ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

তারেকের ৯, জোবায়দার ৩ বছর কারাদণ্ড

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় দেন।

তথ্য গোপনের অভিযোগে তারেক রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে ৬ বছর কারাদণ্ড, ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড,অনাদায়ে তাকে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জোবায়দা রহমানকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা রাষ্ট্রেরর অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন দুপুর ৩ টা ১৯ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারক ৩ টা ২২ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। ৪ টা ২ মিনিটে রায় পড়া শেষ হয়।

এদিকে, রায় শুনে আনন্দ উল্লাস করেছেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। আর এ রায়কে ভুয়া বলছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

গত ২৭ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন। গত ২৪ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।

এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নিতাইগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

তারেকের ৯, জোবায়দার ৩ বছর কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৪:২৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় দেন।

তথ্য গোপনের অভিযোগে তারেক রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে ৬ বছর কারাদণ্ড, ৩ কোটি টাকা অর্থদণ্ড,অনাদায়ে তাকে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জোবায়দা রহমানকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা রাষ্ট্রেরর অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন দুপুর ৩ টা ১৯ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারক ৩ টা ২২ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন। ৪ টা ২ মিনিটে রায় পড়া শেষ হয়।

এদিকে, রায় শুনে আনন্দ উল্লাস করেছেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। আর এ রায়কে ভুয়া বলছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

গত ২৭ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন। গত ২৪ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।

এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।