন আহমেদ বলেন, মদনপুরে প্রচারণা শেষে আমার মামাসহ আমাদের কর্মী-সমর্থকরা ক্যাম্পে ফিরছিলেন। আর প্রচারণা শেষ করে আমার বাবা আগের গাড়িতে চলে যান। এ সময় অটোরিকশার জন্য স্ট্যান্ডে অপেক্ষারত অবস্থায় তাদের উপর কয়েকজন যুবক হামলা চালায়।
হামলাকারী যুবকরা ক্ষমতাসীন দলে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ‘দোয়াত-কলম’ প্রতীকের এমএ রশীদের কর্মী বলে অভিযোগ করেন রুপন। সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা করেছে। তারা সবাই এমএ রশীদের লোকজন।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এমএ রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে নির্দিষ্ট করে হামলাকারীদের নাম প্রকাশ করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, প্রথম ধাপের ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। গত ১৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরু হয়েছে।
নির্বাচনে এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশীদ (দোয়াত-কলম প্রতীক), সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান মুকুল (চিংড়ি মাছ প্রতীক), মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন (আনারস প্রতীক) এবং তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ (হেলিকপ্টার প্রতীক)।