ঢাকা , সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর এএস আই আমানের কান্ড

দাবীকৃত ৩লাখ টাকা না পেয়ে দুই যুবককের বিরুদ্ধে মাদক মামলা

বন্দরে সুমন টেলিকম সেন্টারের প্রোপাইটর সুমন সরকার ও পল্লীবিদ্যুতের দালাল রাসেল রানা নামে দুই যুবককে আটক করে দাবীকৃত ৩লক্ষ টাকা না পেয়ে মাদক মামলা রুজু করার অভিযোগ উঠেছে মদনগঞ্জ ফাড়ীর এএস আই আমান মিয়ার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ৫ এপ্রিল দুপুরে ফরাজিকান্দা প্রধান ফিলিং ষ্টেশনের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।

আটককৃত আসামী সুমন সরকার শাহীমজিদ এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ও রাসেল রানা একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

তথ্যসুত্রে জানা যায়,বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার সুমন টেলিকম সেন্টারের প্রোপাইটর সুমন সরকার ও একই এলাকার পল্লীবিদ্যুতের কথিত দালাল রাসেল রানা ফরাজীকান্দা এলাকায় গিয়ে ওই এলাকার চিহিৃত মাদক স¤্রাট লিয়াকতকে ফোন দেয়। পরে ওই মাদক স¤্রাট লিয়াকত দুপুর ২টার দিকে ফরাজিকান্দাস্থ প্রধান ফিলিং ষ্টেশনের সামনে এসে তাদের হাতে দুই বোতল ফেন্সিডিল তুলে দিলে তারা মাদক সেবন করে খালি বোতল নির্জণ স্থানে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে সাথে সাথে হাজির হয় মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর এএস আই আমান মিয়াসহ সঙ্গীয়ফোর্স। মাদক সেবনের অপরাধে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গতকাল বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আটককৃত মাদক সেবীদের স্বজনদের কাছে আসামী ছাড়াতে ৩লক্ষ টাকা দাবী করে বসে। নইলে মাদক মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় চালান দিবে বলে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে ভূক্তভোগীরা দাবীকৃত টাকা দিতে ব্যার্থ হলে শুক্রবার দুপুরে ২ বোতল ফেন্সিডিলসহ মামলা রুজু করতে সক্ষম হয়।

এদিকে মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর এএসআই আমানকে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা আখ্যা দিয়ে স্থানীয়রা বলেন,পুলিশ জনগনের বন্ধু এ কথাটির এখন কোন বাস্তবতা নেই। পুলিশ অভিযোগ পেলে সুষ্ঠো তদন্তে সাপেক্ষে জনগনকে সেবা দিবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এই ঘোষখোর আমান অভিযোগ পেলে বাদীর কাছে মোটা অংক দাবী করে নানা ভাবে বিরক্ত করে। সাধারন মানুষকে মদনগঞ্জ ফাঁড়ীতে নিয়ে আটক করে টাকা দেয়ার জন্য হয়রানি করে। এমনকি ফরাজীকান্দা,মাহমুদ নগর,বেপারীপাড়াসহ বিভিন্ন মাদক ষ্পটে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সাপ্তাহিক ও মাসিক মাসোহারা নিয়ে থাকে। আসামী ধরতে গিয়ে নারীদের গনধোলংয়ের শিকারসহ নানা কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তা আমানের বিরুদ্ধে। যা সাধারন মানুষের কাছে ভিডিও ধারনও রয়েছে। বন্দর থানা পুলিশের ভাবমূর্তী বিনষ্ট করছে এই ঘোষখোর আমান। এই অসাধু পুলিশ সদস্য আমান মিয়াকে দ্রুত অনত্র অপসারন করে শাস্তির দাবী জানায় স্থানীয় সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর এএসআই আমান বলেন,আটককৃতদের কাছে কোন টাকা দাবী করা হয় নাই। আমাকে ফাসানোর জন্য এমন বদনাম ছড়ানো হচ্ছে।

বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে কোন আপষ নাই। আমার কোন পুলিশ সদস্য অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলেও কোন ছাড় নাই।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর এএস আই আমানের কান্ড

দাবীকৃত ৩লাখ টাকা না পেয়ে দুই যুবককের বিরুদ্ধে মাদক মামলা

আপডেট সময় ০৩:৩৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

বন্দরে সুমন টেলিকম সেন্টারের প্রোপাইটর সুমন সরকার ও পল্লীবিদ্যুতের দালাল রাসেল রানা নামে দুই যুবককে আটক করে দাবীকৃত ৩লক্ষ টাকা না পেয়ে মাদক মামলা রুজু করার অভিযোগ উঠেছে মদনগঞ্জ ফাড়ীর এএস আই আমান মিয়ার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার ৫ এপ্রিল দুপুরে ফরাজিকান্দা প্রধান ফিলিং ষ্টেশনের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।

আটককৃত আসামী সুমন সরকার শাহীমজিদ এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ও রাসেল রানা একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

তথ্যসুত্রে জানা যায়,বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার সুমন টেলিকম সেন্টারের প্রোপাইটর সুমন সরকার ও একই এলাকার পল্লীবিদ্যুতের কথিত দালাল রাসেল রানা ফরাজীকান্দা এলাকায় গিয়ে ওই এলাকার চিহিৃত মাদক স¤্রাট লিয়াকতকে ফোন দেয়। পরে ওই মাদক স¤্রাট লিয়াকত দুপুর ২টার দিকে ফরাজিকান্দাস্থ প্রধান ফিলিং ষ্টেশনের সামনে এসে তাদের হাতে দুই বোতল ফেন্সিডিল তুলে দিলে তারা মাদক সেবন করে খালি বোতল নির্জণ স্থানে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে সাথে সাথে হাজির হয় মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর এএস আই আমান মিয়াসহ সঙ্গীয়ফোর্স। মাদক সেবনের অপরাধে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গতকাল বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আটককৃত মাদক সেবীদের স্বজনদের কাছে আসামী ছাড়াতে ৩লক্ষ টাকা দাবী করে বসে। নইলে মাদক মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় চালান দিবে বলে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে ভূক্তভোগীরা দাবীকৃত টাকা দিতে ব্যার্থ হলে শুক্রবার দুপুরে ২ বোতল ফেন্সিডিলসহ মামলা রুজু করতে সক্ষম হয়।

এদিকে মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর এএসআই আমানকে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা আখ্যা দিয়ে স্থানীয়রা বলেন,পুলিশ জনগনের বন্ধু এ কথাটির এখন কোন বাস্তবতা নেই। পুলিশ অভিযোগ পেলে সুষ্ঠো তদন্তে সাপেক্ষে জনগনকে সেবা দিবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এই ঘোষখোর আমান অভিযোগ পেলে বাদীর কাছে মোটা অংক দাবী করে নানা ভাবে বিরক্ত করে। সাধারন মানুষকে মদনগঞ্জ ফাঁড়ীতে নিয়ে আটক করে টাকা দেয়ার জন্য হয়রানি করে। এমনকি ফরাজীকান্দা,মাহমুদ নগর,বেপারীপাড়াসহ বিভিন্ন মাদক ষ্পটে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সাপ্তাহিক ও মাসিক মাসোহারা নিয়ে থাকে। আসামী ধরতে গিয়ে নারীদের গনধোলংয়ের শিকারসহ নানা কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তা আমানের বিরুদ্ধে। যা সাধারন মানুষের কাছে ভিডিও ধারনও রয়েছে। বন্দর থানা পুলিশের ভাবমূর্তী বিনষ্ট করছে এই ঘোষখোর আমান। এই অসাধু পুলিশ সদস্য আমান মিয়াকে দ্রুত অনত্র অপসারন করে শাস্তির দাবী জানায় স্থানীয় সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর এএসআই আমান বলেন,আটককৃতদের কাছে কোন টাকা দাবী করা হয় নাই। আমাকে ফাসানোর জন্য এমন বদনাম ছড়ানো হচ্ছে।

বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে কোন আপষ নাই। আমার কোন পুলিশ সদস্য অনৈতিক কাজে জড়িত থাকলেও কোন ছাড় নাই।