ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ছাত্রদল না দাঁড়ালে বিএনপি উঠে দাঁড়াতে পারবে না’

বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলকেই সামনে এগিয়ে আসতে হবে। আন্দোলনের ফলাফল ঘরে তুলতে হলে ছাত্রদলকেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ছাত্রদল না দাঁড়ালে বিএনপিও উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

রবিবার (১ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক ছাত্র সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র নেতারা এসব মতামত ব্যক্ত করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘১০ দফা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতা ছাড়তে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সবকিছু রাজপথে ফয়সালা করা হবে। সরকারকে বিদায় করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। আর অগ্রভাগে ছাত্রদলকে থাকতে হবে, গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে। ঢাকার সমাবেশ বানচাল করতে সরকার বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করেছে। সরকার যত নির্যাতন-নিপীড়ন করুক, আন্দোলন দমানো যাবে না। জনগণ রাস্তায় নেমেছেন আর রক্ষা নাই। ১০ দফা বাস্তবায়ন করাই বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১০ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্ধকার কেটে যাবে, আলোর পথে বাংলাদেশ।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে সরকার। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানায়। ছাত্রদলকে উঠে দাঁড়াতে হবে। না দাঁড়াতে পারলে নেতাকর্মীদের জেলখানায়ই থাকতে হবে। ২০২৩ সাল হবে কলঙ্কমুক্ত সাল, বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে, এ বছর মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

‘ছাত্রদল না দাঁড়ালে বিএনপি উঠে দাঁড়াতে পারবে না’
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘রাজপথে সবকিছুর ফয়সালা হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতায় হস্তান্তর করা না হলে ছাত্রদল ৯০-এর মতো গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারের পতন ঘটাবে।’

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সারা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে সরকার। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। সরকারের সময় পুরিয়ে গেছে। ধানাই-পানাই করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। সরকার চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ২৩ সাল গণতন্ত্র ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করার বছর।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মো. ইয়াহিয়ার পরিচালনায় ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

‘ছাত্রদল না দাঁড়ালে বিএনপি উঠে দাঁড়াতে পারবে না’

আপডেট সময় ০৩:৪৫:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলকেই সামনে এগিয়ে আসতে হবে। আন্দোলনের ফলাফল ঘরে তুলতে হলে ছাত্রদলকেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ছাত্রদল না দাঁড়ালে বিএনপিও উঠে দাঁড়াতে সক্ষম হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

রবিবার (১ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক ছাত্র সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র নেতারা এসব মতামত ব্যক্ত করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘১০ দফা কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতা ছাড়তে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সবকিছু রাজপথে ফয়সালা করা হবে। সরকারকে বিদায় করা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। আর অগ্রভাগে ছাত্রদলকে থাকতে হবে, গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে। ঢাকার সমাবেশ বানচাল করতে সরকার বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করেছে। সরকার যত নির্যাতন-নিপীড়ন করুক, আন্দোলন দমানো যাবে না। জনগণ রাস্তায় নেমেছেন আর রক্ষা নাই। ১০ দফা বাস্তবায়ন করাই বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১০ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্ধকার কেটে যাবে, আলোর পথে বাংলাদেশ।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে সরকার। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানায়। ছাত্রদলকে উঠে দাঁড়াতে হবে। না দাঁড়াতে পারলে নেতাকর্মীদের জেলখানায়ই থাকতে হবে। ২০২৩ সাল হবে কলঙ্কমুক্ত সাল, বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে, এ বছর মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’

‘ছাত্রদল না দাঁড়ালে বিএনপি উঠে দাঁড়াতে পারবে না’
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘রাজপথে সবকিছুর ফয়সালা হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতায় হস্তান্তর করা না হলে ছাত্রদল ৯০-এর মতো গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারের পতন ঘটাবে।’

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘সারা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে সরকার। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। সরকারের সময় পুরিয়ে গেছে। ধানাই-পানাই করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। সরকার চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ২৩ সাল গণতন্ত্র ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করার বছর।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মো. ইয়াহিয়ার পরিচালনায় ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।