ঢাকা , সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সভপতি ও ক্যাশিয়ারের অতিরিক্ত লোভের কারণে মসজিদের মিটার বিস্ফোরণ

নারায়ণগঞ্জে হৃদয়বিদারক ঘটে যাওয়া সেই মসজিদের মত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদে। তবে এ বিস্ফোরণ এসি থেকে নয়, মসজিদের কারেন্টের মিটার থেকে।

বিভিন্ন দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত লোড নিতে না পেরে বিকট শব্দ হয় ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেন মসজিদের নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা।

নামাজ আদায়কারী মুসল্লিদের কাছ থেকে জানা যায়, মসজিদের কারেন্টের মিটার থেকে বিভিন্ন দোকানপাটে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। যার ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অধিক পরিমাণে বেশি সংযোগ দেয়া হয়েছে।আশপাশের ফলের দোকান, ফ্লেক্সিলোডের দোকান, কনফেকশনারি, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানপাটে মসজিদের মিটার থেকে সংযোগ দেয়ায় এমন মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটে।ফলে মিটারের ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অধিক পরিমাণে বেশি সংযোগ নেয়া হলে বিভিন্ন সময়ে মসজিদের মিটারে এরকম বিকট শব্দে মুসল্লিদের কম্পিত করে তোলে। অনেক মুসুল্লী নারায়ণগঞ্জের সেই ঘটনার আবির্ভাব ঘটার দিকে ইঙ্গিত দেন।

জানা যায়, জাকির হোসেনের চায়ের দোকানের সংযোগের মধ্যে ত্রুটি পাওয়া যায়, ফলে নামাজ আদায়কারী মুসুল্লিদের মধ্যে একজন জাকির মিয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার দোকানের সংযোগের কারণেই এ ঘটনার আবির্ভাব ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই বলেন, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদের সভাপতি হাজী গাজী আব্দুস ছামাদ ও ক্যাশিয়ার মোস্তফা হাজীর অতিরিক্ত লোভের কারণেই এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে হতাহত না হলেও হতে পারতো। তারা৷ মসজিদ কমিটিতে দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অন্য কাউকে এই কমিটিতে আসতে দিতে চান না।আর মসজিদের কারেন্টের মিটার থেকে আশেপাশের বেশ কয়েকটি দোকানে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য ও নিজেদের পকেট ভারী করতে এই মিটার সংযোগ অবৈধভাবে দিয়েছেন। যার কারণে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিরা এমন দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তা না হলে বিরাট বড় দূর্ঘটনা হতে পারতো।

এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী গাজী আঃ ছামাদ বলেন, মসজিদের ব্যয়বহুল খরচের জন্য মসজিদের মিটার থেকে বিভিন্ন দোকানপাটে সংযোগ দেয়া হয় যাতে মসজিদের যাবতীয় খরচ বহন করা যায়। প্রতিমাসে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও বিদ্যুৎ বিলের জন্য এ সংযোগ দেয়া হয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সভপতি ও ক্যাশিয়ারের অতিরিক্ত লোভের কারণে মসজিদের মিটার বিস্ফোরণ

আপডেট সময় ০৩:৪০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে হৃদয়বিদারক ঘটে যাওয়া সেই মসজিদের মত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদে। তবে এ বিস্ফোরণ এসি থেকে নয়, মসজিদের কারেন্টের মিটার থেকে।

বিভিন্ন দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত লোড নিতে না পেরে বিকট শব্দ হয় ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেন মসজিদের নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা।

নামাজ আদায়কারী মুসল্লিদের কাছ থেকে জানা যায়, মসজিদের কারেন্টের মিটার থেকে বিভিন্ন দোকানপাটে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। যার ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অধিক পরিমাণে বেশি সংযোগ দেয়া হয়েছে।আশপাশের ফলের দোকান, ফ্লেক্সিলোডের দোকান, কনফেকশনারি, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানপাটে মসজিদের মিটার থেকে সংযোগ দেয়ায় এমন মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটে।ফলে মিটারের ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অধিক পরিমাণে বেশি সংযোগ নেয়া হলে বিভিন্ন সময়ে মসজিদের মিটারে এরকম বিকট শব্দে মুসল্লিদের কম্পিত করে তোলে। অনেক মুসুল্লী নারায়ণগঞ্জের সেই ঘটনার আবির্ভাব ঘটার দিকে ইঙ্গিত দেন।

জানা যায়, জাকির হোসেনের চায়ের দোকানের সংযোগের মধ্যে ত্রুটি পাওয়া যায়, ফলে নামাজ আদায়কারী মুসুল্লিদের মধ্যে একজন জাকির মিয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার দোকানের সংযোগের কারণেই এ ঘটনার আবির্ভাব ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই বলেন, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদের সভাপতি হাজী গাজী আব্দুস ছামাদ ও ক্যাশিয়ার মোস্তফা হাজীর অতিরিক্ত লোভের কারণেই এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে হতাহত না হলেও হতে পারতো। তারা৷ মসজিদ কমিটিতে দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অন্য কাউকে এই কমিটিতে আসতে দিতে চান না।আর মসজিদের কারেন্টের মিটার থেকে আশেপাশের বেশ কয়েকটি দোকানে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য ও নিজেদের পকেট ভারী করতে এই মিটার সংযোগ অবৈধভাবে দিয়েছেন। যার কারণে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লিরা এমন দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তা না হলে বিরাট বড় দূর্ঘটনা হতে পারতো।

এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী গাজী আঃ ছামাদ বলেন, মসজিদের ব্যয়বহুল খরচের জন্য মসজিদের মিটার থেকে বিভিন্ন দোকানপাটে সংযোগ দেয়া হয় যাতে মসজিদের যাবতীয় খরচ বহন করা যায়। প্রতিমাসে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও বিদ্যুৎ বিলের জন্য এ সংযোগ দেয়া হয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।