ঢাকা , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo একদিনে ৩০টা পান খেতে হয়েছে : পূজা Logo ফাইনালের আগে অনিশ্চিত বেঙ্গালুরুর দুই তারকা Logo ঈদের ছুটিতে হলো না বাড়ি ফেরা, সড়কে প্রাণ গেল বাবা ও ২ ছেলের Logo রূপগঞ্জে মাদক, দেশীয় অস্ত্র ও ওয়াটাকিসহ কুত্তা শ্রাবনের সহযোগী সজীব গ্রেপ্তার Logo পশুর হাট কেন্দ্রীক বিশৃঙ্খলা দেখলে আমাদের জানাবেন : অতি. পুলিশ সুপার Logo অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক হাটের গরু অন্য হাটে নামানোর অভিযোগ Logo শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং দেশ গঠনের রাজনীতিতে আজহারুল ইসলাম মান্নান Logo শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo নগদের গ্রাহকদের অর্থ ঝুঁকিতে: বাংলাদেশ ব্যাংক Logo নাঃগঞ্জ মহানগর জিসাস ও জেলা জিসাস এর উদ্যোগে জিয়াউর রহমান শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠান ও খাবার বিতরন

এই প্রজন্ম ক্ষমতালোভী হায়েনাদের শিকলে আর বন্দি থাকতে চায় না

মোঃ মামুন হোসেন: একটি সমাজের প্রাণ হচ্ছে তার তরুণ প্রজন্ম। তাদের উদ্দীপনা, স্বপ্ন, ও সাহস সমাজকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু যখন শোষণ, দুর্নীতি, ও ক্ষমতার অপব্যবহার সমাজে প্রকট আকার ধারণ করে, তখন এই প্রজন্ম আর নীরব থাকে না। আজকের প্রজন্ম আর আগের মতো নির্বিকার নয়—তারা প্রশ্ন করে, প্রতিবাদ জানায়, এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেদের হাতে তুলে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ প্রজন্ম বুঝে গেছে, ক্ষমতালোভী হায়েনাদের শিকলে বন্দি থেকে কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়।অতীতের ইতিহাস বলছে, বারবার কিছু লোক নিজেদের স্বার্থে জনগণের উপর জুলুম চালিয়েছে। তারা রাজনীতিকে করেছেন ব্যক্তিগত সম্পদের খনি, আর দেশ পরিচালনাকে রূপ দিয়েছেন স্বৈরতন্ত্রের নাটকীয় মঞ্চে। তাদের কাছে গণতন্ত্র মানে ক্ষমতায় থাকা, আর জনগণ মানে ভোটব্যাংকের সংখ্যা মাত্র। কিন্তু আজকের তরুণ প্রজন্ম এই নাটকের পেছনের কুশীলবদের চিনে ফেলেছে। তারা আর মিথ্যার মুখোশে আচ্ছন্ন থাকতে চায় না। তারা সত্যকে জানতে চায়, জানতে চায় কারা এই অব্যবস্থা, দুর্নীতি ও বৈষম্যের জন্য দায়ী।
বর্তমান প্রজন্ম প্রযুক্তির আশীর্বাদে অনেক বেশি সচেতন। তারা বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে, তুলনা করতে পারে এবং বুঝতে পারে কীভাবে উন্নত রাষ্ট্রগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। একদিকে যখন অন্যান্য দেশের তরুণেরা নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বিশ্বকে বদলে দিচ্ছে, তখন আমাদের দেশে ক্ষমতার লোভে অন্ধ কিছু মানুষ তরুণদের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করছে। তারা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে, বেকারত্ব বাড়াচ্ছে, আর মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।এই প্রজন্ম এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তারা জানে, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো সহজ নয়, কিন্তু প্রয়োজনীয়। তারা বুঝেছে, নীরবতা মানে অন্যায়ের অংশীদার হওয়া। তাই তারা সোশ্যাল মিডিয়া, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সব জায়গাতেই বলছে, “আর নয়, এবার পরিবর্তন চাই।” তারা গণতন্ত্রের প্রকৃত মানে বোঝে—স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার।ক্ষমতালোভী হায়েনারা যতই বিভ্রান্তি ছড়াক, মিথ্যা প্রচার করুক, বা ভয় দেখাক—এই প্রজন্ম আর ভয় পায় না। তারা যুক্তির আলোকে পথ খুঁজে নেয়। তারা রাজনীতিকে ঘৃণা করে না, বরং রাজনীতির অপব্যবহারকে ঘৃণা করে। তারা চায় এক নতুন সমাজ, যেখানে যোগ্যতা দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে, যেখানে মানুষের সম্মান ও অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।এই নতুন প্রজন্মের জাগরণই ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো। তারা বই হাতে ক্লাসে যাবে, আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায়ও নামবে। তারা কবিতা লিখবে, আবার প্রতিবাদের গানও গাইবে। তারা শুধু স্বপ্ন দেখবে না, বরং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সাহসের সঙ্গে লড়বে।সবচেয়ে বড় কথা, এই প্রজন্ম আর কারও হাতের ক্রীড়ানক হতে রাজি নয়। তারা জানে, তাদের ভবিষ্যৎ কেবল তারাই গড়তে পারবে। তাই তারা শপথ নিয়েছে, অন্যায়, দুঃশাসন ও লোভের শৃঙ্খল ভেঙে একটি নতুন সমাজ গড়বে—যেখানে মানুষের মর্যাদা থাকবে, যেখানে নেতৃত্ব আসবে ভালোবাসা ও দায়িত্ব থেকে, লোভ বা ভয়ের কারণে নয়। অতএব, সময় এসেছে সকল ক্ষমতালোভী হায়েনাদের বুঝে নেওয়ার—এই প্রজন্মকে আর বন্দি রাখা যাবে না। তারা জেগেছে, তারা এগিয়ে যাচ্ছে, এবং তারা পাল্টে দেবে ইতিহাস।

 

 

 

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

Rudra Kantho24

জনপ্রিয় সংবাদ

একদিনে ৩০টা পান খেতে হয়েছে : পূজা

এই প্রজন্ম ক্ষমতালোভী হায়েনাদের শিকলে আর বন্দি থাকতে চায় না

আপডেট সময় ১১:২৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

মোঃ মামুন হোসেন: একটি সমাজের প্রাণ হচ্ছে তার তরুণ প্রজন্ম। তাদের উদ্দীপনা, স্বপ্ন, ও সাহস সমাজকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু যখন শোষণ, দুর্নীতি, ও ক্ষমতার অপব্যবহার সমাজে প্রকট আকার ধারণ করে, তখন এই প্রজন্ম আর নীরব থাকে না। আজকের প্রজন্ম আর আগের মতো নির্বিকার নয়—তারা প্রশ্ন করে, প্রতিবাদ জানায়, এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেদের হাতে তুলে নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ প্রজন্ম বুঝে গেছে, ক্ষমতালোভী হায়েনাদের শিকলে বন্দি থেকে কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়।অতীতের ইতিহাস বলছে, বারবার কিছু লোক নিজেদের স্বার্থে জনগণের উপর জুলুম চালিয়েছে। তারা রাজনীতিকে করেছেন ব্যক্তিগত সম্পদের খনি, আর দেশ পরিচালনাকে রূপ দিয়েছেন স্বৈরতন্ত্রের নাটকীয় মঞ্চে। তাদের কাছে গণতন্ত্র মানে ক্ষমতায় থাকা, আর জনগণ মানে ভোটব্যাংকের সংখ্যা মাত্র। কিন্তু আজকের তরুণ প্রজন্ম এই নাটকের পেছনের কুশীলবদের চিনে ফেলেছে। তারা আর মিথ্যার মুখোশে আচ্ছন্ন থাকতে চায় না। তারা সত্যকে জানতে চায়, জানতে চায় কারা এই অব্যবস্থা, দুর্নীতি ও বৈষম্যের জন্য দায়ী।
বর্তমান প্রজন্ম প্রযুক্তির আশীর্বাদে অনেক বেশি সচেতন। তারা বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে, তুলনা করতে পারে এবং বুঝতে পারে কীভাবে উন্নত রাষ্ট্রগুলো এগিয়ে যাচ্ছে। একদিকে যখন অন্যান্য দেশের তরুণেরা নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বিশ্বকে বদলে দিচ্ছে, তখন আমাদের দেশে ক্ষমতার লোভে অন্ধ কিছু মানুষ তরুণদের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করছে। তারা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করছে, বেকারত্ব বাড়াচ্ছে, আর মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।এই প্রজন্ম এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তারা জানে, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো সহজ নয়, কিন্তু প্রয়োজনীয়। তারা বুঝেছে, নীরবতা মানে অন্যায়ের অংশীদার হওয়া। তাই তারা সোশ্যাল মিডিয়া, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সব জায়গাতেই বলছে, “আর নয়, এবার পরিবর্তন চাই।” তারা গণতন্ত্রের প্রকৃত মানে বোঝে—স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার।ক্ষমতালোভী হায়েনারা যতই বিভ্রান্তি ছড়াক, মিথ্যা প্রচার করুক, বা ভয় দেখাক—এই প্রজন্ম আর ভয় পায় না। তারা যুক্তির আলোকে পথ খুঁজে নেয়। তারা রাজনীতিকে ঘৃণা করে না, বরং রাজনীতির অপব্যবহারকে ঘৃণা করে। তারা চায় এক নতুন সমাজ, যেখানে যোগ্যতা দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন হবে, যেখানে মানুষের সম্মান ও অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।এই নতুন প্রজন্মের জাগরণই ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো। তারা বই হাতে ক্লাসে যাবে, আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায়ও নামবে। তারা কবিতা লিখবে, আবার প্রতিবাদের গানও গাইবে। তারা শুধু স্বপ্ন দেখবে না, বরং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সাহসের সঙ্গে লড়বে।সবচেয়ে বড় কথা, এই প্রজন্ম আর কারও হাতের ক্রীড়ানক হতে রাজি নয়। তারা জানে, তাদের ভবিষ্যৎ কেবল তারাই গড়তে পারবে। তাই তারা শপথ নিয়েছে, অন্যায়, দুঃশাসন ও লোভের শৃঙ্খল ভেঙে একটি নতুন সমাজ গড়বে—যেখানে মানুষের মর্যাদা থাকবে, যেখানে নেতৃত্ব আসবে ভালোবাসা ও দায়িত্ব থেকে, লোভ বা ভয়ের কারণে নয়। অতএব, সময় এসেছে সকল ক্ষমতালোভী হায়েনাদের বুঝে নেওয়ার—এই প্রজন্মকে আর বন্দি রাখা যাবে না। তারা জেগেছে, তারা এগিয়ে যাচ্ছে, এবং তারা পাল্টে দেবে ইতিহাস।