ঢাকা , সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই শ্রমিককে কুপিয়ে পুলিশকে ধমকিয়ে আলোচনায় বিএনপি নেত্রী আঁখি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই হোসিয়ারী শ্রমিককে অযথা কুপিয়ে জখম করেছে স্থানীয় বিএনপির নেত্রী আঁখি বেগমের ছেলে নয়ন ও তার বাহিনীর লোকজন। ঘটনার ৫দিন পর্যন্ত দৌড়যাপ করে স্থানীয় বিচার শালিশ না পেয়ে ১১জনের বিরুদ্ধে গত বুধবার থানায় অভিযোগ করেন দুই শ্রমিক। এদিনই ফতুল্লা মডেল থানার এসআই বাপ্পী অভিযোগ তদন্তে যান।

নয়ন বাহীনির প্রধান নয়নকে খুজতে গেলে তার মা স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেত্রী আখি পুলিশের উপর ফুঁসে উঠে। কোন গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া কেনো তার ছেলেকে বাসায় খুজতে আসছে পুলিশ এজন্য এসআই বাপ্পীকে শতশত মানুষের সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

বিষয়টি প্রত্যক্ষদর্শীদের শরীর ঘামিয়েছেন। একজন পুলিশ অফিসার এলাকাবাসী ও অভিযোগকারীদের সামনে অকথ্য গালি হুমকি শুনে চুপচাপ হেটে চলে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

অভিযোগকারী তোফাজ্জল হোসেন জানান, তার বন্ধু মুন্নাসহ সে একটি হোসিয়ারীতে কাজ করেন। গত ২০ মার্চ রাত ৮টায় কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে আঁখির ছেলে বখাটে নয়ন দলবল নিয়ে তাদের পথরোধ করে মারধর করেন।

তারা দুজন মারধরের কারন জানতে চাইলে চাপাতি দিয়ে তাদের মাথায় আঘাত করলে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পরেন। তখন তারা মৃত ভেবে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এরপর তারা দুজন কিছুটা সুস্থ হয়ে আখির কাছে তার ছেলে নয়নের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। এতে আখি তাদের উল্টো হুমকি দিয়ে বলেন বেয়াদবি করলে এমনই হবে।

পরে তারা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারাও বলেন আখি তার স্বামী নজরুল ও তার দুই ছেলে এলাকায় খারাপ প্রকৃতির লোক।
তারা আচার ব্যবহার খুবই খারাপ। যাকে তাকে তারা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানীর হুমকি দেয়। এবিষয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা থানায় গিয়ে তাদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন।

তোফাজ্জল হোসেন আরো জানান, গত বুধবার সকালে থানায় গিয়ে আঁখিসহ ১১জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করি। এদিন দুপুর ১২টায় এসআই বাপ্পী স্যার সঙ্গীয় ফোর্সসহ আমাকে ও আমার বন্ধু মুন্নাকে সাথে নিয়ে আখির বাসায় যায়। বাপ্পী স্যার আখিকে সুধু বলছে দুইটি ছেলেকে আপনার ছেলে মারছে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে আপনি নালিশ পেয়েও বিচার করেননি কেনো।

এরপর বাপ্পী স্যারের উপর মারাত্মক ভাবে ফুসে উঠে তাকে নানা ভাবে হুমকি দেয়া শুরু করেছে। এসআই শাহাদাতসহ বেশকয়জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করে তাদের দৌড়ের উপর রেখেছেন। অনুমতি ছাড়া আমার বাসায় যেকারো প্রবেশের অনুমতি নেই। কেনো আমার বাসায় আসছেন বের হন। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

তখন এসআই বাপ্পী স্যার চুপচাপ দাড়িয়ে থাকায় তার বিরুদ্ধে আখি মিথ্যা অভিযোগ এনে বলেন আপনি পুরুষ হয়ে আমার শরীরে হাত দিলেন কেনো। এসময় বাপ্পী স্যার আমাকে নিয়ে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করেন।

আখি জানান, যারা অভিযোগ করেছে তারা বখাটে। তাদের অভিযোগ মিথ্যা আমাকে হয়রানী করার জন্য পুলিশ নিয়ে আমার বাসায় আসছে। যে কেউ অভিযোগ করলেই পুলিশ চলে আসবে। এটা ঠিকনা।

এ বিষয়ে বাপ্পী জানান, আখি তার স্বামী ও ছেলেসহ কয়েকজন ছিলো তাদের সাথে তারা আমার সাথে খারাপ আচরন করেছে। সাথে মহিলা পুলিশ না থাকায় তাদের আটক করতে পারিনি। বিষয়টি ওসি স্যারকে জানিয়েছি। এবিষয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন আছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

দুই শ্রমিককে কুপিয়ে পুলিশকে ধমকিয়ে আলোচনায় বিএনপি নেত্রী আঁখি

আপডেট সময় ০৪:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই হোসিয়ারী শ্রমিককে অযথা কুপিয়ে জখম করেছে স্থানীয় বিএনপির নেত্রী আঁখি বেগমের ছেলে নয়ন ও তার বাহিনীর লোকজন। ঘটনার ৫দিন পর্যন্ত দৌড়যাপ করে স্থানীয় বিচার শালিশ না পেয়ে ১১জনের বিরুদ্ধে গত বুধবার থানায় অভিযোগ করেন দুই শ্রমিক। এদিনই ফতুল্লা মডেল থানার এসআই বাপ্পী অভিযোগ তদন্তে যান।

নয়ন বাহীনির প্রধান নয়নকে খুজতে গেলে তার মা স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেত্রী আখি পুলিশের উপর ফুঁসে উঠে। কোন গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া কেনো তার ছেলেকে বাসায় খুজতে আসছে পুলিশ এজন্য এসআই বাপ্পীকে শতশত মানুষের সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

বিষয়টি প্রত্যক্ষদর্শীদের শরীর ঘামিয়েছেন। একজন পুলিশ অফিসার এলাকাবাসী ও অভিযোগকারীদের সামনে অকথ্য গালি হুমকি শুনে চুপচাপ হেটে চলে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

অভিযোগকারী তোফাজ্জল হোসেন জানান, তার বন্ধু মুন্নাসহ সে একটি হোসিয়ারীতে কাজ করেন। গত ২০ মার্চ রাত ৮টায় কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে আঁখির ছেলে বখাটে নয়ন দলবল নিয়ে তাদের পথরোধ করে মারধর করেন।

তারা দুজন মারধরের কারন জানতে চাইলে চাপাতি দিয়ে তাদের মাথায় আঘাত করলে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পরেন। তখন তারা মৃত ভেবে পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। এরপর তারা দুজন কিছুটা সুস্থ হয়ে আখির কাছে তার ছেলে নয়নের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। এতে আখি তাদের উল্টো হুমকি দিয়ে বলেন বেয়াদবি করলে এমনই হবে।

পরে তারা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারাও বলেন আখি তার স্বামী নজরুল ও তার দুই ছেলে এলাকায় খারাপ প্রকৃতির লোক।
তারা আচার ব্যবহার খুবই খারাপ। যাকে তাকে তারা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানীর হুমকি দেয়। এবিষয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা থানায় গিয়ে তাদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন।

তোফাজ্জল হোসেন আরো জানান, গত বুধবার সকালে থানায় গিয়ে আঁখিসহ ১১জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করি। এদিন দুপুর ১২টায় এসআই বাপ্পী স্যার সঙ্গীয় ফোর্সসহ আমাকে ও আমার বন্ধু মুন্নাকে সাথে নিয়ে আখির বাসায় যায়। বাপ্পী স্যার আখিকে সুধু বলছে দুইটি ছেলেকে আপনার ছেলে মারছে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে আপনি নালিশ পেয়েও বিচার করেননি কেনো।

এরপর বাপ্পী স্যারের উপর মারাত্মক ভাবে ফুসে উঠে তাকে নানা ভাবে হুমকি দেয়া শুরু করেছে। এসআই শাহাদাতসহ বেশকয়জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করে তাদের দৌড়ের উপর রেখেছেন। অনুমতি ছাড়া আমার বাসায় যেকারো প্রবেশের অনুমতি নেই। কেনো আমার বাসায় আসছেন বের হন। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

তখন এসআই বাপ্পী স্যার চুপচাপ দাড়িয়ে থাকায় তার বিরুদ্ধে আখি মিথ্যা অভিযোগ এনে বলেন আপনি পুরুষ হয়ে আমার শরীরে হাত দিলেন কেনো। এসময় বাপ্পী স্যার আমাকে নিয়ে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করেন।

আখি জানান, যারা অভিযোগ করেছে তারা বখাটে। তাদের অভিযোগ মিথ্যা আমাকে হয়রানী করার জন্য পুলিশ নিয়ে আমার বাসায় আসছে। যে কেউ অভিযোগ করলেই পুলিশ চলে আসবে। এটা ঠিকনা।

এ বিষয়ে বাপ্পী জানান, আখি তার স্বামী ও ছেলেসহ কয়েকজন ছিলো তাদের সাথে তারা আমার সাথে খারাপ আচরন করেছে। সাথে মহিলা পুলিশ না থাকায় তাদের আটক করতে পারিনি। বিষয়টি ওসি স্যারকে জানিয়েছি। এবিষয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন আছে।